alt

মিডিয়া

রোববার রোজিনার জামিন না হলে সাংবাদিকদের কঠোর কর্মসূচি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ২১ মে ২০২১

দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন রোববার যদি না হয় তবে সব সাংবাদিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক রোজিনাকে নির্যাতন ও গ্রেফতারের ঘটনায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) প্রতিবাদী সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ডিআরইউ প্রাঙ্গণে।

সমাবেশে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ ও নাগরিক টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক আজাদ বলেন, আমি সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন করতে চাই। বিশেষ করে সরকারের চারজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী বলেছেন রোজিনা ইসলাম যেন ন্যায় বিচার পান, তারা তা দেখবেন। কিন্তু আমি তাদের কার্যক্রম নিয়ে সন্দিহান। কেননা জামিন যোগ্য মামলায় একটি মামলা হলো, অথচ তাকে এতটা বেগ পেতে হচ্ছে।

আমি দাবি করেছিলাম একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করুন। নতুন একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে কিন্তু এটি অত্যন্ত হাস্যকর। কেননা যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের নিয়ে তদন্ত কমিটি। আমরা চাই এ কমিটিতে সাংবাদিকরা থাকবে, সরকারের অন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা থাকবে, একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি হবে।’

তিনি বলেন, তথ্য আইনে বলা হয়েছে অন্য যেকোনো আইনে যাই থাকুক না কেন এখন থেকে এটি বিধানযোগ্য। অথচ রোজিনার বিরুদ্ধে মামলা হল একটি ব্রিটিশ আমলের আইনে। এটিতো প্রথম দিনই খারিজ হওয়ার কথা ছিল। শাহবাগ থানার কর্মকর্তারা বলেছেন, আমাদের ওপর চাপ আছে, তাহলে কি আইন তার নিজের গতিতে চলছে?

ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, রোজিনা আপাকে হেনস্তা করা হয়েছে। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। যদি পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা না হয়, তবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।

ডিআরইউ’র সহ-সভাপতি ওসমান গণি বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- সহ-সভাপতি আজমল হক হেলাল, নারী সম্পাদক রীতা রাহাত, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুর রহমান রুবেল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কারা বরণ করা বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল, সিনিয়র সাংবাদিক আশীষ কুমার দে প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, এ সমস্যার সমাধান না হলে আমরা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে চাই। জনগণের তথ্য জনগণকে দিয়ে যদি আমরা অপরাধ করি, তবে আমরা এ অপরাধ করে যাব। আমরা বুঝে গেছি এ ন্যায় বিচারটি সহজতর হবে না। কেননা যারা বিচার করছেন তারাই দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আমলারা সুপরিকল্পিতভাবে রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাব।

আমরা চাই তথ্যমন্ত্রীর নিজ উদ্যোগে রোজিনা ইসলামকে ছাড়িয়ে আনা হোক। তাকে সব প্রকার মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। সাংবাদিক সুরক্ষা আইন দ্রুত বাস্তবায়ন হোক, সংবাদকর্মীদের কর্মক্ষেত্র সুরক্ষিত থাকুক।

তারা বলেন, জব্দ তালিকায় যেসব জিনিস দেখানো হয়েছে সেগুলো জব্দ করেছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। অথচ এ কাজ পুলিশের। এ থেকেই বোঝা যায় যে কর্মকর্তারা তাদের ডেস্ক থেকে এসব কাগজ এনে রোজিনা ইসলামকে ফাঁসিয়েছেন। আর মামলাটা যে ভুয়া, সেটিও তথ্য প্রমাণসহ গণমাধ্যম প্রমাণ করেছে।

বক্তারা বলেন, গত ২০ বছরে অফিস সিকিউরিটি অ্যাক্ট আইনে ভারতসহ উপমহাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছে তার সবগুলোই খারিজ করা হয়েছে। বরং সাজা হয়েছে ওই অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগে। তাহলে রোজিনা ইসলাম এখনো কারাগারে কেন! এ মন্ত্রণালয়ের একজন গাড়ি চালকের যদি কোটি কোটি টাকা থাকে তাহলে অন্য কর্মকর্তাদের কি অবস্থা তা সবাই জানেন।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এ প্রতিবাদ সমাবেশের সঙ্গে সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠনও এ সময় একাত্মতা প্রকাশ করেন।

ছবি

সপ্তম বর্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব

ছবি

গাজীপুর প্রেসক্লাবে দোয়া মাহফিল ও ইফতার অনুষ্ঠিত

ছবি

টাঙ্গাইল জেলা সাংবাদিক ফোরামের ইফতার-দোয়া মাহফিল

দেশকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকরা বড় ভূমিকা পালন করেন : তোফায়েল আহমেদ

ছবি

“এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিল”এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠিত

ছবি

সাংবাদিক সাব্বিরের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবি

ছবি

ডিইউজে নির্বাচন, সভাপতি পদে সমান ভোট সোহেল-তপুর, সাধারণ সম্পাদক আকতার

সাংবাদিক শফিউজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোয় সম্পাদক পরিষদের নিন্দা

ছবি

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরামের নেতৃত্বে সাব্বির-ইকা

ছবি

১০৬ বারের মতো পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

ছবি

মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ডের নির্বাচন

ছবি

নোয়াবের নতুন কমিটি, আবারও সভাপতি এ.কে.আজাদ

‘সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে ৭০ অনুচ্ছেদ বাধা হবে না’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের এক যুগপূর্তি

