alt

মোদীকে নিয়ে বিবিসি’র তথ্যচিত্র প্রদর্শনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষেধাজ্ঞা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বিবিসি দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্র নিয়ে দেশ, বিদেশে বিতর্ক তুঙ্গে। ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় মোদীর নেতৃত্ব ও তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ।

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংগঠন (জেএনইউএসইউ) মঙ্গলবার তথ্যচিত্রটি দেখানোর আয়োজন করেছিল। এক টুইটে বলা হয়েছিল, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্যাফেটেরিয়ায় তথ্যচিত্রটি দেখানো হবে।এরপর আগের দিন সোমবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়, কর্তৃপক্ষ ওই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের অনুমতি দেয়নি।

টুইটার, ইউটিউবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসি-র তৈরি তথ্যচিত্র দেখানো বন্ধের নির্দেশের পর এবার ভারতের শীর্ষ একটি বিশ্ববিদ্যালয় এ তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। নতুবা কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

‘‘কঠোরভাবে বলছি, এই ধরনের অননুমোদিত কার্যকলাপ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শান্তি ও সম্প্রীতিকে ব্যাহত করতে পারে।

‘‘সংশ্লিষ্ট ছাত্র বা ব্যক্তিদের অবিলম্বে প্রস্তাবিত কর্মসূচি বাতিল করার জোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যদি তারা তা করতে ব্যর্থ হয় তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিধি অনুযায়ী কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।”

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তৈরি বিবিসি-র তথ্যচিত্রকে কেন্দ্র করে ভারতে রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। রাজ্যে রাজ্যে বিরোধীরা তথ্যচিত্র প্রদর্শনী করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

গুজরাটে ওই দাঙ্গার সময় মোদী পশ্চিমাঞ্চলীয় এই রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেবারের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় সরকারি হিসাবেই এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন মুসলমান।

দাঙ্গায় প্রকৃত নিহতের সংখ্যা সরকারি সংখ্যার দ্বিগুণের বেশি বলে অনুমান একাধিক মানবাধিকার সংস্থার। হিন্দু তীর্থযাত্রীবাহী একটি ট্রেনে আগুন ধরে ৫৯ জনের মৃত্যুর পর গুজরাটে ওই দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল।

দাঙ্গা রোধে মোদী কার্যকর ব্যবস্থা নেননি, এমনকি নিরাপত্তা বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিলেন বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এই শীর্ষ নেতা অবশ্য প্রথম থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

দাঙ্গায় মোদী ও অন্যদের ভূমিকা তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের নিয়োগ দেওয়া বিশেষ তদন্ত দলও ২০১২ সালে দেওয়া তাদের ৫৪১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে গুজরাটের তখনকার মুখ্যমন্ত্রীকে বিচারের আওতায় আনার মতো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে।

মোদী এরপর দলের প্রধান হন; তার হাত ধরেই বিজেপি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে জিতে কেন্দ্রের ক্ষমতায় বসে। নির্বাচনে জিতে তারা ২০১৯ সালে ফের সরকার গড়ে।

গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বিবিসি-র তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোশ্চেন’ কে বিতর্কিত কাহিনী ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বানানো ‘অপপ্রচার’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন।

পরে শনিবার এক টুইটে ভারত সরকারের উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্ত জানান, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অধীনে জরুরি ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দেশটির সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই তথ্যচিত্র প্রদর্শন বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে। এমনকী তথ্যচিত্রের কোনো ক্লিপও শেয়ার করা যাবে না।

এবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্কিত এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনী বন্ধের পথে হাঁটলেও বেঁকে বসছে ছাত্র ইউনিয়ন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হুঁশিয়ারি মানার কোনো ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ঐশি ঘোষ। তিনি টুইটারে পোস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তথ্যচিত্রটি দেখতে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

তথ্যচিত্রটি দেখনোর পরিকল্পনা ঠিক আছে কিনা, রয়টার্স থেকে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমরা দেখাব।” তবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া শাস্তির হুমকি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা গভীর মনযোগে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।

দক্ষিণের রাজ্য কেরালার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েও তথ্যচিত্রটি প্রদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে এ বিষয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

ছবি

২৬ মার্কিন ধনকুবেরের সোয়া দুই কোটি ডলারও মামদানির জয় ঠেকাতে পারেনি

ছবি

আফগানিস্তান-পাকিস্তান শান্তি আলোচনা ব্যর্থ, যুদ্ধবিরতি এখনও বহাল

ছবি

পুতিনের সঙ্গে এখনও বৈঠকের সুযোগ আছে : ট্রাম্প

ছবি

ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা

ছবি

সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম মুছলো যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

অ্যান্টার্কটিকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে

ছবি

ভেস্তে গেলো আফগানিস্তান-পাকিস্তান আলোচনা

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত : রাজনাথ সিং

ছবি

প্রভাবশালী মার্কিন ডানপন্থিরা মামদানিকে আইএসের সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন

ছবি

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্প-মামদানি কি সমানে সমান

ছবি

কেন দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন সুদানের নাগরিকরা

ছবি

গাজার নিরাপত্তায় আইএসএফ গঠনের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো জাতিসংঘ

ছবি

ইতিহাসের সবচেয়ে গরম বছরগুলোর একটি হতে যাচ্ছে ২০২৫

ছবি

ইতিহাসে সর্বোচ্চ বেতন-ভাতা মাস্কের

ছবি

পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির নির্দেশ পুতিনের

ছবি

মামদানির জয়, নিউইয়র্কের ইহুদিদের দেশে চলে আসতে বললেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

