জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাখসান্দ এশিয়ার নোবেলখ্যাত র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেয়েছেন। করভিকে ‘উদীয়মান নেতা’ হিসেবে এই পুরস্কার দিয়েছে র্যামন ম্যাগসাইসাই কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ৯টায় র্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
করভি রাখসান্দের সঙ্গে এই পুরস্কার পেয়েছেন আরও ৩ জন— ভারতের রবি কান্নান আর, পূর্ব তিমুরের ইগুয়েনিও লেমোস ও ফিলিপাইনের মিরিয়াম করোনেল–ফেরের।
ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, খুব ছোট পরিসরে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে জাগো ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। যেটি মূলত শিক্ষা নিয়ে কাজ করে। তারা ১০টি জেলায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে সরকার-স্বীকৃত ইংরেজি ভাষার প্রাথমিক ও উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করে থাকে। র্যামন ম্যাগসাইসাই-এর বোর্ড অব ট্রাস্টিস তার এই কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কারটি দিয়েছে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় করভি রাখসান্দ বলেন, এ পুরস্কার বা এই সম্মাননা শুধু আমার একার নয়; এ দীর্ঘ পথচলায় যারা আমার সঙ্গে ছিল সবাই এটার দাবিদার। আমরা ২০০৭ সাল থেকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে আসছি। শিক্ষামূলক কার্যক্রমে ক্রমান্বয়ে আমাদের পরিধি আরও বেড়েছে। এ পুরস্কার আমাদের জন্য একটি বড় স্বীকৃতি। এটি আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল।
এর আগে বাংলাদেশ থেকে মোট ১২ জন এ পুরস্কার পেয়েছেন। তারা হলেন— সমাজসেবী তহরুন্নেসা আবদুল্লাহ (১৯৭৮), ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ (১৯৮০), গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (১৯৮৪), গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী (১৯৮৫), ক্যাথলিক ধর্মযাজক রিচার্ড উইলিয়াম টিম (১৯৮৭), দিদার কমপ্রিহেন্সিভ ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন (১৯৮৮), বেসরকারি সংগঠন বাঁচতে শেখার প্রতিষ্ঠাতা অ্যাঞ্জেলা গোমেজ (১৯৯৯), বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ (২০০৪), প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান (২০০৫), বেসরকারি সংগঠন সিডিডির নির্বাহী পরিচালক এএইচএম নোমান (২০১০), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (২০১২) ও বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী (২০২১)।
উল্লেখ্য, পুরস্কারটি দেওয়া হয় ফিলিপিন্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট র্যামন ম্যাগসাইসাইয়ের নামে। ১৯৫৭ সালের ১৭ মার্চ মর্মান্তিক এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি। ১৯৫৮ সাল থেকে তার নামে প্রতিষ্ঠিত র্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন থেকে এ পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট ২০২৩
জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাখসান্দ এশিয়ার নোবেলখ্যাত র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেয়েছেন। করভিকে ‘উদীয়মান নেতা’ হিসেবে এই পুরস্কার দিয়েছে র্যামন ম্যাগসাইসাই কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ৯টায় র্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
করভি রাখসান্দের সঙ্গে এই পুরস্কার পেয়েছেন আরও ৩ জন— ভারতের রবি কান্নান আর, পূর্ব তিমুরের ইগুয়েনিও লেমোস ও ফিলিপাইনের মিরিয়াম করোনেল–ফেরের।
ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, খুব ছোট পরিসরে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে জাগো ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। যেটি মূলত শিক্ষা নিয়ে কাজ করে। তারা ১০টি জেলায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে সরকার-স্বীকৃত ইংরেজি ভাষার প্রাথমিক ও উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করে থাকে। র্যামন ম্যাগসাইসাই-এর বোর্ড অব ট্রাস্টিস তার এই কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কারটি দিয়েছে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় করভি রাখসান্দ বলেন, এ পুরস্কার বা এই সম্মাননা শুধু আমার একার নয়; এ দীর্ঘ পথচলায় যারা আমার সঙ্গে ছিল সবাই এটার দাবিদার। আমরা ২০০৭ সাল থেকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে আসছি। শিক্ষামূলক কার্যক্রমে ক্রমান্বয়ে আমাদের পরিধি আরও বেড়েছে। এ পুরস্কার আমাদের জন্য একটি বড় স্বীকৃতি। এটি আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল।
এর আগে বাংলাদেশ থেকে মোট ১২ জন এ পুরস্কার পেয়েছেন। তারা হলেন— সমাজসেবী তহরুন্নেসা আবদুল্লাহ (১৯৭৮), ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ (১৯৮০), গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (১৯৮৪), গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী (১৯৮৫), ক্যাথলিক ধর্মযাজক রিচার্ড উইলিয়াম টিম (১৯৮৭), দিদার কমপ্রিহেন্সিভ ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন (১৯৮৮), বেসরকারি সংগঠন বাঁচতে শেখার প্রতিষ্ঠাতা অ্যাঞ্জেলা গোমেজ (১৯৯৯), বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ (২০০৪), প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান (২০০৫), বেসরকারি সংগঠন সিডিডির নির্বাহী পরিচালক এএইচএম নোমান (২০১০), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (২০১২) ও বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী (২০২১)।
উল্লেখ্য, পুরস্কারটি দেওয়া হয় ফিলিপিন্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট র্যামন ম্যাগসাইসাইয়ের নামে। ১৯৫৭ সালের ১৭ মার্চ মর্মান্তিক এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি। ১৯৫৮ সাল থেকে তার নামে প্রতিষ্ঠিত র্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন থেকে এ পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়।