মানিক সাহাসহ সাংবাদিক হত্যাকা-ে জড়িতদের চিহ্নিত করতে গণতদন্ত কমিশন গঠনের দাবি

ছবি

উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ক্র্যাবের ভোটগ্রহণ

ছবি

চারণসাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী কাল

ছবি

নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের নেতৃত্বে মতিন-ফয়সাল

ছবি

অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে নোয়াবের মতবিনিময় সভা

ছবি

শিশুবিষয়ক খবরে গণমাধ্যমকে বেশী গুরুত্ব দেয়ার আহবান

ছবি

নরসিংদী প্রেস ক্লাবের নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের শপথ গ্রহণ

ছবি

আহমদুল কবির কখনো প্রাসঙ্গিকতা হারাবেন না

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের প্রয়াত সাংবাদিকদের স্মরণে সভা

ছবি

গুজব রোধে গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

সাংবাদিকরা ভুল করলে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হবে - প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান

ছবি

ক্ষমা না চাইলে বিএনপির সংবাদ পরিহারের ডাক ডিইউজের

মাহেলা বেগম

ছবি

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

ছবি

সাগর-রুনি হত্যা : ১০২ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে

ছবি

ভিসা নীতিঃ সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ ও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ব্যাখ্যা

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাবি সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

ছবি

কপিরাইট বিল পাস

ছবি

ওয়ার্ল্ড ভিশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন সংবাদ প্রতিবেদকসহ ৬ সাংবাদিক

ছবি

ওয়ার্ল্ড ভিশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন সংবাদ প্রতিবেদকসহ ৬ সাংবাদিক

ছবি

র‍্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেলেন করভি রাখসান্দ

tab

মিডিয়া

রোববার রোজিনার জামিন না হলে সাংবাদিকদের কঠোর কর্মসূচি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ২১ মে ২০২১

দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন রোববার যদি না হয় তবে সব সাংবাদিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক রোজিনাকে নির্যাতন ও গ্রেফতারের ঘটনায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) প্রতিবাদী সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ডিআরইউ প্রাঙ্গণে।

সমাবেশে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ ও নাগরিক টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক আজাদ বলেন, আমি সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন করতে চাই। বিশেষ করে সরকারের চারজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী বলেছেন রোজিনা ইসলাম যেন ন্যায় বিচার পান, তারা তা দেখবেন। কিন্তু আমি তাদের কার্যক্রম নিয়ে সন্দিহান। কেননা জামিন যোগ্য মামলায় একটি মামলা হলো, অথচ তাকে এতটা বেগ পেতে হচ্ছে।

আমি দাবি করেছিলাম একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করুন। নতুন একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে কিন্তু এটি অত্যন্ত হাস্যকর। কেননা যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের নিয়ে তদন্ত কমিটি। আমরা চাই এ কমিটিতে সাংবাদিকরা থাকবে, সরকারের অন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা থাকবে, একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি হবে।’

তিনি বলেন, তথ্য আইনে বলা হয়েছে অন্য যেকোনো আইনে যাই থাকুক না কেন এখন থেকে এটি বিধানযোগ্য। অথচ রোজিনার বিরুদ্ধে মামলা হল একটি ব্রিটিশ আমলের আইনে। এটিতো প্রথম দিনই খারিজ হওয়ার কথা ছিল। শাহবাগ থানার কর্মকর্তারা বলেছেন, আমাদের ওপর চাপ আছে, তাহলে কি আইন তার নিজের গতিতে চলছে?

ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, রোজিনা আপাকে হেনস্তা করা হয়েছে। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। যদি পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা না হয়, তবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।

ডিআরইউ’র সহ-সভাপতি ওসমান গণি বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- সহ-সভাপতি আজমল হক হেলাল, নারী সম্পাদক রীতা রাহাত, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুর রহমান রুবেল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কারা বরণ করা বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল, সিনিয়র সাংবাদিক আশীষ কুমার দে প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, এ সমস্যার সমাধান না হলে আমরা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে চাই। জনগণের তথ্য জনগণকে দিয়ে যদি আমরা অপরাধ করি, তবে আমরা এ অপরাধ করে যাব। আমরা বুঝে গেছি এ ন্যায় বিচারটি সহজতর হবে না। কেননা যারা বিচার করছেন তারাই দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আমলারা সুপরিকল্পিতভাবে রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাব।

আমরা চাই তথ্যমন্ত্রীর নিজ উদ্যোগে রোজিনা ইসলামকে ছাড়িয়ে আনা হোক। তাকে সব প্রকার মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। সাংবাদিক সুরক্ষা আইন দ্রুত বাস্তবায়ন হোক, সংবাদকর্মীদের কর্মক্ষেত্র সুরক্ষিত থাকুক।

তারা বলেন, জব্দ তালিকায় যেসব জিনিস দেখানো হয়েছে সেগুলো জব্দ করেছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। অথচ এ কাজ পুলিশের। এ থেকেই বোঝা যায় যে কর্মকর্তারা তাদের ডেস্ক থেকে এসব কাগজ এনে রোজিনা ইসলামকে ফাঁসিয়েছেন। আর মামলাটা যে ভুয়া, সেটিও তথ্য প্রমাণসহ গণমাধ্যম প্রমাণ করেছে।

বক্তারা বলেন, গত ২০ বছরে অফিস সিকিউরিটি অ্যাক্ট আইনে ভারতসহ উপমহাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছে তার সবগুলোই খারিজ করা হয়েছে। বরং সাজা হয়েছে ওই অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগে। তাহলে রোজিনা ইসলাম এখনো কারাগারে কেন! এ মন্ত্রণালয়ের একজন গাড়ি চালকের যদি কোটি কোটি টাকা থাকে তাহলে অন্য কর্মকর্তাদের কি অবস্থা তা সবাই জানেন।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এ প্রতিবাদ সমাবেশের সঙ্গে সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠনও এ সময় একাত্মতা প্রকাশ করেন।

back to top