alt

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার, দাবি বিজ্ঞানীদের, দেখা সম্ভব প্রযুক্তির সহায়তায়

আল জাজিরা : রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল দাবি করেছে, তারা এমন একটি নতুন রঙ আবিষ্কার করেছেন, যা খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। প্রযুক্তির সাহায্যে বিশেষ পদ্ধতিতে এই রঙ অনুভব করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। রংঙটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ওলো’ (olo)। যে পাঁচজন এই রঙ দেখেছেন তারা বলছেন এটা টিলের মতো অর্থাৎ নীলাভ সবুজ।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ১৮ এপ্রিল ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ জার্নালে এই রঙ নিয়ে তাদের গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন।

প্রধান গবেষক অধ্যাপক রেন এনজি বলেন, “আমরা ‘ওজ’ (OZ) নামে একটি প্রযুক্তি তৈরি করেছি, যা মানুষের চোখের ফটোরিসেপ্টর (আলোকগ্রাহক) কোষগুলোকে নির্দিষ্টভাবে উদ্দীপিত করে নতুন রঙ দেখার সুযোগ দেয়। এটি ছিল চোখের রেটিনায় সরাসরি লেজার আলোক রশ্মি নিক্ষেপের মাধ্যমে করা একটি পরীক্ষা।”

তিনি জানান, “এই ‘ওলো’ রঙটি কিছুটা নীলাভ সবুজ বা টিলের মতো, তবে এমনভাবে পরিপূর্ণ ও গভীর যা আমরা আগে কখনও দেখিনি।”

বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা করেন, মানুষের চোখের তিন ধরনের কোষ — এস (S), এম (M) ও এল (L) কোষ — যথাক্রমে নীল, সবুজ ও লাল তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শনাক্ত করে। কিন্তু বাস্তবে এম (M) কোষ কখনোই একা সক্রিয় হয় না। নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে শুধুমাত্র এম কোষ উদ্দীপিত করে যে রঙ দেখা গেছে, সেটিই ‘ওলো’।

গবেষণা দলের সদস্য অস্টিন রুরদা জানান, “‘ওজ’ আসলে একটি মাইক্রোস্কোপের মতো, যা রেটিনার উপর আলোক রশ্মি প্রক্ষেপণ করে। এটি চোখের রোগ নিয়ে গবেষণার জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে।”

গবেষক হান্না ডয়েল বলেন, “আমি যখন ‘ওলো’ দেখলাম, এটা এতটাই গভীর ও প্রাণবন্ত টিল (নীলাভ সবুজ) রঙের ছিল যে প্রচলিত যেকোনো প্রাকৃতিক রঙ ম্লান মনে হয়েছে।”

প্রযুক্তি ব্যবহারের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি রঙ-বিভ্রান্তি বা কালার ব্লাইন্ডনেস দূরীকরণে সহায়ক হতে পারে। তবে প্রযুক্তিটি বর্তমানে এতটাই সংবেদনশীল ও স্থিতিশীলতার উপর নির্ভরশীল যে, ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এটি সহজলভ্য করতে এখনও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষক ফ্রান্সিস উইন্ড্রাম বলেন, “রঙ দেখার ক্ষমতা তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে—আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য, স্নায়বিক প্রক্রিয়াকরণ এবং ভাষাগত নামকরণ। তাই ওলো নতুন হলেও তার অস্তিত্ব চিরকাল ছিল, আমরা শুধু আগে তা দেখতে পারতাম না।”

‘ওলো’ — দেখছেন মাত্র পাঁচজন

গবেষণায় অংশ নেওয়া পাঁচজন ব্যক্তি, যারা সবাই স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তির অধিকারী, এই রঙ দেখার সুযোগ পান। তাদের মধ্যে তিনজন গবেষণা নিবন্ধের সহ-লেখক এবং বাকি দুজন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে যুক্ত ছিলেন।

সাধারণ মানুষের কবে দেখবেন?

গবেষকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে স্মার্টফোন, টিভি কিংবা ভার্চুয়াল রিয়ালিটি হেডসেটেও এই রঙ প্রদর্শন সম্ভব নয়। কারণ ওলো এমন এক রঙ, যা শুধু বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে সরাসরি চোখের কোষে আলো পাঠিয়ে অনুভব করা সম্ভব।

ছবি

গুলশানে প্রিয়শপের নতুন গ্রিন হাব

ছবি

জাপান আইটি উইকে অংশ নিচ্ছে বেসিসের ৬ সদস্য প্রতিষ্ঠান

ছবি

দ্বিতীয়বারের মতো গুগলের ‘ইনডিপেন্ডেন্ট সিকিউরিটি রিভিউ’ ব্যাজ পেল ইমো

ছবি

চলছে অনার এক্স৮সি ফোনের প্রি-বুকিং

ছবি

বাংলাদেশে ৪টি এআইওটি ব্র্যান্ড নিয়ে এলো আকিজ টেলিকম

ছবি

ফরিদপুরে আকাশে উড়ার স্বপ্ন থেকে প্যারাগ্লাইডার বানালেন মারুফ

ছবি

গ্রামীণফোনের ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

বুয়েটে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসব

ছবি

ঢাকায় ইনফিনিক্স নোট ৫০ সিরিজের এক্সপেরিয়েন্স ইভেন্ট

ছবি

বাংলাদেশে আসছে ৫১২ জিবি স্টোরেজসহ অনার এক্স৮সি ফোন

ছবি

পানিরোধী স্মার্টফোন সি৭৫এক্স আনল রিয়েলমি

ছবি

বিকাশ পেমেন্টে অনলাইন কোর্সে ক্যাশব্যাক ও ডিসকাউন্ট

ছবি

ভিভো ভি৫০ লাইটের প্রি-অর্ডার শুরু

ছবি

সিভিক অ্যান্ড ডিজিটাল স্পেস নিরাপদ ও শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

ব্রাদার প্রিন্টারে বৈশাখী অফার

ছবি

ইস্পোর্টস ও গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন মাত্রা নিয়ে আসছে পাবজি মোবাইল

ছবি

হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশ’ এর নিবন্ধন শুরু

ছবি

চুয়েটে হুয়াওয়ের ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম

ছবি

বাংলালিংকের ডেপুটি সিইও হিসেবে নিয়োগ পেলেন জহরত আদিব চৌধুরী

ছবি

সরকারি জনসংযোগ কর্মকর্তাদের জন্য ডিজিটাল ভেরিফিকেশন অ্যান্ড ফ্যাক্ট চেকিং প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ছবি

‘ট্যাপট্যাপ সেন্ড’ থেকে বিকাশে রেমিটেন্স গ্রহণকারী বিজয়ীরা পুরস্কৃত

ছবি

বিটিআরসিতে ইউনিভার্সেল একসেপ্টেন্স ডে-২০২৫ উদযাপিত উন্মোচিত হলো বাংলা ডোমেইনে ই-মেইল ব্যবহার

ছবি

বাজারে নতুন স্মার্টফোন অপো রেনো১৩ ৫জি

ছবি

ঈদুল ফিতরে ২১ হাজার উদ্যোক্তাকে ডিজিটাল রূপান্তরে সহায়তা করল জাতিকইজি

ছবি

সফোসের ২০২৫ সালের অ্যাক্টিভ অ্যাডভারসারি রিপোর্ট প্রকাশ

ছবি

বাজারে লেক্সারের নতুন ইন্টারনাল এসএসডি

ছবি

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পাঠাওয়ের বাংলা ফুড ফেস্ট

ছবি

প্রদান করা হলো ডিআইইউ এজেন্টিক এআই এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫

ছবি

আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ন্যাশনাল ডাটা এনালাইটিকস প্রতিযোগিতা-২০২৫ এ চ্যাম্পিয়ন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি

ছবি

শিক্ষার্থীদের জন্য খুলনায় স্টেম ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

ছবি

আল্ট্রা স্লিম স্মার্টফোন ভিভো ভি৫০ লাইট দেবে ৯০ ওয়াট ফ্ল্যাশ চার্জ

ছবি

‘সি৭৫’ লাইন-আপে নতুন স্মার্টফোন আনছে রিয়েলমি

ছবি

চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাড়ছে অভিবাসীর সংখ্যা : ডিজিটাল অভিবাসনে কাজ করছে ‘আমি প্রবাসী’

ছবি

ডিজিটাল সুরক্ষায় টিকটকের ফ্যামিলি পেয়ারিংয়ের নতুন ফিচার

বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অলিম্পিয়াড ২০২৫ এর নিবন্ধন চলছে

১৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ পেয়েছে দেশীয় স্টার্টআপ ‘শপআপ’

tab

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার, দাবি বিজ্ঞানীদের, দেখা সম্ভব প্রযুক্তির সহায়তায়

আল জাজিরা

রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল দাবি করেছে, তারা এমন একটি নতুন রঙ আবিষ্কার করেছেন, যা খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। প্রযুক্তির সাহায্যে বিশেষ পদ্ধতিতে এই রঙ অনুভব করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। রংঙটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ওলো’ (olo)। যে পাঁচজন এই রঙ দেখেছেন তারা বলছেন এটা টিলের মতো অর্থাৎ নীলাভ সবুজ।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ১৮ এপ্রিল ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ জার্নালে এই রঙ নিয়ে তাদের গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন।

প্রধান গবেষক অধ্যাপক রেন এনজি বলেন, “আমরা ‘ওজ’ (OZ) নামে একটি প্রযুক্তি তৈরি করেছি, যা মানুষের চোখের ফটোরিসেপ্টর (আলোকগ্রাহক) কোষগুলোকে নির্দিষ্টভাবে উদ্দীপিত করে নতুন রঙ দেখার সুযোগ দেয়। এটি ছিল চোখের রেটিনায় সরাসরি লেজার আলোক রশ্মি নিক্ষেপের মাধ্যমে করা একটি পরীক্ষা।”

তিনি জানান, “এই ‘ওলো’ রঙটি কিছুটা নীলাভ সবুজ বা টিলের মতো, তবে এমনভাবে পরিপূর্ণ ও গভীর যা আমরা আগে কখনও দেখিনি।”

বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা করেন, মানুষের চোখের তিন ধরনের কোষ — এস (S), এম (M) ও এল (L) কোষ — যথাক্রমে নীল, সবুজ ও লাল তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শনাক্ত করে। কিন্তু বাস্তবে এম (M) কোষ কখনোই একা সক্রিয় হয় না। নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে শুধুমাত্র এম কোষ উদ্দীপিত করে যে রঙ দেখা গেছে, সেটিই ‘ওলো’।

গবেষণা দলের সদস্য অস্টিন রুরদা জানান, “‘ওজ’ আসলে একটি মাইক্রোস্কোপের মতো, যা রেটিনার উপর আলোক রশ্মি প্রক্ষেপণ করে। এটি চোখের রোগ নিয়ে গবেষণার জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে।”

গবেষক হান্না ডয়েল বলেন, “আমি যখন ‘ওলো’ দেখলাম, এটা এতটাই গভীর ও প্রাণবন্ত টিল (নীলাভ সবুজ) রঙের ছিল যে প্রচলিত যেকোনো প্রাকৃতিক রঙ ম্লান মনে হয়েছে।”

প্রযুক্তি ব্যবহারের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি রঙ-বিভ্রান্তি বা কালার ব্লাইন্ডনেস দূরীকরণে সহায়ক হতে পারে। তবে প্রযুক্তিটি বর্তমানে এতটাই সংবেদনশীল ও স্থিতিশীলতার উপর নির্ভরশীল যে, ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এটি সহজলভ্য করতে এখনও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষক ফ্রান্সিস উইন্ড্রাম বলেন, “রঙ দেখার ক্ষমতা তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে—আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য, স্নায়বিক প্রক্রিয়াকরণ এবং ভাষাগত নামকরণ। তাই ওলো নতুন হলেও তার অস্তিত্ব চিরকাল ছিল, আমরা শুধু আগে তা দেখতে পারতাম না।”

‘ওলো’ — দেখছেন মাত্র পাঁচজন

গবেষণায় অংশ নেওয়া পাঁচজন ব্যক্তি, যারা সবাই স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তির অধিকারী, এই রঙ দেখার সুযোগ পান। তাদের মধ্যে তিনজন গবেষণা নিবন্ধের সহ-লেখক এবং বাকি দুজন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে যুক্ত ছিলেন।

সাধারণ মানুষের কবে দেখবেন?

গবেষকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে স্মার্টফোন, টিভি কিংবা ভার্চুয়াল রিয়ালিটি হেডসেটেও এই রঙ প্রদর্শন সম্ভব নয়। কারণ ওলো এমন এক রঙ, যা শুধু বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে সরাসরি চোখের কোষে আলো পাঠিয়ে অনুভব করা সম্ভব।

back to top