পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যানের পদ ছাড়তে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খানকে নোটিশ দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিতর্কিত তোশাখানা মামলায় পরাজয়ের পর জারি করা হয়েছে এ নোটিশ— উল্লেখ করে পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডনের এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই আদেশের ওপর শুনানি ও ইমরান খানকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে ১৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছে ইসি।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর একই ইস্যুতে ইমরানের পার্লামেন্ট সদস্যপদ বাতিলসহ আগামী জাতীয় ও প্রাদেশিক যে কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইসি। পরে ইসলামাবাদ হাই কোর্টের এক আদেশে সেই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হয়।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ— পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বাইরের বিভিন্ন সরকারপ্রধান ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যেসব দামি উপহার তিনি পেয়েছিলেন, সেসব সম্পর্কে তোশাখানা কর্তৃপক্ষকে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন তিনি। এ অভিযোগে ইসিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল এবং তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হয়ওয়ার পরই এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল কমিশন।
গত অগাস্টে পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের সবচেয়ে বড় শরিক দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ- নওয়াজের (পিএমএলএন) সদস্য মোহসনি নওয়াজ রানঝা ইমরানের বিরুদ্ধে তোশাখানায় অনিয়মের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বাইরের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন উপহারের বাজারমূল্য সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছেন ইমরান খান, তাতে সেসব মূল্যের দাম অনেক কম দেখানো হয়েছে। হ্রাসকৃত মূল্যের সুবিধা নিয়ে তোশাখানা থেকে সেসব উপহার ক্রয়ের পর ইমরান খান বেশি দামে সেগুলো বাইরে বিক্রি করেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল মামলার অভিযোগপত্রে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ২৮টি উপহারের বাক্স পেয়েছিলেন ইমরান খান। তোশাখানার নথিপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, তার গ্রহণ করা বিভিন্ন উপহারের সম্মিলিত বাজারমূল্য ২ কোটি ১৫ লাখ রুপি।
কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তদন্ত শুরুর পর জানা যায়, বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী তোশাখানায় ইমরানের জমা দেওয়া উপহারগুলোর মূল্য কমপক্ষে ১৪ কোটি ২০ লাখ রুপি।
পাকিস্তানের সংবিধানের ৬২ ও ৬৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনো দলের শীর্ষ নেতা যদি সরকারপ্রধানের পদে থাকা অবস্থায় তোশাখানায় তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়মের আশ্রয় নেন, সেক্ষেত্রে তাকে দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে যেতে নোটিশ জারির এক্তিয়ার রাখে নির্বাচন কমিশন। ২০১৮ সালে এ বিষয়ক এক পিটিশনের রায়ে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টও বলেছেন, কোনো রাজনীতিক সংবিধানের ৬২ ও ৬৩ নম্বর ধারার অধীনে অপরাধী হিসেবে প্রমাণিত হলে তিনি আর দলের শীর্ষপদে থাকতে পারবেন না।
এর আগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) চেয়ারম্যান নওয়াজ শরিফও ৬২ নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দলের শীর্ষ নেতার পদ হারিয়েছেন।
চলতি ২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে বিরোধী এমপিদের অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান খান।
মঙ্গলবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২
পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যানের পদ ছাড়তে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খানকে নোটিশ দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিতর্কিত তোশাখানা মামলায় পরাজয়ের পর জারি করা হয়েছে এ নোটিশ— উল্লেখ করে পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডনের এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই আদেশের ওপর শুনানি ও ইমরান খানকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে ১৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছে ইসি।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর একই ইস্যুতে ইমরানের পার্লামেন্ট সদস্যপদ বাতিলসহ আগামী জাতীয় ও প্রাদেশিক যে কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইসি। পরে ইসলামাবাদ হাই কোর্টের এক আদেশে সেই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হয়।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ— পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বাইরের বিভিন্ন সরকারপ্রধান ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যেসব দামি উপহার তিনি পেয়েছিলেন, সেসব সম্পর্কে তোশাখানা কর্তৃপক্ষকে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন তিনি। এ অভিযোগে ইসিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল এবং তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হয়ওয়ার পরই এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল কমিশন।
গত অগাস্টে পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের সবচেয়ে বড় শরিক দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ- নওয়াজের (পিএমএলএন) সদস্য মোহসনি নওয়াজ রানঝা ইমরানের বিরুদ্ধে তোশাখানায় অনিয়মের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বাইরের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন উপহারের বাজারমূল্য সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছেন ইমরান খান, তাতে সেসব মূল্যের দাম অনেক কম দেখানো হয়েছে। হ্রাসকৃত মূল্যের সুবিধা নিয়ে তোশাখানা থেকে সেসব উপহার ক্রয়ের পর ইমরান খান বেশি দামে সেগুলো বাইরে বিক্রি করেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল মামলার অভিযোগপত্রে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ২৮টি উপহারের বাক্স পেয়েছিলেন ইমরান খান। তোশাখানার নথিপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, তার গ্রহণ করা বিভিন্ন উপহারের সম্মিলিত বাজারমূল্য ২ কোটি ১৫ লাখ রুপি।
কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তদন্ত শুরুর পর জানা যায়, বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী তোশাখানায় ইমরানের জমা দেওয়া উপহারগুলোর মূল্য কমপক্ষে ১৪ কোটি ২০ লাখ রুপি।
পাকিস্তানের সংবিধানের ৬২ ও ৬৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনো দলের শীর্ষ নেতা যদি সরকারপ্রধানের পদে থাকা অবস্থায় তোশাখানায় তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়মের আশ্রয় নেন, সেক্ষেত্রে তাকে দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে যেতে নোটিশ জারির এক্তিয়ার রাখে নির্বাচন কমিশন। ২০১৮ সালে এ বিষয়ক এক পিটিশনের রায়ে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টও বলেছেন, কোনো রাজনীতিক সংবিধানের ৬২ ও ৬৩ নম্বর ধারার অধীনে অপরাধী হিসেবে প্রমাণিত হলে তিনি আর দলের শীর্ষপদে থাকতে পারবেন না।
এর আগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) চেয়ারম্যান নওয়াজ শরিফও ৬২ নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দলের শীর্ষ নেতার পদ হারিয়েছেন।
চলতি ২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে বিরোধী এমপিদের অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান খান।