সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যার এক দশক পেরিয়ে গেলেও এই হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে ব্যর্থতায় হতাশা এবং ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন সহকর্মীরা।
সহকর্মীরা বলছেন, এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে অদৃশ্য শক্তি ও বাধা কাজ করছে। হত্যার ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার তারিখ ৮৫ বার পিছিয়েছে। এটি এখন ‘সেঞ্চুরি’ করার অপেক্ষায়। এখন তাঁরা প্রধানমন্ত্রী এবং আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাশাপাশি তদন্তে ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
সাগর-রুনির দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে সহকর্মীরা এসব কথা বলেন। ডিআরইউ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যার ১০ বছর পরও হত্যাকাণ্ডের সূত্র তদন্তকারীরা বের করতে পারেননি। আমার জিজ্ঞাসা, তাঁরা কীভাবে পুলিশে থাকেন। জনগণের করের টাকায় যাঁরা দায়িত্ব পালন করতে পারেন না, যাঁরা বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন, তাঁদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। প্রয়োজনে চাকরিচ্যুত করা উচিত।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে না পারায় ক্ষোভ জানাতে হচ্ছে। এখন বিষয়টি এমন অবস্থায় এসেছে, দিবস এলেই কথা বলি। দিবস পার হলেই ভুলে যাই। যেকোনো মানুষের হত্যার বিচার করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অনেক সূত্রবিহীন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হয় না। বাধাটা কোথায়? নিশ্চয়ই কোথাও বাধা আছে। আমি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, আদালত যদি একটি নির্দেশনা দেন, তবে প্রশাসন উদ্যোগী হতে পারে। এখন আদালত এগিয়ে এলেই এই হত্যার বিচার সম্ভব।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম তপু বলেন, ‘সাংবাদিকদের পেশার নিশ্চয়তা নেই, জীবনের নিরাপত্তা নেই। সাগর-রুনির হত্যার বিচার হয়নি দীর্ঘ সময়েও। প্রধানমন্ত্রীর কাছে, প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাই, এই হত্যার বিচার যেন দ্রুততম সময়ে হয়।’
মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক রাশেদ আহমেদ বলেন, ‘কত কিছুরই রহস্য উদ্ঘাটিত হয়। এর পেছনে কোনো কারণ নেই, এটা বিশ্বাস করা যায় না। সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে তো আমাদের রাস্তায় দাঁড়ানোর কথা ছিল না। কিন্তু বাধ্য হয়েই দাঁড়াতে হচ্ছে। এখন সর্বশেষ ভরসা হচ্ছে হাইকোর্ট। হাইকোর্ট যদি একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেন, তবে হয়তো এটার বিচার সম্ভব।’
হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে না পারায় ডিআরইউর সাবেক সহসভাপতি আজমল হক হেলাল হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমি প্রস্তাব করতে চাই, সাগর-রুনির বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আর স্মারকলিপি দিতে চাই না। তাঁকে পচা ডিম উপহার দিতে চাই। কারণ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়ে, আমাদের আর লজ্জা পেয়ে লাভ নেই।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ, ডিআরইউর যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমিন প্রমুখ।
শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যার এক দশক পেরিয়ে গেলেও এই হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে ব্যর্থতায় হতাশা এবং ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন সহকর্মীরা।
সহকর্মীরা বলছেন, এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে অদৃশ্য শক্তি ও বাধা কাজ করছে। হত্যার ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার তারিখ ৮৫ বার পিছিয়েছে। এটি এখন ‘সেঞ্চুরি’ করার অপেক্ষায়। এখন তাঁরা প্রধানমন্ত্রী এবং আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাশাপাশি তদন্তে ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
সাগর-রুনির দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে সহকর্মীরা এসব কথা বলেন। ডিআরইউ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যার ১০ বছর পরও হত্যাকাণ্ডের সূত্র তদন্তকারীরা বের করতে পারেননি। আমার জিজ্ঞাসা, তাঁরা কীভাবে পুলিশে থাকেন। জনগণের করের টাকায় যাঁরা দায়িত্ব পালন করতে পারেন না, যাঁরা বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন, তাঁদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। প্রয়োজনে চাকরিচ্যুত করা উচিত।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে না পারায় ক্ষোভ জানাতে হচ্ছে। এখন বিষয়টি এমন অবস্থায় এসেছে, দিবস এলেই কথা বলি। দিবস পার হলেই ভুলে যাই। যেকোনো মানুষের হত্যার বিচার করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অনেক সূত্রবিহীন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হয় না। বাধাটা কোথায়? নিশ্চয়ই কোথাও বাধা আছে। আমি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, আদালত যদি একটি নির্দেশনা দেন, তবে প্রশাসন উদ্যোগী হতে পারে। এখন আদালত এগিয়ে এলেই এই হত্যার বিচার সম্ভব।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম তপু বলেন, ‘সাংবাদিকদের পেশার নিশ্চয়তা নেই, জীবনের নিরাপত্তা নেই। সাগর-রুনির হত্যার বিচার হয়নি দীর্ঘ সময়েও। প্রধানমন্ত্রীর কাছে, প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাই, এই হত্যার বিচার যেন দ্রুততম সময়ে হয়।’
মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক রাশেদ আহমেদ বলেন, ‘কত কিছুরই রহস্য উদ্ঘাটিত হয়। এর পেছনে কোনো কারণ নেই, এটা বিশ্বাস করা যায় না। সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে তো আমাদের রাস্তায় দাঁড়ানোর কথা ছিল না। কিন্তু বাধ্য হয়েই দাঁড়াতে হচ্ছে। এখন সর্বশেষ ভরসা হচ্ছে হাইকোর্ট। হাইকোর্ট যদি একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেন, তবে হয়তো এটার বিচার সম্ভব।’
হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে না পারায় ডিআরইউর সাবেক সহসভাপতি আজমল হক হেলাল হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমি প্রস্তাব করতে চাই, সাগর-রুনির বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আর স্মারকলিপি দিতে চাই না। তাঁকে পচা ডিম উপহার দিতে চাই। কারণ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়ে, আমাদের আর লজ্জা পেয়ে লাভ নেই।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ, ডিআরইউর যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমিন প্রমুখ।