সাত বছর পর রিয়াদে খুলেছে ইরানের দূতাবাস। ধারণা করা হচ্ছে খুব দ্রুত তেহরানে খুলছে সৌদি দূতাবাস। যে দুই দেশের শত্রুতা আর রেষারেষি গত চার দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যকে বিপর্যস্ত করেছে সেই ইরান আর সৌদি আরব মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় এক চুক্তি করার পর থেকে যেভাবে দ্রুত ঘনিষ্ঠ হচ্ছে তা নিঃসন্দেহে বিস্মিত হওয়ার মতো ।
তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে যাত্রী বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে। একজন ইরানি সৌদি আরবে ৮ লাখ ডলারের কোরান তেলাওয়াতের এক প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে। ইরান থেকে সৌদি আরবে ইস্পাত রপ্তানি শুরু হয়েছে।
সুদানে আটকে পড়া ৬০ জন ইরানি নাগরিককে সৌদি নৌবাহিনী উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর ইরান ও সৌদি কর্মকর্তাদের কোলাকুলি করতে দেখা গেছে। এবং ইরানের সরকারি সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে খুব শিঘ্রি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির রিয়াদ সফরের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এসব উদ্যোগের পেছনে কপটতা দেখেছেন না বিশ্লেষকরা, তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন সৌদি আরব আর ইরানের এই সখ্যতার ভিত্তি কতটা শক্ত? কতদিন তা টিকবে?
এই সন্দেহের মূলে রয়েছে এই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েনের দীর্ঘ ইতিহাস যা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে কম-বেশি বিপর্যস্ত করেছে। যে টানাপড়েনের মূলে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে নেতৃত্ব নিয়ে শিয়া ইরান এবং সুন্নি সৌদি আরবের অব্যাহত প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
বিশেষ করে সৌদি আরব এবং উপসাগরীয় রাজতন্ত্রগুলো ভয় পেয়ে যায় আয়াতোল্লাহ খোমেনি হয়তো এখন তার ধর্মীয় বিপ্লবের রেসিপি আশপাশে রপ্তানি শুরু করে দেবেন। ফলে, তখন থেকেই ইরান এবং প্রতিবেশী সুন্নি আরব দেশগুলোর মধ্যে বৈরিতা আর রেষারেষি নতুন মাত্রা পেতে শুরু করে।
মার্কিন গবেষণা সংস্থা আটলান্টিক কাউন্সিলের সারাহ জাইমি সম্প্রতি তার এক গবেষণা নিবন্ধে লিখেছেন ১৯৮০র দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধ থেকে শুরু করে একে এক লেবানন, ইয়েমেন এবং সবশেষে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের মূলে রয়েছে সেই রেষারেষি।
ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত শিয়া হুতি মিলিশিয়াদের বিদ্রোহ দমনে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে সৌদি আরব। লেবাননে ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া হেজবোল্লার প্রভাব খর্ব করতে সেদেশের সুন্নি গোষ্ঠীগুলোকে টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করতে শুরু করে সৌদিরা।
লন্ডনে মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির বিশ্লেষক সাদি হামদি বিশ্বাস করেন ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে এই বৈরিতা এবং সন্দেহ এতই গভীর যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে একটি বোঝাপড়ায় তা দূর হবেনা।
বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩
সাত বছর পর রিয়াদে খুলেছে ইরানের দূতাবাস। ধারণা করা হচ্ছে খুব দ্রুত তেহরানে খুলছে সৌদি দূতাবাস। যে দুই দেশের শত্রুতা আর রেষারেষি গত চার দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যকে বিপর্যস্ত করেছে সেই ইরান আর সৌদি আরব মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় এক চুক্তি করার পর থেকে যেভাবে দ্রুত ঘনিষ্ঠ হচ্ছে তা নিঃসন্দেহে বিস্মিত হওয়ার মতো ।
তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে যাত্রী বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে। একজন ইরানি সৌদি আরবে ৮ লাখ ডলারের কোরান তেলাওয়াতের এক প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে। ইরান থেকে সৌদি আরবে ইস্পাত রপ্তানি শুরু হয়েছে।
সুদানে আটকে পড়া ৬০ জন ইরানি নাগরিককে সৌদি নৌবাহিনী উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর ইরান ও সৌদি কর্মকর্তাদের কোলাকুলি করতে দেখা গেছে। এবং ইরানের সরকারি সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে খুব শিঘ্রি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির রিয়াদ সফরের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এসব উদ্যোগের পেছনে কপটতা দেখেছেন না বিশ্লেষকরা, তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন সৌদি আরব আর ইরানের এই সখ্যতার ভিত্তি কতটা শক্ত? কতদিন তা টিকবে?
এই সন্দেহের মূলে রয়েছে এই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েনের দীর্ঘ ইতিহাস যা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে কম-বেশি বিপর্যস্ত করেছে। যে টানাপড়েনের মূলে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে নেতৃত্ব নিয়ে শিয়া ইরান এবং সুন্নি সৌদি আরবের অব্যাহত প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
বিশেষ করে সৌদি আরব এবং উপসাগরীয় রাজতন্ত্রগুলো ভয় পেয়ে যায় আয়াতোল্লাহ খোমেনি হয়তো এখন তার ধর্মীয় বিপ্লবের রেসিপি আশপাশে রপ্তানি শুরু করে দেবেন। ফলে, তখন থেকেই ইরান এবং প্রতিবেশী সুন্নি আরব দেশগুলোর মধ্যে বৈরিতা আর রেষারেষি নতুন মাত্রা পেতে শুরু করে।
মার্কিন গবেষণা সংস্থা আটলান্টিক কাউন্সিলের সারাহ জাইমি সম্প্রতি তার এক গবেষণা নিবন্ধে লিখেছেন ১৯৮০র দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধ থেকে শুরু করে একে এক লেবানন, ইয়েমেন এবং সবশেষে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের মূলে রয়েছে সেই রেষারেষি।
ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত শিয়া হুতি মিলিশিয়াদের বিদ্রোহ দমনে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে সৌদি আরব। লেবাননে ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া হেজবোল্লার প্রভাব খর্ব করতে সেদেশের সুন্নি গোষ্ঠীগুলোকে টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করতে শুরু করে সৌদিরা।
লন্ডনে মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির বিশ্লেষক সাদি হামদি বিশ্বাস করেন ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে এই বৈরিতা এবং সন্দেহ এতই গভীর যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে একটি বোঝাপড়ায় তা দূর হবেনা।