সংশোধিত ‘সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর নতুন ধারার প্রয়োগ দেশের মানুষের ‘স্বাধীন মতপ্রকাশ’ ও গণমাধ্যমের অধিকারের ‘ব্যাপকতাকে সীমিত করতে পারে’ বলে মনে করছে সম্পাদক পরিষদ। এই ধারা ‘উদ্বেগজনক’ এবং সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ‘শঙ্কা সৃষ্টি করবে’ বলে মত দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকদের প্রতিনিধিত্বশীল এই সংগঠনের।
আজ মঙ্গলবার (২০ মে) সম্পাদক পরিষদের পক্ষে সভাপতি মাহফুজ আনাম এবং সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগের কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, “১২ মে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে ১১ মে ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর গেজেট প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রকাশিত গেজেটে দেখা যায় অধ্যাদেশে একটি ধারা যুক্ত হয়েছে। ২০০৯ সালের ১৬ নং আইনের ধারা ২০-এর (খ) উপধারা (১)-এর দফা (ঙ)-তে বলা হয়েছে, ‘উক্ত সত্তা কর্তৃক বা উহার পক্ষে বা সমর্থনে যে কোন প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা বা মুদ্রণ কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য যে কোন মাধ্যমে যে কোন ধরনের প্রচারণা, অথবা মিছিল, সভা-সমাবেশ বা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন বা জনসম্মুখে বক্তৃতা প্রদান নিষিদ্ধ করিবে’।”
“অধ্যাদেশটির নতুন ধারার প্রয়োগ দেশের মানুষের স্বাধীন মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের অধিকারের ব্যাপকতাকে সীমিত করতে পারে। যা উদ্বেগজনক এবং সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে শঙ্কা সৃষ্টি করবে।
“অপব্যবহারের সুযোগ থাকে, অধ্যাদেশে এমন একটি ধারার সংযোজন অন্তর্বতী সরকারের কাছ থেকে কাম্য নয়। ধারাটি পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।”
সম্পাদক পরিষদ ধারাটি স্থগিত এবং পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে।
[সংশোধনীঃ তিন নম্বর প্যারাগ্রাফে ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর গেজেট প্রকাশের তারিখ সংশোধন করা হয়েছে]
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
সংশোধিত ‘সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর নতুন ধারার প্রয়োগ দেশের মানুষের ‘স্বাধীন মতপ্রকাশ’ ও গণমাধ্যমের অধিকারের ‘ব্যাপকতাকে সীমিত করতে পারে’ বলে মনে করছে সম্পাদক পরিষদ। এই ধারা ‘উদ্বেগজনক’ এবং সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ‘শঙ্কা সৃষ্টি করবে’ বলে মত দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকদের প্রতিনিধিত্বশীল এই সংগঠনের।
আজ মঙ্গলবার (২০ মে) সম্পাদক পরিষদের পক্ষে সভাপতি মাহফুজ আনাম এবং সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগের কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, “১২ মে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে ১১ মে ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর গেজেট প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রকাশিত গেজেটে দেখা যায় অধ্যাদেশে একটি ধারা যুক্ত হয়েছে। ২০০৯ সালের ১৬ নং আইনের ধারা ২০-এর (খ) উপধারা (১)-এর দফা (ঙ)-তে বলা হয়েছে, ‘উক্ত সত্তা কর্তৃক বা উহার পক্ষে বা সমর্থনে যে কোন প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা বা মুদ্রণ কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য যে কোন মাধ্যমে যে কোন ধরনের প্রচারণা, অথবা মিছিল, সভা-সমাবেশ বা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন বা জনসম্মুখে বক্তৃতা প্রদান নিষিদ্ধ করিবে’।”
“অধ্যাদেশটির নতুন ধারার প্রয়োগ দেশের মানুষের স্বাধীন মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের অধিকারের ব্যাপকতাকে সীমিত করতে পারে। যা উদ্বেগজনক এবং সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে শঙ্কা সৃষ্টি করবে।
“অপব্যবহারের সুযোগ থাকে, অধ্যাদেশে এমন একটি ধারার সংযোজন অন্তর্বতী সরকারের কাছ থেকে কাম্য নয়। ধারাটি পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।”
সম্পাদক পরিষদ ধারাটি স্থগিত এবং পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে।
[সংশোধনীঃ তিন নম্বর প্যারাগ্রাফে ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর গেজেট প্রকাশের তারিখ সংশোধন করা হয়েছে]