ভারতের ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে পরিকল্পনা সাজাতে ব্যস্ত কংগ্রেস। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। যদিও গোটা দেশেই কংগ্রেসের নড়বড়ে সংগঠন ও বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠীদের জেরে চিন্তায় সোনিয়া গান্ধী।
তবে এরই মাঝে কংগ্রেসের পথ ও দিশা নির্ধারণের জন্য সোনিয়া গান্ধী পৃথক তিনটি দল গঠন করে দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স গ্রুপ, টাস্ক ফোর্স-২০২৪ এবং সেন্ট্রাল প্ল্যানিং গ্রুপ।
মূল বিষয়গুলির নির্দেশনার জন্য বিশেষ করে ভারতের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে মাথায় রেখে ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য `টাস্ক ফোর্স’-২০২৪, ‘নব সংকল্প’ ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি এবং আরেকটি অক্টোবরে ‘ভারত জোড়া যাত্রা’ বাস্তবায়নে সমন্বয়ের জন্য কমিটি।
কিছুদিন আগেই কংগ্রেস হাইকম্যান্ড রাজস্থানের উদয়পুরে চিন্তন শিবিরের আয়োজন করে। তার মাঝেই ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে কোমড় বেঁধে ময়দানে নামতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধী।
মূলত: চিন্তন শিবিরে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী যে একাধিক কমিটি তৈরীর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের তরফে ওই তিনটি কমিটি গড়ে দিলেন কংগ্রেসের অর্ন্তবর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।এই কমিটিগুলোর কাজই হল ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দলের সংগঠন সাজানো এবং মানুষের কাছে পৌঁছানো। আর এখানেই চমক দিয়েছেন সোনিয়া।
ওই দলগুলিতে সামিল করিয়েছেন কংগ্রেস বিক্ষুদ্ধ জি-২৩ গোষ্ঠীর সদস্যদেরকেও। জি-২৩ হল ভিন্নমতের কংগ্রেস নেতাদের একটি দল যারা একটি সাংগঠনিক সংস্কারের দাবি করে আসছিল।
সোনিয়ার আরও চমক ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে দলে না নিলেও তার এক প্রাক্তন সহায়ককে নতুন কমিটিতে রেখেছেন।
আগেই জানা গিয়েছিল বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে রাস্তায় নামবে কংগ্রেস। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। এর মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধি থেকে সাম্প্রদায়িক ইস্যু কিংবা কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের ব্যবহার নিয়ে সরব হবেন কমিটির নেতারা। এরই সঙ্গে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগের কাজও করা হবে এই যাত্রার মাধ্যমে।
এই কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, অম্বিকা সোনি, দিগ্বিজয় সিং, কেসি বেনুগোপাল, জীতেন্দ্র সিং, গুলাম নবি আজাদ ও আনন্দ শর্মা।
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে আটজনের একটি টাস্ক ফোর্সও গঠন করা হয়েছে। তাতে রয়েছেন - পি চিদাম্বরম, মুকুল ওয়াসনিক, জয়রাম রমেশ, কেসি ভেনুগোপাল, অজয় মাকেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, রণদীপ সুরজেওয়ালা এবং সুনীল কানুগোলু। এদের কাজ হবে দলের কৌশলি পরিকল্পনা, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ, দলের পুঁজি জোগাড় এবং লোকসভার কথা মাথায় রেখে নানা প্রচার কৌশল।
এছাড়াও ভারত জোড়ো যাত্রা কমিটি নিয়ে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাতে রয়েছেন দিগ্বিজয় সিং, শচীন পাইলট, শশী থারুর, রবনীত সিং বিট্টু, কেজে জর্জ, জোথিমনি, প্রদ্যুত বোরদোলোই, জিতু পাটোয়ারি এবং সেলিম আহমেদ।
দেশজুড়ে লাগাতার একাধিক নির্বাচনে হার, এমনকি নিজেদের ঘাঁটি পাঞ্জাবও ধরে রাখতে পারেনি কংগ্রেস। তাই আপাতত অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে ভারতের স্বাধীনতার পর বহু বছর ক্ষমতায় থাকা দল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনই সোনিয়া-রাহুলদের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর মন্চ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর তাই সেই কাজে আর বিন্দুমাত্র দেরী করতে চাইছেন না কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
