ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে। সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি (এআইসিসি)-র সদর দপ্তরে এদিন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় ‘আমরা তরুণদের শক্তি নিয়ে একটি নতুন উত্তরপ্রদেশ তৈরি করতে চাই।’
ইশতেহার প্রকাশের পর রাহুল গান্ধী বলেন, ‘এবারের ইশতেহারে তরুণদের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে। কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশের যুবকদের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও পরামর্শ করে, তাদের মূল্যবান মতামতকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে ইশতেহারে। এ জন্য কংগ্রেস এই ইশতেহারকে ‘যুব ইশতেহার’ হিসেবে শিরোনাম করেছে। রাহুল গান্ধী আরও বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশের যুবকদের জন্য একটি ‘নতুন দিশা’ দরকার। শুধুমাত্র কংগ্রেসই জাত-পাতের রাজনীতি ও বিভাজন সৃষ্টি করা এই বেহাল রাজ্যকে আগামীর নয়া দিশা দেখাতে পারে। ছোট দলগুলো নয়। কারণ আমরা ঘৃণা, বিভেদ ছড়াইনি। আমরা মানুষকে গণতন্ত্র ও সাম্যেরভিত্তিতে একত্রিত করেছি। তাই আমরা তরুণদের শক্তি ব্যাবহার করে একটি নতুন উত্তরপ্রদেশ তৈরি করতে চাই।’
পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কর্মসংস্থানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কর্মসংস্থান ও নিয়োগ। রাজ্যের যুবকরা হতাশ। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তাদের সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা হবে, তার একটা রূপরেখা এই ইশতেহারে বলা হয়েছে।’ প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, ‘কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বিভিন্ন পদের শূন্যপদ পূরণ করা হবে। জব ক্যালেন্ডার তৈরি করা হবে যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সুনির্দিষ্ট বিবরণ উল্লেখ থাকবে। পাশাপাশি, পরীক্ষার্থীরা বিনামূল্যে রেল সফরের সুযোগ পাবে। বন্ধ করা হবে প্রশ্নপত্র দুর্নীতিও।’
এর আগে কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ১৬ জন মহিলাসহ ৪১ জন প্রার্থীর দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করে। এই ১৬ জন মহিলা প্রার্থীর মধ্যে আছেন পুনম পন্ডিত, যিনি কৃষক আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। আছেন কংগ্রেসের সাবেক মুখপাত্র প্রয়াত রাজীব ত্যাগীর স্ত্রী সঙ্গীতা ত্যাগী। সাহিবাদ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন সঙ্গীতা ত্যাগী। ৭ দফায় অনুষ্ঠিত হবে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। শুরু হবে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিজেই এদিনের সাংবাদিক সন্মেলনে উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে, প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আপনারা কংগ্রেস দলের অন্য কারও মুখ কি দেখতে পাচ্ছেন? আপনারা তো সর্বত্র আমার মুখই দেখতে পাচ্ছেন।’
উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের সংগঠনকে বেশ কিছু বছর ধরেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি ২০ লাখ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের শেষ কিছু নির্বাচনে কংগ্রেসের ফলাফল প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই উত্তরপ্রদেশকে বিশেষ লক্ষ্য হিসেবে ধরে এগুতে থাকে প্রিয়াঙ্কা। এই রাজ্য ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য। আর এই রাজ্যেই তরুণ ও যুবারা অবহেলিত ও দিশাহীন। এরপরেই তরুণদের মন জয় করার প্রচেষ্টা শুরু করেছে কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেকারত্বকে একটি বড় ইস্যু করতে চাইছে তারা। পাশাপাশি সেখানে নারীদের ক্ষমতায়নের কথাও স্পষ্ট বলা হয়েছে তাদের ইশতেহারে।
রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমরা ঘৃণা ছড়াই না, আমরা মানুষকে একত্রিত করেছি। আমরা তরুণদের শক্তি দিয়ে একটি নতুন উত্তরপ্রদেশ তৈরি করতে চাই।’ কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তেহারে ১.৫ লাখ শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই রাজ্যে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। ২০১৭ সালের ৪০৩-সদস্যের এই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩১২টি বিধানসভা আসনে জয়ী হয়েছিল। কংগ্রেস মাত্র সাতটি আসন লাভ করেছিল। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৪৭টি আসন পেয়েছিল, বিএসপি ১৯টিতে জিতেছিল।
রোববার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে। সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি (এআইসিসি)-র সদর দপ্তরে এদিন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় ‘আমরা তরুণদের শক্তি নিয়ে একটি নতুন উত্তরপ্রদেশ তৈরি করতে চাই।’
ইশতেহার প্রকাশের পর রাহুল গান্ধী বলেন, ‘এবারের ইশতেহারে তরুণদের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে। কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশের যুবকদের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও পরামর্শ করে, তাদের মূল্যবান মতামতকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে ইশতেহারে। এ জন্য কংগ্রেস এই ইশতেহারকে ‘যুব ইশতেহার’ হিসেবে শিরোনাম করেছে। রাহুল গান্ধী আরও বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশের যুবকদের জন্য একটি ‘নতুন দিশা’ দরকার। শুধুমাত্র কংগ্রেসই জাত-পাতের রাজনীতি ও বিভাজন সৃষ্টি করা এই বেহাল রাজ্যকে আগামীর নয়া দিশা দেখাতে পারে। ছোট দলগুলো নয়। কারণ আমরা ঘৃণা, বিভেদ ছড়াইনি। আমরা মানুষকে গণতন্ত্র ও সাম্যেরভিত্তিতে একত্রিত করেছি। তাই আমরা তরুণদের শক্তি ব্যাবহার করে একটি নতুন উত্তরপ্রদেশ তৈরি করতে চাই।’
পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কর্মসংস্থানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কর্মসংস্থান ও নিয়োগ। রাজ্যের যুবকরা হতাশ। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তাদের সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা হবে, তার একটা রূপরেখা এই ইশতেহারে বলা হয়েছে।’ প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, ‘কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বিভিন্ন পদের শূন্যপদ পূরণ করা হবে। জব ক্যালেন্ডার তৈরি করা হবে যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সুনির্দিষ্ট বিবরণ উল্লেখ থাকবে। পাশাপাশি, পরীক্ষার্থীরা বিনামূল্যে রেল সফরের সুযোগ পাবে। বন্ধ করা হবে প্রশ্নপত্র দুর্নীতিও।’
এর আগে কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ১৬ জন মহিলাসহ ৪১ জন প্রার্থীর দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করে। এই ১৬ জন মহিলা প্রার্থীর মধ্যে আছেন পুনম পন্ডিত, যিনি কৃষক আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। আছেন কংগ্রেসের সাবেক মুখপাত্র প্রয়াত রাজীব ত্যাগীর স্ত্রী সঙ্গীতা ত্যাগী। সাহিবাদ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন সঙ্গীতা ত্যাগী। ৭ দফায় অনুষ্ঠিত হবে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। শুরু হবে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিজেই এদিনের সাংবাদিক সন্মেলনে উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে, প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আপনারা কংগ্রেস দলের অন্য কারও মুখ কি দেখতে পাচ্ছেন? আপনারা তো সর্বত্র আমার মুখই দেখতে পাচ্ছেন।’
উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের সংগঠনকে বেশ কিছু বছর ধরেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি ২০ লাখ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের শেষ কিছু নির্বাচনে কংগ্রেসের ফলাফল প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই উত্তরপ্রদেশকে বিশেষ লক্ষ্য হিসেবে ধরে এগুতে থাকে প্রিয়াঙ্কা। এই রাজ্য ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য। আর এই রাজ্যেই তরুণ ও যুবারা অবহেলিত ও দিশাহীন। এরপরেই তরুণদের মন জয় করার প্রচেষ্টা শুরু করেছে কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেকারত্বকে একটি বড় ইস্যু করতে চাইছে তারা। পাশাপাশি সেখানে নারীদের ক্ষমতায়নের কথাও স্পষ্ট বলা হয়েছে তাদের ইশতেহারে।
রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমরা ঘৃণা ছড়াই না, আমরা মানুষকে একত্রিত করেছি। আমরা তরুণদের শক্তি দিয়ে একটি নতুন উত্তরপ্রদেশ তৈরি করতে চাই।’ কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তেহারে ১.৫ লাখ শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই রাজ্যে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। ২০১৭ সালের ৪০৩-সদস্যের এই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩১২টি বিধানসভা আসনে জয়ী হয়েছিল। কংগ্রেস মাত্র সাতটি আসন লাভ করেছিল। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৪৭টি আসন পেয়েছিল, বিএসপি ১৯টিতে জিতেছিল।