প্রথমবারের মতো ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘মিডিয়া কম্পিটিশন ২০২৩’। প্রিন্ট ও অনলাইন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে ৬ সাংবাদিককে এই পুরস্কার দেয়া হয়। প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক নাজনীন আকতার, প্রথম রানার আপ দৈনিক সংবাদের জাহিদা পারভেজ ছন্দা ও ২য় রানার আপ হয়েছেন ও দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের নিজস্ব প্রতিবেদক ফয়সাল খান।
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিভাগে প্রথম হয়েছেন এটিএন বাংলার মো. শরফুল আলম এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন চ্যানেল আইয়ের নিজস্ব প্রতিবেদক জাকিয়া আকতার ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জিনিয়া কবির সূচনা।
গতকাল রাজধানীর লেক শোর হোটেলের লা ভিটা ব্যাঙ্কোয়েট হলে আয়োজিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে অর্থ, সম্মাননা স্মারক ও প্রশংসাপত্র তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। পুরস্কার প্রদানের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করে ব্রান্ড কার্ট।
প্রতিযোগিতার বিচারক মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, নেক্সাস টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সালাউদ্দিন লাভলু ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ শাহানা হুদা রঞ্জনা। তাদের বিবেচনায় ‘স্কুলে অভুক্ত শিশুদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষতি’ বিষয়ক রিপোর্টের জন্য শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন প্রথম আলোর নাজনীন আকতার। এ ছাড়া দুই রানার আপ হয়েছেন ‘হারিয়ে যাচ্ছে মাঠ, চার দেয়ালে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম’ প্রতিবেদনের জন্য ছন্দা ও ‘দখলমুক্ত মাঠেও খেলতে মানা’ প্রতিবেদনের জন্য ফয়সাল।
অন্যদিকে ‘ভ্রান্ত ধারণা ও প্রয়োজনীয় উপকরণেরর অভাবে ব্যাহত হচ্ছে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা’ শিরোনামের রিপোর্ট মো. শরফুল আলমকে শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান এনে দিয়েছে। অন্যদিকে দুই রানার আপ নির্বাচিত হন জাকিয়া ও জিনিয়া যথাক্রমে ‘বায়ুদূষণ’ ও ‘দেশে বাড়ছে বাল্যবিবাহ’ রিপোর্টের জন্য।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে এবং বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের সরকার ক্ষুধা, নিরক্ষরতা দূরীকরণে কাজ করেছে আগামীতেও করবে। আর এই ক্ষুধা, নিরক্ষরতা দূরীকরণে আমাদের অর্জন দৃশ্যমান। কোথায় ছিলাম আমরা আর এখন কোথায় আছি এটি পরিষ্কার।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পূর্বের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। বিশেষ করে গত দেড় দশকে আমরা অনেক এগিয়েছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য অনেক উন্নয়ন হয়েছে। গ্রামে গ্রামে আমাদের উন্নয়ন পৌঁছে গেছে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে আমরা ভালো আছি। সরকার দারিদ্র্যতা দূরীকরণে কাজ করছে। গ্রামে গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্প করে দিয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্রদের সহায়তা দিচ্ছে। যার প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি। এখন আমাদের মূল কাজ হলো দরিদ্র অবস্থা থেকে সরে আসা, কাজ করা। না খেয়ে শুয়ে থাকা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দারিদ্র্য দূর করতে হবে। কারণ দারিদ্র্য থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব নয়। আমরা এখন অনেক ভালো সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, উন্নয়ন শুধু কোন কাঠামো পরিবর্তন নয়, উন্নয়নের জন্য দরকার মনের পরিবর্তন। যত বেশি মনের পরিবর্তন করতে পারব তত বেশি উন্নত হব।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ডিরেক্টর (অপারেশন্স) চন্দন জেড গোমেজ বলেন, জনগণ যখন স্মার্ট হবে দেশ তখন স্মার্ট হবে। এই প্রতিষ্ঠান সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বছর ২৩ হাজার যুবক-যুবতীকে তাদের স্বপ্নের জায়গায় যেতে সহযোগিতা করছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, অতিরিক্ত সচিব মো. মনোয়ার হোসেন, পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল কাদের, ফিল্ড অপারেশনের উপ-পরিচালক মঞ্জু মারিয়া পালমা এবং ব্রান্ড কার্ট -এর প্রকল্প সমন্বয়ক শেখ সাইফুর রহমান।
এ বছর ১৪ মে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ‘মিডিয়া কম্পিটিশন ২০২৩’ -এর ঘোষণা দেয় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। রিপোর্ট জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল ২০ জুলাই, ২০২৩।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রান্তিক শিশুদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