ভারতের ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে পরিকল্পনা সাজাতে ব্যস্ত কংগ্রেস। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। যদিও গোটা দেশেই কংগ্রেসের নড়বড়ে সংগঠন ও বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠীদের জেরে চিন্তায় সোনিয়া গান্ধী।
তবে এরই মাঝে কংগ্রেসের পথ ও দিশা নির্ধারণের জন্য সোনিয়া গান্ধী পৃথক তিনটি দল গঠন করে দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স গ্রুপ, টাস্ক ফোর্স-২০২৪ এবং সেন্ট্রাল প্ল্যানিং গ্রুপ।
মূল বিষয়গুলির নির্দেশনার জন্য বিশেষ করে ভারতের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে মাথায় রেখে ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য `টাস্ক ফোর্স’-২০২৪, ‘নব সংকল্প’ ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি এবং আরেকটি অক্টোবরে ‘ভারত জোড়া যাত্রা’ বাস্তবায়নে সমন্বয়ের জন্য কমিটি।
কিছুদিন আগেই কংগ্রেস হাইকম্যান্ড রাজস্থানের উদয়পুরে চিন্তন শিবিরের আয়োজন করে। তার মাঝেই ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে কোমড় বেঁধে ময়দানে নামতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধী।
মূলত: চিন্তন শিবিরে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী যে একাধিক কমিটি তৈরীর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের তরফে ওই তিনটি কমিটি গড়ে দিলেন কংগ্রেসের অর্ন্তবর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।এই কমিটিগুলোর কাজই হল ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দলের সংগঠন সাজানো এবং মানুষের কাছে পৌঁছানো। আর এখানেই চমক দিয়েছেন সোনিয়া।
ওই দলগুলিতে সামিল করিয়েছেন কংগ্রেস বিক্ষুদ্ধ জি-২৩ গোষ্ঠীর সদস্যদেরকেও। জি-২৩ হল ভিন্নমতের কংগ্রেস নেতাদের একটি দল যারা একটি সাংগঠনিক সংস্কারের দাবি করে আসছিল।
সোনিয়ার আরও চমক ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে দলে না নিলেও তার এক প্রাক্তন সহায়ককে নতুন কমিটিতে রেখেছেন।
আগেই জানা গিয়েছিল বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে রাস্তায় নামবে কংগ্রেস। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। এর মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধি থেকে সাম্প্রদায়িক ইস্যু কিংবা কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের ব্যবহার নিয়ে সরব হবেন কমিটির নেতারা। এরই সঙ্গে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগের কাজও করা হবে এই যাত্রার মাধ্যমে।
এই কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, অম্বিকা সোনি, দিগ্বিজয় সিং, কেসি বেনুগোপাল, জীতেন্দ্র সিং, গুলাম নবি আজাদ ও আনন্দ শর্মা।
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে আটজনের একটি টাস্ক ফোর্সও গঠন করা হয়েছে। তাতে রয়েছেন - পি চিদাম্বরম, মুকুল ওয়াসনিক, জয়রাম রমেশ, কেসি ভেনুগোপাল, অজয় মাকেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, রণদীপ সুরজেওয়ালা এবং সুনীল কানুগোলু। এদের কাজ হবে দলের কৌশলি পরিকল্পনা, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ, দলের পুঁজি জোগাড় এবং লোকসভার কথা মাথায় রেখে নানা প্রচার কৌশল।
এছাড়াও ভারত জোড়ো যাত্রা কমিটি নিয়ে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাতে রয়েছেন দিগ্বিজয় সিং, শচীন পাইলট, শশী থারুর, রবনীত সিং বিট্টু, কেজে জর্জ, জোথিমনি, প্রদ্যুত বোরদোলোই, জিতু পাটোয়ারি এবং সেলিম আহমেদ।
দেশজুড়ে লাগাতার একাধিক নির্বাচনে হার, এমনকি নিজেদের ঘাঁটি পাঞ্জাবও ধরে রাখতে পারেনি কংগ্রেস। তাই আপাতত অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে ভারতের স্বাধীনতার পর বহু বছর ক্ষমতায় থাকা দল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনই সোনিয়া-রাহুলদের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর মন্চ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর তাই সেই কাজে আর বিন্দুমাত্র দেরী করতে চাইছেন না কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী।