alt

আন্তর্জাতিক

প্রয়োজন মেটাতে ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি করছেন আফগানরা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা আগে থেকেই নাজুক। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান পুনরায় ক্ষমতা দখল করার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এখন নিজেদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। শোনা যাচ্ছে, শীতের আগে ঘর উষ্ণ রাখার সরঞ্জাম কিনতে ঘরের অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন আফগানরা। খবর দ্য খামা প্রেসের।

আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্যকারী সংস্থা রেডক্রসের অপারেশন্স ডিরেক্টর মার্টিন শুপ জানিয়েছেন, মধ্যবিত্ত আফগান পরিবারগুলো মৌলিক খাদ্য চাহিদার মাত্র ৮২ ভাগ পূরণ করতে সক্ষম। তিনি আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

বার্তাসংস্থা এপির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রেডক্রসের এ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘প্রয়োজন মেটাতে আমরা দেখছি আরও আফগান জিনিসপত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাদের ঘর উষ্ণ রাখার সরঞ্জামের সঙ্গে বেশি দামে খাবার ও অন্যান্য পণ্য কিনতে হচ্ছে।’

তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটিতে প্রয়োজনীয় সাহায্য সময়মতো পৌঁছাচ্ছে না। খাদ্য সহায়তার ওপর যেন কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা না থাকে সেটি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সৈয়দ মাসুদ নামে আফগানিস্তানের একজন অর্থনীতিবিদ বলেছেন, ‘ব্যাংক এবং প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের মাধ্যমে এই অর্থনৈতিক দুরাবস্থা কাটানো সম্ভব।’

মীর সিকিব মীর নামে অপর একজন অর্থনীতিবিদ বলেছেন, ‘আফগানিস্তান ও আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাইরের দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছে না। যা অর্থনীতিকে আরও খারাপ করে দিচ্ছে।’

তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে যেসব মানবিক সংস্থা কাজ করছে তারাও ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারছে না। এ বিষয়টি মানবিক সাহায্যে প্রভাব ফেলছে।

আফগানিস্তানের দোকানি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাধারণ মানুষ শুধুমাত্র নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছেন। এর বাইরে কোনো কিছু কিনছেন না। তাদের আসলে সেই ক্রয় ক্ষমতাই নেই।

এর আগে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছিল, আফগানিস্তানের অর্ধেক মানুষ মানবিক সাহায্যের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। দেশটির প্রতি দু’জনের মধ্যে একজন মানুষ জানেন না, একবেলা খাওয়ার পর পরের বেলা খাবার পাবেন কিনা।

এদিকে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবান পুনরায় ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের বেসরকারি খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেঁচা, বিক্রি ও ব্যবসা কমে যাওয়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রায় অর্ধেক কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। যা বেকারত্ব বৃদ্ধিসহ পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।

সূত্র: দ্য খামা প্রেস

ছবি

ইউক্রেনকে আরও ৬২ কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা ব্রিটেনের

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে কে প্রশ্ন বাইডেনের

ছবি

ফের হামলা হলে ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে : ইরান

ছবি

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা

ছবি

বন্যার পর এবার আরব আমিরাতে ঘন কুয়াশার প্রকোপ

ছবি

গাজায় গণকবরে শত শত লাশ, আতঙ্কিত জাতিসংঘ মানবাধিকারপ্রধান

ছবি

জলবায়ু বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া

ছবি

মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেইন, ইসরায়েল সহায়তা বিল পাস

ছবি

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের ভেতর গভীরতম হামলা চালাল হিজবুল্লাহ

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

রুয়ান্ডা বিল পাস: কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইংলিশ চ্যানেলে ডুবে নিহত ৫

ছবি

পাকিস্তানকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি

ছবি

মালয়েশিয়ায় সামরিক মহড়ার সময় ২ হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, নিহত ১০

ছবি

দফায় দফায় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো তাইওয়ান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতীয় ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

পাকিস্তান সফরে ইরানি প্রেসিডেন্ট

ছবি

ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল তাইওয়ান

ছবি

ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ

ছবি

সরিয়ে নেওয়া হলো হাজার হাজার মানুষকে

ছবি

ফের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া

ছবি

মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে মইজ্জুর দলের বড় জয়

ছবি

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করবেন নেতানিয়াহু

ছবি

রাফাহতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১০, বেশিরভাগই শিশু

ছবি

সোমালি দস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়ায় ইইউর উদ্বেগ, হুঁশিয়ারি

ছবি

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরিডুবি, নিহত অন্তত ৫৮

ছবি

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত

ছবি

মায়ানমার-থাই সীমান্তে আবারও বিদ্রোহীদের হামলা

ছবি

ইরাকে ইরানপন্থি মিলিশিয়া বাহিনীর ঘাঁটিতে বোমা হামলা

ছবি

মুখোমুখি ইরান-ইসরায়েল, পরীক্ষার মুখে মার্কিন সামরিক কৌশল

ছবি

কাতার ছাড়তে চায় হামাস!

ছবি

বিমান হামলায় ৮ জন নিহতের পর রাশিয়ার বোম্বার নামানোর দাবি কিইভের

আদালতের ভেতরে ট্রাম্প, বাইরে নিজ দেহে আগুন দিলেন যুবক

ছবি

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

ছবি

হামলার পর ইসরায়েলকে যে হুমকি দিল ইরান

ছবি

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি : আইএইএ

tab

আন্তর্জাতিক

প্রয়োজন মেটাতে ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি করছেন আফগানরা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা আগে থেকেই নাজুক। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান পুনরায় ক্ষমতা দখল করার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এখন নিজেদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। শোনা যাচ্ছে, শীতের আগে ঘর উষ্ণ রাখার সরঞ্জাম কিনতে ঘরের অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন আফগানরা। খবর দ্য খামা প্রেসের।

আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্যকারী সংস্থা রেডক্রসের অপারেশন্স ডিরেক্টর মার্টিন শুপ জানিয়েছেন, মধ্যবিত্ত আফগান পরিবারগুলো মৌলিক খাদ্য চাহিদার মাত্র ৮২ ভাগ পূরণ করতে সক্ষম। তিনি আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

বার্তাসংস্থা এপির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রেডক্রসের এ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘প্রয়োজন মেটাতে আমরা দেখছি আরও আফগান জিনিসপত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাদের ঘর উষ্ণ রাখার সরঞ্জামের সঙ্গে বেশি দামে খাবার ও অন্যান্য পণ্য কিনতে হচ্ছে।’

তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটিতে প্রয়োজনীয় সাহায্য সময়মতো পৌঁছাচ্ছে না। খাদ্য সহায়তার ওপর যেন কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা না থাকে সেটি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সৈয়দ মাসুদ নামে আফগানিস্তানের একজন অর্থনীতিবিদ বলেছেন, ‘ব্যাংক এবং প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের মাধ্যমে এই অর্থনৈতিক দুরাবস্থা কাটানো সম্ভব।’

মীর সিকিব মীর নামে অপর একজন অর্থনীতিবিদ বলেছেন, ‘আফগানিস্তান ও আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাইরের দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছে না। যা অর্থনীতিকে আরও খারাপ করে দিচ্ছে।’

তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে যেসব মানবিক সংস্থা কাজ করছে তারাও ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারছে না। এ বিষয়টি মানবিক সাহায্যে প্রভাব ফেলছে।

আফগানিস্তানের দোকানি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাধারণ মানুষ শুধুমাত্র নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছেন। এর বাইরে কোনো কিছু কিনছেন না। তাদের আসলে সেই ক্রয় ক্ষমতাই নেই।

এর আগে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছিল, আফগানিস্তানের অর্ধেক মানুষ মানবিক সাহায্যের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। দেশটির প্রতি দু’জনের মধ্যে একজন মানুষ জানেন না, একবেলা খাওয়ার পর পরের বেলা খাবার পাবেন কিনা।

এদিকে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবান পুনরায় ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের বেসরকারি খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেঁচা, বিক্রি ও ব্যবসা কমে যাওয়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রায় অর্ধেক কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। যা বেকারত্ব বৃদ্ধিসহ পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।

সূত্র: দ্য খামা প্রেস

back to top