ছবি

মামদানি সম্মানজনক আচরণ করলে তাঁকে সহায়তা করব: ট্রাম্প

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ প্রায় শেষ

ছবি

১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবে সৌদি আরব

ছবি

নিউইয়র্কে ইতিহাস: পাঁচ নারী নিয়ে মেয়র মামদানির প্রশাসনের সূচনা

ছবি

নিউইয়র্কের মেয়র মামদানি: নতুন ইতিহাস, ট্রাম্পের জন্য বড় ধাক্কা

ছবি

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রথম দিনই দিয়েছিলাম: ভারত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে উড্ডয়নের পরপরই বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৩

ছবি

মামদানিকে সমর্থন দেয়া ইহুদিদের ‘স্টুপিড’ বললেন ট্রাম্প

ছবি

যুদ্ধবিরতি চললেও ত্রাণ প্রবেশে বাধা, ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী

ছবি

সুদানে গণহত্যার প্রমাণ লোপাটে ‘গণকবর’ দিচ্ছে আরএসএফ

ছবি

মামদানির ঐতিহাসিক জয়ের রহস্য কী

ছবি

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হচ্ছে কানাডার দরজা

ছবি

‘সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুদণ্ড’ বিল পাসের পথে ইসরায়েলি সংসদ

ছবি

নিউইয়র্কে মামদানি জিতলে ফেডারেল তহবিল কমানোর হুমকি ট্রাম্পের

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ দিন ধরে অচল সরকার, বিমানবন্দরে তীব্র বিশৃঙ্খলা

ছবি

সুদানে ছড়িয়ে পড়ছে সংঘাত, পালাচ্ছে মানুষ

ছবি

গাজায় হাসপাতালে ধুঁকছে রোগী

tab

মোদীকে নিয়ে বিবিসি’র তথ্যচিত্র প্রদর্শনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষেধাজ্ঞা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বিবিসি দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্র নিয়ে দেশ, বিদেশে বিতর্ক তুঙ্গে। ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় মোদীর নেতৃত্ব ও তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ।

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংগঠন (জেএনইউএসইউ) মঙ্গলবার তথ্যচিত্রটি দেখানোর আয়োজন করেছিল। এক টুইটে বলা হয়েছিল, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্যাফেটেরিয়ায় তথ্যচিত্রটি দেখানো হবে।এরপর আগের দিন সোমবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়, কর্তৃপক্ষ ওই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের অনুমতি দেয়নি।

টুইটার, ইউটিউবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসি-র তৈরি তথ্যচিত্র দেখানো বন্ধের নির্দেশের পর এবার ভারতের শীর্ষ একটি বিশ্ববিদ্যালয় এ তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। নতুবা কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

‘‘কঠোরভাবে বলছি, এই ধরনের অননুমোদিত কার্যকলাপ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শান্তি ও সম্প্রীতিকে ব্যাহত করতে পারে।

‘‘সংশ্লিষ্ট ছাত্র বা ব্যক্তিদের অবিলম্বে প্রস্তাবিত কর্মসূচি বাতিল করার জোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যদি তারা তা করতে ব্যর্থ হয় তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিধি অনুযায়ী কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।”

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তৈরি বিবিসি-র তথ্যচিত্রকে কেন্দ্র করে ভারতে রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। রাজ্যে রাজ্যে বিরোধীরা তথ্যচিত্র প্রদর্শনী করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

গুজরাটে ওই দাঙ্গার সময় মোদী পশ্চিমাঞ্চলীয় এই রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেবারের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় সরকারি হিসাবেই এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন মুসলমান।

দাঙ্গায় প্রকৃত নিহতের সংখ্যা সরকারি সংখ্যার দ্বিগুণের বেশি বলে অনুমান একাধিক মানবাধিকার সংস্থার। হিন্দু তীর্থযাত্রীবাহী একটি ট্রেনে আগুন ধরে ৫৯ জনের মৃত্যুর পর গুজরাটে ওই দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল।

দাঙ্গা রোধে মোদী কার্যকর ব্যবস্থা নেননি, এমনকি নিরাপত্তা বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিলেন বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এই শীর্ষ নেতা অবশ্য প্রথম থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

দাঙ্গায় মোদী ও অন্যদের ভূমিকা তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের নিয়োগ দেওয়া বিশেষ তদন্ত দলও ২০১২ সালে দেওয়া তাদের ৫৪১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে গুজরাটের তখনকার মুখ্যমন্ত্রীকে বিচারের আওতায় আনার মতো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে।

মোদী এরপর দলের প্রধান হন; তার হাত ধরেই বিজেপি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে জিতে কেন্দ্রের ক্ষমতায় বসে। নির্বাচনে জিতে তারা ২০১৯ সালে ফের সরকার গড়ে।

গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বিবিসি-র তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোশ্চেন’ কে বিতর্কিত কাহিনী ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বানানো ‘অপপ্রচার’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন।

পরে শনিবার এক টুইটে ভারত সরকারের উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্ত জানান, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অধীনে জরুরি ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দেশটির সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই তথ্যচিত্র প্রদর্শন বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে। এমনকী তথ্যচিত্রের কোনো ক্লিপও শেয়ার করা যাবে না।

এবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্কিত এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনী বন্ধের পথে হাঁটলেও বেঁকে বসছে ছাত্র ইউনিয়ন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হুঁশিয়ারি মানার কোনো ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ঐশি ঘোষ। তিনি টুইটারে পোস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তথ্যচিত্রটি দেখতে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

তথ্যচিত্রটি দেখনোর পরিকল্পনা ঠিক আছে কিনা, রয়টার্স থেকে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমরা দেখাব।” তবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া শাস্তির হুমকি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা গভীর মনযোগে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।

দক্ষিণের রাজ্য কেরালার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েও তথ্যচিত্রটি প্রদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে এ বিষয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

back to top