আজ শনিবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে টাইমস মিডিয়া লিমিটেড ভবনে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ।
গত ৪ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভায় নোয়াব-এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। সভায় টাইমস মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হন। কমিটির প্রথম সভায় নোয়াব সদস্য রিয়াজউদ্দীন আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রস্লাব গ্রহণ করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত সদস্যরা দাঁড়িয়ে এক মিনিটে নীরবতা পালন করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি গত ২৫ ডিসেম্বর ৭৬ বছর বয়সে পরলোকগমন করেছেন। রিয়াজউদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ১৯৯৩ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য এ বছর একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন নোয়াব সদস্য এম. এ. মালেক। তিনি চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদীর সম্পাদক। একুশে পদকের জন্য মনোনীত হওয়ায় এম. এ. মালেককে অভিনন্দন জানানো হয় নোয়াব-এর সভায়। ইতোপূর্বে নোয়াব সভাপতি তাকে পত্রযোগে অভিনন্দিত করেছেন।
সভায় সংবাদপত্রশিল্পের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি নোয়াব সভাপতি রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হওয়া সংবাদপত্রশিল্প টিকিয়ে রাখতে কর কমানোসহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সভায় তিনি তা সদস্যদের অবহিত করেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে।
এনবিআরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ৬ ফেব্রুয়ারির বৈঠকের বরাতে সভায় জানানো হয়, সারা পৃথিবীতেই প্রিন্ট মিডিয়ার অবস্থা ভালো নয়। সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন আগে থেকে কমছিল, করোনা মহামারিকালে তা আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। নিউজপ্রিন্টের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। দেড় বছর আগে প্রতি টন নিউজপ্রিন্টের দাম ছিল ৫৭০ ডলার, যা এখন ৮৯০ ডলার। করোনাকালে বিজ্ঞাপন বাজার ৫৫ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। প্রিন্ট মিডিয়ার ক্ষেত্রে তা আরও কমেছে। করোনা মহামারির আগে মোট বিজ্ঞাপনের ২০ শতাংশ আসত সংবাদপত্রে, যা এখন কমে ১৫ শতাংশ হয়েছে। সেবা শিল্প হলেও সরকারের কাছ থেকে বিশেষ কোনো সুবিধা পাচ্ছে না সংবাদপত্রশিল্প। করোনাকালেও সরকারের কাছ থেকে এ শিল্প প্রণোদনা পায়নি। সংবাদপত্র সেবা শিল্প হলেও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি, অনিবন্ধিত কোম্পানি ও নন-রেসিডেনশিয়াল শ্রেণিতে রেখে ৩০ শতাংশ করপোরেট কর নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ মুনাফা অর্জনকারী শিল্পের কর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। রুগ্ণ শিল্প হিসেবে সংবাদপত্রশিল্পের করপোরেট কর এর বেশি হওয়া উচিত নয়।
সভায় বলা হয়, সংবাদপত্রের প্রধান কাঁচামাল নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হচ্ছে। শূন্য ভ্যাট বা সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ ভ্যাট হওয়া উচিত। বিজ্ঞাপনে আয়ের ওপর চার শতাংশ উৎস কর (টিডিএস) এবং উৎসস্থলে কাঁচামালের ওপর পাঁচ শতাংশ আগাম আয়কর (এআইটি) দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ৯ শতাংশ কর দিতে হয়। অথচ অধিকাংশ সংবাদপত্রের ৯ শতাংশ লভ্যাংশ থাকে না। টিডিএস দুই শতাংশ এবং এআইটি শহৃন্য করা জরুরি। সংবাদপত্র কর্মীদের আয়কর মালিকরা দেন। কর্মীদের বেতনের ৭০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া। তার পুরোটাই করমুক্ত করা প্রয়োজন।
আজাদী সম্পাদক ও প্রকাশক এম. এ. মালেক, ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, সংবাদ সম্পাদক ও প্রকাশক আলতামাশ কবির, ভোরের কাগজের তারিক সুজাত, বণিকবার্তা সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
