ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯০০ জন। ওড়িশা রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ সচিব প্রদীপ জেনার বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) ৩টি ইউনিট। ওড়িশা রাজ্য সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর ওড়িশা ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ৪টি ইউনিট, রাজ্যের ফায়ার সার্ভিস বিভগের ১৫টি উদ্ধারকারী দল, ২০০ পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তা, ৩০ জন ডাক্তার এবং ৬০টি অ্যাম্বুলেন্স সঙ্গে যুক্ত আছে বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্য সচিব।
ফায়ারসার্ভিস ও অন্যান্য বাহিনীর কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে- কারণ দুর্ঘটনার শিকার করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটির কয়েকটি কামরায় এখনও আটকা পড়ে আছেন যাত্রীরা। তাদের বের করে আনতে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে কলকাতার শালিমার স্টেশন থেকে তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ের উদ্দেশে কলকাতার শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় ১২৮৪১ আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। তারপর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পার হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছায় বালেশ্বরে। তার আরও এক ঘণ্টা ২০ মিনিট পর বাহাঙ্গা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ কামরার ট্রেনটি।
ওড়িষার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক শনিবার ব্যাপক প্রাণঘাতী এই দুর্ঘটনার জেরে রাজ্যে একদিনের শোক ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, শনিবার রাজ্যে কোনো ধরনের উদযাপন-অনুষ্ঠান হবে না।
স্থানীয় সূত্রের খবর, একটি মালগাড়ির সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। এর ফলে ট্রেনের প্রথম তিনটি কামরা বাদে সবকটি কামরাই লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সংবাদকর্মীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপর উঠে গেছে।
শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩
ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯০০ জন। ওড়িশা রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ সচিব প্রদীপ জেনার বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) ৩টি ইউনিট। ওড়িশা রাজ্য সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর ওড়িশা ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ৪টি ইউনিট, রাজ্যের ফায়ার সার্ভিস বিভগের ১৫টি উদ্ধারকারী দল, ২০০ পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তা, ৩০ জন ডাক্তার এবং ৬০টি অ্যাম্বুলেন্স সঙ্গে যুক্ত আছে বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্য সচিব।
ফায়ারসার্ভিস ও অন্যান্য বাহিনীর কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে- কারণ দুর্ঘটনার শিকার করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটির কয়েকটি কামরায় এখনও আটকা পড়ে আছেন যাত্রীরা। তাদের বের করে আনতে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে কলকাতার শালিমার স্টেশন থেকে তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ের উদ্দেশে কলকাতার শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় ১২৮৪১ আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। তারপর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পার হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছায় বালেশ্বরে। তার আরও এক ঘণ্টা ২০ মিনিট পর বাহাঙ্গা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ কামরার ট্রেনটি।
ওড়িষার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক শনিবার ব্যাপক প্রাণঘাতী এই দুর্ঘটনার জেরে রাজ্যে একদিনের শোক ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, শনিবার রাজ্যে কোনো ধরনের উদযাপন-অনুষ্ঠান হবে না।
স্থানীয় সূত্রের খবর, একটি মালগাড়ির সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। এর ফলে ট্রেনের প্রথম তিনটি কামরা বাদে সবকটি কামরাই লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সংবাদকর্মীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপর উঠে গেছে।