ইলন মাস্কের হাতে চলে গেলে টুইটারের ভবিষ্যৎ ‘অন্ধকার’। সোমবার টুইটারের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় নাকি এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল। মাস্কের জমানায় টুইটারের ভবিষ্যতের কার্যপ্রণালি ব্যাহত হবে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। এমনটাই দাবি করেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের দাবি, পরাগ বলেছেন, ‘টুইটার একবার হস্তান্তর হয়ে গেলে এই কোম্পানি কীভাবে কাজ করবে, তা আমরা জানি না।’
খুব শিগগির ইলন টুইটার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও এই মাইক্রোব্লগিং সাইট নিজেদের কর্মীদের জানিয়েছে।
সোমবার টুইটার কিনে নেন আমেরিকার ধনকুবের ইলন। ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে এই মাইক্রোব্লগিং সাইটের মালিকানা পেলেন তিনি। শেয়ার কেনার জন্য পুরো টাকাই মাস্ক নগদে দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
টুইটার বোর্ডের তরফে ব্রেট টেলর জানান, দীর্ঘ বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, মাস্কের প্রস্তাব আখেরে লাভজনক। কোম্পানির কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, টুইটারের প্রতে৵ক শেয়ারহোল্ডারের জন্য এই সিদ্ধান্তই সবচেয়ে ভালো। টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল নাকি তখন বলেন, ‘টুইটারের উদ্দেশ্য ও প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে, যা সারা বিশ্বকে প্রভাবিত করে। আমাদের পুরো দলের জন্য আমি খুবই গর্বিত।’
আগরওয়ালের এই বক্তব্য প্রচারিত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে তাঁকে সরানো খুব সহজ কাজ হবে না। চুক্তি অনুযায়ী ১২ মাসের মধ্যে তাঁকে পদ থেকে সরানো হলে ৪২ মিলিয়ন বা ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার পাবেন টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল, এমনটাই জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকুইলার। তাদের তথ্যানুসারে, এক বছরের বেতন ও আনুষঙ্গিক মিলিয়েই ওই টাকা পাবেন তিনি। যদিও টুইটারের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে ১৪ এপ্রিল একটি অনুষ্ঠানে মাস্ক জানিয়েছিলেন, টুইটারের ব্যবস্থাপনায় তাঁর আস্থা নেই।
মাস্কের দাবি, তিনি টুইটারের অংশীদার হওয়ার সময়ে ভেবেছিলেন, টুইটার বিশ্বজুড়ে বাক্স্বাধীনতার মূল মাধ্যম হয়ে উঠবে। কিন্তু বিনিয়োগ করার পরই নাকি তিনি উপলব্ধি করছেন যে বর্তমান অবস্থায় তা কখনো সম্ভব নয় টুইটারের পক্ষে। তাই ব্যক্তিগত মালিকানার সংস্থা হিসেবে এর বদল ঘটানোই তাঁর লক্ষ্য। কিন্তু এই ‘বাক্স্বাধীনতা’ টুইটারকে কতটা বদলে দিতে পারে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে বিশ্ববাজারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে টুইটার অনেক অতি দক্ষিণপন্থীদের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। ট্রাম্পও সে দলে পড়েন। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ইউএস ক্যাপিটল আক্রমণের পর ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট চিরকালের জন্য নিষিদ্ধ করে দেয় টুইটার। ইলন মাস্কের হাতে টুইটারের মালিকানা যাওয়ার পর অনেকেই মনে করছেন, তাঁরা আবার টুইটার ব্যবহার করতে পারবেন। ট্রাম্প ফিরবেন কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ট্রাম্প অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি ইলন মাস্ককে খুব পছন্দ করলেও টুইটারে ফিরবেন না।
তবে ট্রাম্পের যে রেকর্ড, তাতে এই কথায় তাঁর অতি ভক্তরাও বিশ্বাস স্থাপন করতে ভরসা পাবেন না। ট্রাম্প টুইটারে ফিরলে মার্কিন রাজনীতিতে আবার ঝড় ওঠে কি না, সেই সম্ভাবনাও নাকচ করে দেওয়া যায় না বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
টুইটার কিনে নেওয়ার পর ইলন মাস্ক নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে বলেন, ‘বাক্স্বাধীনতা গণতন্ত্রের ভিত্তিপ্রস্তর। আর টুইটার এমন একটি ডিজিটাল ক্ষেত্র যেখানে ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রতিনিয়ত তর্কবিতর্ক হয়। আমি টুইটারকে আগের থেকে ভালো ও যুগোপযোগী করে তুলতে চাই, যেখানে অনেক নতুন সুবিধা যোগ করা হবে। এর ফলে আদতে মানুষ উপকৃতই হবেন। টুইটার খুবই সম্ভাবনাময়। আমি এই কোম্পানির সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।’
বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
ইলন মাস্কের হাতে চলে গেলে টুইটারের ভবিষ্যৎ ‘অন্ধকার’। সোমবার টুইটারের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় নাকি এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল। মাস্কের জমানায় টুইটারের ভবিষ্যতের কার্যপ্রণালি ব্যাহত হবে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। এমনটাই দাবি করেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের দাবি, পরাগ বলেছেন, ‘টুইটার একবার হস্তান্তর হয়ে গেলে এই কোম্পানি কীভাবে কাজ করবে, তা আমরা জানি না।’
খুব শিগগির ইলন টুইটার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও এই মাইক্রোব্লগিং সাইট নিজেদের কর্মীদের জানিয়েছে।
সোমবার টুইটার কিনে নেন আমেরিকার ধনকুবের ইলন। ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে এই মাইক্রোব্লগিং সাইটের মালিকানা পেলেন তিনি। শেয়ার কেনার জন্য পুরো টাকাই মাস্ক নগদে দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
টুইটার বোর্ডের তরফে ব্রেট টেলর জানান, দীর্ঘ বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, মাস্কের প্রস্তাব আখেরে লাভজনক। কোম্পানির কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, টুইটারের প্রতে৵ক শেয়ারহোল্ডারের জন্য এই সিদ্ধান্তই সবচেয়ে ভালো। টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল নাকি তখন বলেন, ‘টুইটারের উদ্দেশ্য ও প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে, যা সারা বিশ্বকে প্রভাবিত করে। আমাদের পুরো দলের জন্য আমি খুবই গর্বিত।’
আগরওয়ালের এই বক্তব্য প্রচারিত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে তাঁকে সরানো খুব সহজ কাজ হবে না। চুক্তি অনুযায়ী ১২ মাসের মধ্যে তাঁকে পদ থেকে সরানো হলে ৪২ মিলিয়ন বা ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার পাবেন টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল, এমনটাই জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকুইলার। তাদের তথ্যানুসারে, এক বছরের বেতন ও আনুষঙ্গিক মিলিয়েই ওই টাকা পাবেন তিনি। যদিও টুইটারের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে ১৪ এপ্রিল একটি অনুষ্ঠানে মাস্ক জানিয়েছিলেন, টুইটারের ব্যবস্থাপনায় তাঁর আস্থা নেই।
মাস্কের দাবি, তিনি টুইটারের অংশীদার হওয়ার সময়ে ভেবেছিলেন, টুইটার বিশ্বজুড়ে বাক্স্বাধীনতার মূল মাধ্যম হয়ে উঠবে। কিন্তু বিনিয়োগ করার পরই নাকি তিনি উপলব্ধি করছেন যে বর্তমান অবস্থায় তা কখনো সম্ভব নয় টুইটারের পক্ষে। তাই ব্যক্তিগত মালিকানার সংস্থা হিসেবে এর বদল ঘটানোই তাঁর লক্ষ্য। কিন্তু এই ‘বাক্স্বাধীনতা’ টুইটারকে কতটা বদলে দিতে পারে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে বিশ্ববাজারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে টুইটার অনেক অতি দক্ষিণপন্থীদের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। ট্রাম্পও সে দলে পড়েন। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ইউএস ক্যাপিটল আক্রমণের পর ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট চিরকালের জন্য নিষিদ্ধ করে দেয় টুইটার। ইলন মাস্কের হাতে টুইটারের মালিকানা যাওয়ার পর অনেকেই মনে করছেন, তাঁরা আবার টুইটার ব্যবহার করতে পারবেন। ট্রাম্প ফিরবেন কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ট্রাম্প অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি ইলন মাস্ককে খুব পছন্দ করলেও টুইটারে ফিরবেন না।
তবে ট্রাম্পের যে রেকর্ড, তাতে এই কথায় তাঁর অতি ভক্তরাও বিশ্বাস স্থাপন করতে ভরসা পাবেন না। ট্রাম্প টুইটারে ফিরলে মার্কিন রাজনীতিতে আবার ঝড় ওঠে কি না, সেই সম্ভাবনাও নাকচ করে দেওয়া যায় না বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
টুইটার কিনে নেওয়ার পর ইলন মাস্ক নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে বলেন, ‘বাক্স্বাধীনতা গণতন্ত্রের ভিত্তিপ্রস্তর। আর টুইটার এমন একটি ডিজিটাল ক্ষেত্র যেখানে ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রতিনিয়ত তর্কবিতর্ক হয়। আমি টুইটারকে আগের থেকে ভালো ও যুগোপযোগী করে তুলতে চাই, যেখানে অনেক নতুন সুবিধা যোগ করা হবে। এর ফলে আদতে মানুষ উপকৃতই হবেন। টুইটার খুবই সম্ভাবনাময়। আমি এই কোম্পানির সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।’