সুজনের মতবিনিময় সভায় বক্তারা
মাদারীপুরে সুজনের এক মতবিনিময় সভায় ‘মফস্বল পর্যায়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তাই অন্যতম প্রধান বাঁধা বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা ।
বৃহস্পতিবার শহরের এমএম হাফিজ মেমোরিয়াল পাবলিক লাইব্রেরিতে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ‘আকাঙ্খা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাদারীপুর শহরে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
মতবিনিময় সভায় জনকন্ঠের সাংবাদিক সুবল বিশ্বাস বলেন, ‘জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকরা অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার অফিস থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা পায় না। সংবাদ প্রকাশের জেরে কখনো মামলা হলে, বেশির ভাগ সময়ই জেলা প্রতিনিধিরা হয়রানির শিকার বেশি হয়। তাছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তো রয়েছেই।
দৈনিক সংবাদ-এর সাংবাদিক রিপনচন্দ্র মল্লিক বলেন, ঢাকা দেশের কেন্দ্র বলেই ঢাকাকে কেন্দ্র করেই আমাদের দেশের সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মফস্বলকে কেন্দ্র করে নয়। তাই মফস্বলের সাংবাদিকরা হলো সবচেয়ে অবহেলিত। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বেতন পান না, তারা খুবই সামান্য সম্মানী ভাতা পেয়ে থাকেন। এই সামান্যটুকু সম্মানী ভাতার জন্যই কিন্তু ভালো মানের সাংবাদিকতা করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক বেলাল রিজভী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সরকার মূলত সাংবাদিকদের হাত পা এক প্রকার বেঁধে ফেলেছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার একটি বড় বাঁধা এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইনটি অন্য পেশার নাগরিকদের চেয়ে সাংবাদিকদের উপরেই বেশি প্রয়োগ করা হয়েছে। তাই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় নিরাপত্তাই একটি বড় ধরনের বাঁধা।
সুজন মাদারীপুর জেলার সভাপতি রাজন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ঃ আকাঙ্খা ও বাস্তবতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর কবির (বাসস), মাহবুবর রহমান বাদল (বাংলাদেশ বেতার), মু.সেলিম ফরাজী (আরটিভি), খালিদুর রহমান বেলাল খান (ভোরের ডাক/ইউএনবি), মঞ্জুর হোসেন (যায়যায়দিন), মনির হোসেন বিলাস (ডিবিসি), মেহেদী হাসন সোহাগ (বাংলা টিভি), সুজনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী, বরিশাল বিভাগের সমন্বয়কারী মো. আল আমিন, সদস্য সালাহউদ্দিন খান সালু।
সুজনের মতবিনিময় সভায় বক্তারা
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
মাদারীপুরে সুজনের এক মতবিনিময় সভায় ‘মফস্বল পর্যায়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তাই অন্যতম প্রধান বাঁধা বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা ।
বৃহস্পতিবার শহরের এমএম হাফিজ মেমোরিয়াল পাবলিক লাইব্রেরিতে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ‘আকাঙ্খা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাদারীপুর শহরে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
মতবিনিময় সভায় জনকন্ঠের সাংবাদিক সুবল বিশ্বাস বলেন, ‘জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকরা অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার অফিস থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা পায় না। সংবাদ প্রকাশের জেরে কখনো মামলা হলে, বেশির ভাগ সময়ই জেলা প্রতিনিধিরা হয়রানির শিকার বেশি হয়। তাছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তো রয়েছেই।
দৈনিক সংবাদ-এর সাংবাদিক রিপনচন্দ্র মল্লিক বলেন, ঢাকা দেশের কেন্দ্র বলেই ঢাকাকে কেন্দ্র করেই আমাদের দেশের সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মফস্বলকে কেন্দ্র করে নয়। তাই মফস্বলের সাংবাদিকরা হলো সবচেয়ে অবহেলিত। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বেতন পান না, তারা খুবই সামান্য সম্মানী ভাতা পেয়ে থাকেন। এই সামান্যটুকু সম্মানী ভাতার জন্যই কিন্তু ভালো মানের সাংবাদিকতা করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক বেলাল রিজভী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সরকার মূলত সাংবাদিকদের হাত পা এক প্রকার বেঁধে ফেলেছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার একটি বড় বাঁধা এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইনটি অন্য পেশার নাগরিকদের চেয়ে সাংবাদিকদের উপরেই বেশি প্রয়োগ করা হয়েছে। তাই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় নিরাপত্তাই একটি বড় ধরনের বাঁধা।
সুজন মাদারীপুর জেলার সভাপতি রাজন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ঃ আকাঙ্খা ও বাস্তবতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর কবির (বাসস), মাহবুবর রহমান বাদল (বাংলাদেশ বেতার), মু.সেলিম ফরাজী (আরটিভি), খালিদুর রহমান বেলাল খান (ভোরের ডাক/ইউএনবি), মঞ্জুর হোসেন (যায়যায়দিন), মনির হোসেন বিলাস (ডিবিসি), মেহেদী হাসন সোহাগ (বাংলা টিভি), সুজনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী, বরিশাল বিভাগের সমন্বয়কারী মো. আল আমিন, সদস্য সালাহউদ্দিন খান সালু।