রোববার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রথমবারের মতো ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘মিডিয়া কম্পিটিশন ২০২৩’। প্রিন্ট ও অনলাইন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে ৬ সাংবাদিককে এই পুরস্কার দেয়া হয়। প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক নাজনীন আকতার, প্রথম রানার আপ দৈনিক সংবাদের জাহিদা পারভেজ ছন্দা ও ২য় রানার আপ হয়েছেন ও দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের নিজস্ব প্রতিবেদক ফয়সাল খান।
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিভাগে প্রথম হয়েছেন এটিএন বাংলার মো. শরফুল আলম এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন চ্যানেল আইয়ের নিজস্ব প্রতিবেদক জাকিয়া আকতার ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জিনিয়া কবির সূচনা।
গতকাল রাজধানীর লেক শোর হোটেলের লা ভিটা ব্যাঙ্কোয়েট হলে আয়োজিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে অর্থ, সম্মাননা স্মারক ও প্রশংসাপত্র তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। পুরস্কার প্রদানের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করে ব্রান্ড কার্ট।
প্রতিযোগিতার বিচারক মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, নেক্সাস টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সালাউদ্দিন লাভলু ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ শাহানা হুদা রঞ্জনা। তাদের বিবেচনায় ‘স্কুলে অভুক্ত শিশুদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষতি’ বিষয়ক রিপোর্টের জন্য শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন প্রথম আলোর নাজনীন আকতার। এ ছাড়া দুই রানার আপ হয়েছেন ‘হারিয়ে যাচ্ছে মাঠ, চার দেয়ালে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম’ প্রতিবেদনের জন্য ছন্দা ও ‘দখলমুক্ত মাঠেও খেলতে মানা’ প্রতিবেদনের জন্য ফয়সাল।
অন্যদিকে ‘ভ্রান্ত ধারণা ও প্রয়োজনীয় উপকরণেরর অভাবে ব্যাহত হচ্ছে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা’ শিরোনামের রিপোর্ট মো. শরফুল আলমকে শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান এনে দিয়েছে। অন্যদিকে দুই রানার আপ নির্বাচিত হন জাকিয়া ও জিনিয়া যথাক্রমে ‘বায়ুদূষণ’ ও ‘দেশে বাড়ছে বাল্যবিবাহ’ রিপোর্টের জন্য।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে এবং বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের সরকার ক্ষুধা, নিরক্ষরতা দূরীকরণে কাজ করেছে আগামীতেও করবে। আর এই ক্ষুধা, নিরক্ষরতা দূরীকরণে আমাদের অর্জন দৃশ্যমান। কোথায় ছিলাম আমরা আর এখন কোথায় আছি এটি পরিষ্কার।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পূর্বের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। বিশেষ করে গত দেড় দশকে আমরা অনেক এগিয়েছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য অনেক উন্নয়ন হয়েছে। গ্রামে গ্রামে আমাদের উন্নয়ন পৌঁছে গেছে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে আমরা ভালো আছি। সরকার দারিদ্র্যতা দূরীকরণে কাজ করছে। গ্রামে গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্প করে দিয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্রদের সহায়তা দিচ্ছে। যার প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি। এখন আমাদের মূল কাজ হলো দরিদ্র অবস্থা থেকে সরে আসা, কাজ করা। না খেয়ে শুয়ে থাকা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দারিদ্র্য দূর করতে হবে। কারণ দারিদ্র্য থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব নয়। আমরা এখন অনেক ভালো সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, উন্নয়ন শুধু কোন কাঠামো পরিবর্তন নয়, উন্নয়নের জন্য দরকার মনের পরিবর্তন। যত বেশি মনের পরিবর্তন করতে পারব তত বেশি উন্নত হব।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ডিরেক্টর (অপারেশন্স) চন্দন জেড গোমেজ বলেন, জনগণ যখন স্মার্ট হবে দেশ তখন স্মার্ট হবে। এই প্রতিষ্ঠান সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বছর ২৩ হাজার যুবক-যুবতীকে তাদের স্বপ্নের জায়গায় যেতে সহযোগিতা করছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, অতিরিক্ত সচিব মো. মনোয়ার হোসেন, পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল কাদের, ফিল্ড অপারেশনের উপ-পরিচালক মঞ্জু মারিয়া পালমা এবং ব্রান্ড কার্ট -এর প্রকল্প সমন্বয়ক শেখ সাইফুর রহমান।
এ বছর ১৪ মে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ‘মিডিয়া কম্পিটিশন ২০২৩’ -এর ঘোষণা দেয় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। রিপোর্ট জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল ২০ জুলাই, ২০২৩।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রান্তিক শিশুদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।