তথ্যে তারুণ্যে নিত্য সত্যে- এই স্লোগানকে ধারণ করে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর ) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া কক্ষে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর টিএসসি প্রাঙ্গণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি রায়হানুল ইসলাম আবিরসহ অন্যান্য সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, সাংবাদিক সমিতির বর্তমান কমিটির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি, সহ-সভাপতি মো. রাসেল সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসিমুল হুদাসহ সমিতির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জ্ঞাপনকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) ৩৮তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। আমি মনে করি, দেশে সাংবাদিকদের যত সংগঠন আছে তার মধ্যে ডুজা হল অনন্য ও অন্যতম পথিকৃৎ। কারণ, এই সংগঠনকে অনুসরণ করে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে অনেক সংগঠন গঠিত হয়েছে। সংগঠনটির গৌরবময় ও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। এর কারণ হলো, এর প্রতিটি সদস্য সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরে ক্যাম্পাসের পরিবেশ সুষ্ঠু ও সুন্দর রাখছে। পড়াশোনা শেষে ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা যখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়, তখনও তারা সামাজিকভাবে ভালো অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়। তখনও তাদের মধ্যে একটি অনুসন্ধানী দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়। যার ফলে, সমাজে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। এসময় তিনি সাংবাদিক সমিতি ও এর সকল সদস্যদের সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন।
অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নিজেদের পেশাদারিত্ব বজায় রেখে ৩৭ বছর অতিক্রম করে ৩৮তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে আজ সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আমার জানামতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে যারা সাংবাদিকতা করে তারা নিয়মিত শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি সত্যের সন্ধানে তারা কাজ করে থাকে। এটা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক দিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সকলকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, তোমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষার্থে সর্বদা সত্য প্রকাশ করে যাবে, এটাই কামনা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিক সংগঠন। আজ প্রতিষ্ঠার ৩৮ বছর উদযাপন করছে এ সংগঠনটি। ইতিমধ্যে, এ সংগঠন বাংলাদেশে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার নেতৃত্ব দিচ্ছে। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া, সংগঠনটির সাবেক সদস্যরাও দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেরও নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
১৯৮৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি জাতীয়ভাবে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ও আস্থার সংগঠন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে সংগঠনটি। ডুজার প্রতিটি সদস্য সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা, পেশাদারিত্ব ও বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে সাহসের সাথে সত্য প্রকাশ করে যাচ্ছে। নানা প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে আপসহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সংগঠনটি দেশ ও জাতির বিভিন্ন সংকটেও রেখেছে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা।
মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
তথ্যে তারুণ্যে নিত্য সত্যে- এই স্লোগানকে ধারণ করে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর ) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া কক্ষে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর টিএসসি প্রাঙ্গণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি রায়হানুল ইসলাম আবিরসহ অন্যান্য সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, সাংবাদিক সমিতির বর্তমান কমিটির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি, সহ-সভাপতি মো. রাসেল সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসিমুল হুদাসহ সমিতির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জ্ঞাপনকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) ৩৮তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। আমি মনে করি, দেশে সাংবাদিকদের যত সংগঠন আছে তার মধ্যে ডুজা হল অনন্য ও অন্যতম পথিকৃৎ। কারণ, এই সংগঠনকে অনুসরণ করে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে অনেক সংগঠন গঠিত হয়েছে। সংগঠনটির গৌরবময় ও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। এর কারণ হলো, এর প্রতিটি সদস্য সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরে ক্যাম্পাসের পরিবেশ সুষ্ঠু ও সুন্দর রাখছে। পড়াশোনা শেষে ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা যখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়, তখনও তারা সামাজিকভাবে ভালো অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়। তখনও তাদের মধ্যে একটি অনুসন্ধানী দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়। যার ফলে, সমাজে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। এসময় তিনি সাংবাদিক সমিতি ও এর সকল সদস্যদের সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন।
অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নিজেদের পেশাদারিত্ব বজায় রেখে ৩৭ বছর অতিক্রম করে ৩৮তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে আজ সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আমার জানামতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে যারা সাংবাদিকতা করে তারা নিয়মিত শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি সত্যের সন্ধানে তারা কাজ করে থাকে। এটা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক দিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সকলকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, তোমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষার্থে সর্বদা সত্য প্রকাশ করে যাবে, এটাই কামনা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিক সংগঠন। আজ প্রতিষ্ঠার ৩৮ বছর উদযাপন করছে এ সংগঠনটি। ইতিমধ্যে, এ সংগঠন বাংলাদেশে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার নেতৃত্ব দিচ্ছে। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া, সংগঠনটির সাবেক সদস্যরাও দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেরও নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
১৯৮৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি জাতীয়ভাবে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ও আস্থার সংগঠন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে সংগঠনটি। ডুজার প্রতিটি সদস্য সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা, পেশাদারিত্ব ও বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে সাহসের সাথে সত্য প্রকাশ করে যাচ্ছে। নানা প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে আপসহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সংগঠনটি দেশ ও জাতির বিভিন্ন সংকটেও রেখেছে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা।