alt

নিষেধাজ্ঞা পরও মোদির ভিডিও টুইটার করছেন বিরোধীরা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

গুজরাট দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই নির্দেশের পর ভারতের বিরোধী দলগুলো প্রচারে বিষয়টিকে হাতিয়ার করছে। কেন একটি তথ্যচিত্রের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। বিজেপির নেতা–কর্মীরা অবশ্য মনে করছেন, এর ফলে লাভবান হবে বিজেপিই।

ভারতের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, গত শুক্রবার ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার এবং ইউটিউবকে নির্দেশ দেয়, বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্যা মোদি কোশ্চেন’ সরিয়ে দিতে। ২০২১ এর তথ্যপ্রযুক্তি আইনে চিত্রটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার নির্দেশ দেয় ভারত সরকার। নির্দেশ মেনে টুইটার এবং ইউটিউব তথ্যচিত্রের সূত্রগুলো মুছেও ফেলে। রোববার থেকেই ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে।

কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা জয়রাম রমেশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর বাজনাদারেরা বলছেন, তাঁর ওপর করা বিবিসির তথ্যচিত্রটিতে কুৎসা করা হয়েছে। ছবিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রশ্ন ওঠে, প্রধানমন্ত্রী (অটলবিহারী) বাজপেয়ি তবে ২০০২ সালেই কেন চেয়েছিলেন যে উনি (নরেন্দ্র মোদি) দায়িত্ব থেকে সরে যান? শেষ পর্যন্ত অবশ্য (লালকৃষ্ণ) আদবানি পদত্যাগের হুমকি দিলে চাপে পড়ে যান বাজপেয়ী। কিন্তু সে সময়ে কেন বাজপেয়ী তাঁকে (মোদিকে) রাজধর্ম পালন করার কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন?’ লালকৃষ্ণ আদবানি সে সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন এবং নরেন্দ্র মোদি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী।

মন্তব্যের সঙ্গে জয়রাম রমেশ ইউটিউবে পাওয়া যায় এমন একটি ভিডিও জুড়ে দিয়েছেন। প্রায় এক মিনিটের এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী সাংবাদিকদের বলছেন, ‘রাজধর্ম একটি সার্থক শব্দ। আমি সেই ধর্ম পালন করার চেষ্টা করছি মাত্র। রাজা বা শাসক এক প্রজার সঙ্গে অন্য প্রজার ভেদ করতে পারেন না। জন্ম, জাতি বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে এই বিভেদে একজন রাজার বৈষম্য করা উচিত নয়।’ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাজপেয়ী যখন এই মন্তব্য করছেন, তখন তাঁর পাশে বসে মৃদু হাসছেন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অথচ এখানে খোলাখুলিভাবে বাজপেয়ী মোদির সমালোচনা করছেন। এই ভিডিও চিত্র তুলে ধরে রমেশ বলতে চেয়েছেন, গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা না থাকলে বাজপেয়ী এই মন্তব্য করতেন না।

তবে বিরোধীরা যা–ই বলুন, টুইটার এবং ইউটিউবে বিবিসির তথ্যচিত্রটির সূত্র কেউ ‘পোস্ট’ করলেই, তা সঙ্গে সঙ্গে মুছে ফেলছে ওই দুই সংস্থা। তারা পুরোপুরি ভারত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছে বলে সরকারি সূত্র প্রচারমাধ্যমকে জানিয়েছে। যাঁরা তথ্যচিত্রটিকে ‘পোস্ট’ করেছিলেন এবং যা টুইটার মুছে দিয়েছে, তেমন একজন হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য ডেরেক ওব্রায়েন।

ডেরেক ওব্রায়েন লিখেছেন, ‘সেন্সরশিপ। বিবিসির তথ্যচিত্র আমার টুইটে ছিল, টুইটার তা সরিয়ে দিয়েছে। এটি লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখেছেন। এক ঘণ্টার তথ্যচিত্র তুলে ধরেছে প্রধানমন্ত্রী কী পর্যায়ে সংখ্যালঘুদের ঘৃণা করেন।’

তবে শুধু রাজনৈতিক নেতারাই নন, ভারতসহ গোটা বিশ্বে বিবিসির তথ্যচিত্র প্রবল আলোড়ন এবং বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁরা কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন। নরেন্দ্র মোদির পক্ষের মানুষ যেমন রয়েছেন, তেমন বিপক্ষেও রয়েছেন অজস্র মানুষ। বিশ্বের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী, সমাজকর্মী থেকে শিক্ষাবিদ, ঐতিহাসিক, লেখক, শিল্পী, আইনজীবীরা নতুন করে মুখ খুলেছেন ২০০২ সালের দাঙ্গার বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদির পক্ষের লোকেদের বক্তব্য, ভারতের সর্বোচ্চ আদালত প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে আক্রমণ করার উদ্দেশ্য ২০২৪ সালের নির্বাচনে কোনো না কোনো উপায়ে তাঁকে হারানো।

আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে এই বিতর্ক আরও তীব্র আকার ধারণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, আগামীকাল বিবিসি-দুই চ্যানেলে ‘ইন্ডিয়া: দ্যা মোদি কোশ্চেন’-এর দ্বিতীয় পর্ব দেখানো হবে। এই পর্বে ২০১৪ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি ভারতে কী করেছেন বা করেননি তা তুলে ধরা হবে বলে ওই তথ্যচিত্রের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

বিজেপির নেতা–কর্মীদের একাংশ অবশ্য মনে করছেন, বিবিসির তথ্যচিত্র এবং সেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণের ফলে আগামী দিনে তাঁর এবং তাঁর দলের সুবিধাই হবে। তাঁরা মানুষকে বলতে এবং বোঝাতে পারবেন যে বিদেশি শক্তির সাহায্য নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে হারাতে চেষ্টা করছেন বিরোধীরা।

ছবি

গাজায় দুই বছরের যুদ্ধে মৃত্যু ছাড়াল ৬৫ হাজার

ছবি

ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করে ‘মুক্ত’ হতে চান নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

তেল বিক্রি বন্ধে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

মায়ানমারে ১২১টি আসনে হবে না ভোটগ্রহণ, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

ছবি

দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্য গেলেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় এবার স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল, হত্যাযজ্ঞ চলছে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন রাশিয়া-বেলারুশ সামরিক মহড়ায় কেন

ছবি

দক্ষিণ এশিয়াই কি জেন জি বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে?

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ বাড়ছে: জাতিসংঘ

ছবি

ওএবার ইউরোপকে তাড়িয়ে বেড়ানোর হুমকি রাশিয়ার

ছবি

গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল : জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন

ছবি

মুসলিম বিশ্ব নেটোর আদলে সামরিক বাহিনী গঠনে একমত

ছবি

গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন

ছবি

ভেনেজুয়েলার মাদকবাহী জলযানে মার্কিন হামলা, নিহত ৩

ছবি

ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে মুসলিম দেশগুলোকে যৌথ সামরিক জোটের আহ্বান ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

ইউরোপকে সতর্ক করল রাশিয়া

ছবি

ওয়াকফ সংশোধনী আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ছবি

তালেবান সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে জার্মানি

ছবি

১০ হাজার ইসরায়লি সেনাকে মানসিক রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে

ছবি

দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানে বিপুল সমর্থন, নারাজ যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

ছবি

নেপালে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে আবারও রাস্তায় জেন জি

ছবি

নেপালে বিক্ষোভে সহিংসতা: নিহত ৭২, আহত দুই হাজারের বেশি

ছবি

তেল কেনা বন্ধ করলেই রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চার্লি কার্কের সমালোচনাকারীদের ওপর ক্ষুব্ধ আইনপ্রণেতারা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া ‘খারাপ পরিণতি’ ডেকে আনবে

ছবি

লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে এক লাখের বেশি মানুষ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

গাজা ছেড়েছে আরও আড়াই লাখ মানুষ

ছবি

বিপর্যস্ত নেপালের পর্যটন খাত, ২ দিনে ক্ষতি ২৫০০ কোটি রুপি

ছবি

নেপাল: দায়িত্ব নিয়েই নির্বাচনের তারিখ জানিয়ে দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান

ছবি

আফগানিস্তানে বন্দি থাকা মার্কিন নাগরিকদের বিষয় নিয়ে কাবুলে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা

ছবি

রাশিয়ার ড্রোন হামলা কোনো ভুল ছিল না: পোল্যান্ড

ছবি

উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি চলচ্চিত্র দেখলেও মৃত্যুদণ্ড

ছবি

ইসরায়েলি হামলার পর ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী

ছবি

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কারকি

ছবি

হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ভোট

ছবি

কেন নেপালের এ সংকট দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

tab

নিষেধাজ্ঞা পরও মোদির ভিডিও টুইটার করছেন বিরোধীরা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

গুজরাট দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই নির্দেশের পর ভারতের বিরোধী দলগুলো প্রচারে বিষয়টিকে হাতিয়ার করছে। কেন একটি তথ্যচিত্রের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। বিজেপির নেতা–কর্মীরা অবশ্য মনে করছেন, এর ফলে লাভবান হবে বিজেপিই।

ভারতের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, গত শুক্রবার ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার এবং ইউটিউবকে নির্দেশ দেয়, বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্যা মোদি কোশ্চেন’ সরিয়ে দিতে। ২০২১ এর তথ্যপ্রযুক্তি আইনে চিত্রটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার নির্দেশ দেয় ভারত সরকার। নির্দেশ মেনে টুইটার এবং ইউটিউব তথ্যচিত্রের সূত্রগুলো মুছেও ফেলে। রোববার থেকেই ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে।

কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা জয়রাম রমেশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর বাজনাদারেরা বলছেন, তাঁর ওপর করা বিবিসির তথ্যচিত্রটিতে কুৎসা করা হয়েছে। ছবিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রশ্ন ওঠে, প্রধানমন্ত্রী (অটলবিহারী) বাজপেয়ি তবে ২০০২ সালেই কেন চেয়েছিলেন যে উনি (নরেন্দ্র মোদি) দায়িত্ব থেকে সরে যান? শেষ পর্যন্ত অবশ্য (লালকৃষ্ণ) আদবানি পদত্যাগের হুমকি দিলে চাপে পড়ে যান বাজপেয়ী। কিন্তু সে সময়ে কেন বাজপেয়ী তাঁকে (মোদিকে) রাজধর্ম পালন করার কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন?’ লালকৃষ্ণ আদবানি সে সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন এবং নরেন্দ্র মোদি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী।

মন্তব্যের সঙ্গে জয়রাম রমেশ ইউটিউবে পাওয়া যায় এমন একটি ভিডিও জুড়ে দিয়েছেন। প্রায় এক মিনিটের এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী সাংবাদিকদের বলছেন, ‘রাজধর্ম একটি সার্থক শব্দ। আমি সেই ধর্ম পালন করার চেষ্টা করছি মাত্র। রাজা বা শাসক এক প্রজার সঙ্গে অন্য প্রজার ভেদ করতে পারেন না। জন্ম, জাতি বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে এই বিভেদে একজন রাজার বৈষম্য করা উচিত নয়।’ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাজপেয়ী যখন এই মন্তব্য করছেন, তখন তাঁর পাশে বসে মৃদু হাসছেন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অথচ এখানে খোলাখুলিভাবে বাজপেয়ী মোদির সমালোচনা করছেন। এই ভিডিও চিত্র তুলে ধরে রমেশ বলতে চেয়েছেন, গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা না থাকলে বাজপেয়ী এই মন্তব্য করতেন না।

তবে বিরোধীরা যা–ই বলুন, টুইটার এবং ইউটিউবে বিবিসির তথ্যচিত্রটির সূত্র কেউ ‘পোস্ট’ করলেই, তা সঙ্গে সঙ্গে মুছে ফেলছে ওই দুই সংস্থা। তারা পুরোপুরি ভারত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছে বলে সরকারি সূত্র প্রচারমাধ্যমকে জানিয়েছে। যাঁরা তথ্যচিত্রটিকে ‘পোস্ট’ করেছিলেন এবং যা টুইটার মুছে দিয়েছে, তেমন একজন হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য ডেরেক ওব্রায়েন।

ডেরেক ওব্রায়েন লিখেছেন, ‘সেন্সরশিপ। বিবিসির তথ্যচিত্র আমার টুইটে ছিল, টুইটার তা সরিয়ে দিয়েছে। এটি লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখেছেন। এক ঘণ্টার তথ্যচিত্র তুলে ধরেছে প্রধানমন্ত্রী কী পর্যায়ে সংখ্যালঘুদের ঘৃণা করেন।’

তবে শুধু রাজনৈতিক নেতারাই নন, ভারতসহ গোটা বিশ্বে বিবিসির তথ্যচিত্র প্রবল আলোড়ন এবং বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁরা কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন। নরেন্দ্র মোদির পক্ষের মানুষ যেমন রয়েছেন, তেমন বিপক্ষেও রয়েছেন অজস্র মানুষ। বিশ্বের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী, সমাজকর্মী থেকে শিক্ষাবিদ, ঐতিহাসিক, লেখক, শিল্পী, আইনজীবীরা নতুন করে মুখ খুলেছেন ২০০২ সালের দাঙ্গার বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদির পক্ষের লোকেদের বক্তব্য, ভারতের সর্বোচ্চ আদালত প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে আক্রমণ করার উদ্দেশ্য ২০২৪ সালের নির্বাচনে কোনো না কোনো উপায়ে তাঁকে হারানো।

আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে এই বিতর্ক আরও তীব্র আকার ধারণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, আগামীকাল বিবিসি-দুই চ্যানেলে ‘ইন্ডিয়া: দ্যা মোদি কোশ্চেন’-এর দ্বিতীয় পর্ব দেখানো হবে। এই পর্বে ২০১৪ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি ভারতে কী করেছেন বা করেননি তা তুলে ধরা হবে বলে ওই তথ্যচিত্রের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

বিজেপির নেতা–কর্মীদের একাংশ অবশ্য মনে করছেন, বিবিসির তথ্যচিত্র এবং সেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণের ফলে আগামী দিনে তাঁর এবং তাঁর দলের সুবিধাই হবে। তাঁরা মানুষকে বলতে এবং বোঝাতে পারবেন যে বিদেশি শক্তির সাহায্য নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে হারাতে চেষ্টা করছেন বিরোধীরা।

back to top