আজ শনিবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে টাইমস মিডিয়া লিমিটেড ভবনে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ।
গত ৪ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভায় নোয়াব-এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। সভায় টাইমস মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হন। কমিটির প্রথম সভায় নোয়াব সদস্য রিয়াজউদ্দীন আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রস্লাব গ্রহণ করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত সদস্যরা দাঁড়িয়ে এক মিনিটে নীরবতা পালন করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি গত ২৫ ডিসেম্বর ৭৬ বছর বয়সে পরলোকগমন করেছেন। রিয়াজউদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ১৯৯৩ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য এ বছর একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন নোয়াব সদস্য এম. এ. মালেক। তিনি চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদীর সম্পাদক। একুশে পদকের জন্য মনোনীত হওয়ায় এম. এ. মালেককে অভিনন্দন জানানো হয় নোয়াব-এর সভায়। ইতোপূর্বে নোয়াব সভাপতি তাকে পত্রযোগে অভিনন্দিত করেছেন।
সভায় সংবাদপত্রশিল্পের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি নোয়াব সভাপতি রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হওয়া সংবাদপত্রশিল্প টিকিয়ে রাখতে কর কমানোসহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সভায় তিনি তা সদস্যদের অবহিত করেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে।
এনবিআরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ৬ ফেব্রুয়ারির বৈঠকের বরাতে সভায় জানানো হয়, সারা পৃথিবীতেই প্রিন্ট মিডিয়ার অবস্থা ভালো নয়। সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন আগে থেকে কমছিল, করোনা মহামারিকালে তা আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। নিউজপ্রিন্টের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। দেড় বছর আগে প্রতি টন নিউজপ্রিন্টের দাম ছিল ৫৭০ ডলার, যা এখন ৮৯০ ডলার। করোনাকালে বিজ্ঞাপন বাজার ৫৫ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। প্রিন্ট মিডিয়ার ক্ষেত্রে তা আরও কমেছে। করোনা মহামারির আগে মোট বিজ্ঞাপনের ২০ শতাংশ আসত সংবাদপত্রে, যা এখন কমে ১৫ শতাংশ হয়েছে। সেবা শিল্প হলেও সরকারের কাছ থেকে বিশেষ কোনো সুবিধা পাচ্ছে না সংবাদপত্রশিল্প। করোনাকালেও সরকারের কাছ থেকে এ শিল্প প্রণোদনা পায়নি। সংবাদপত্র সেবা শিল্প হলেও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি, অনিবন্ধিত কোম্পানি ও নন-রেসিডেনশিয়াল শ্রেণিতে রেখে ৩০ শতাংশ করপোরেট কর নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ মুনাফা অর্জনকারী শিল্পের কর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। রুগ্ণ শিল্প হিসেবে সংবাদপত্রশিল্পের করপোরেট কর এর বেশি হওয়া উচিত নয়।
সভায় বলা হয়, সংবাদপত্রের প্রধান কাঁচামাল নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হচ্ছে। শূন্য ভ্যাট বা সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ ভ্যাট হওয়া উচিত। বিজ্ঞাপনে আয়ের ওপর চার শতাংশ উৎস কর (টিডিএস) এবং উৎসস্থলে কাঁচামালের ওপর পাঁচ শতাংশ আগাম আয়কর (এআইটি) দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ৯ শতাংশ কর দিতে হয়। অথচ অধিকাংশ সংবাদপত্রের ৯ শতাংশ লভ্যাংশ থাকে না। টিডিএস দুই শতাংশ এবং এআইটি শহৃন্য করা জরুরি। সংবাদপত্র কর্মীদের আয়কর মালিকরা দেন। কর্মীদের বেতনের ৭০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া। তার পুরোটাই করমুক্ত করা প্রয়োজন।
আজাদী সম্পাদক ও প্রকাশক এম. এ. মালেক, ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, সংবাদ সম্পাদক ও প্রকাশক আলতামাশ কবির, ভোরের কাগজের তারিক সুজাত, বণিকবার্তা সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।