ছবি: সংবাদ
নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ২৫ বছর পেরোনো সদস্য সংবাদপত্রগুলোকে সম্মাননা দিয়েছে।
বুধবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় এ উপলক্ষে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সম্মাননা পাওয়া সংবাদপত্রগুলো হচ্ছে- দৈনিক সংবাদ, ইত্তেফাক, আজাদী, পূর্বাঞ্চল, করতোয়া, পূর্বকোণ, ইনকিলাব, ভোরের কাগজ, জনকণ্ঠ, দ্য ডেইলি স্টার ও দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস।
নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরবিক্রম, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান।
এছাড়া নোয়াব সদস্য, সম্পাদক, সাংবাদিক নেতা, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, কবি-লেখক, রাষ্ট্রদূত, আইনজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নোয়াব সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে ধরা হয় গণমাধ্যমকে। বিশ্বায়নের এই যুগে কেউ বিচ্ছিন্ন নয়। সংবাদ সংগ্রহের পর তা আমাদের সামনে পরিবেশন করছে গণমাধ্যম। গণমাধ্যমের পাওয়া তথ্য আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ জন্য দায়িত্বশীল ও নৈতিকতাসম্পন্ন গণমাধ্যম দরকার। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাই পারে সমাজকে পরিবর্তন করতে।
বিশেষ অতিথি ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের চমৎকার সম্পর্ক। সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী; যেকোনো সমালোচনা গ্রহণে প্রস্তুত। তবে সমালোচনার পাশাপাশি উন্নয়ন ও অর্জনের কথাও বলতে হবে।
নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ বলেন, ডিজিটাল মিডিয়ার আগ্রাসী উত্থানে ছাপা পত্রিকা সংকুচিত হচ্ছে। পাঠক ও বিজ্ঞাপন কমছে। এর মধ্যে টিকে থাকার চেষ্টা করছে ছাপা পত্রিকা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই খাতে সরকারের আরও সহযোগিতা দরকার। তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার হচ্ছে। গণমাধ্যমকর্মীদের আইন নিয়ে উদ্বেগ আছে।
অনুষ্ঠানে দৈনিক সংবাদের সন্মাননা গ্রহন করেন সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সংবাদ দীর্ঘ ৭১ বছর ধরে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশ করে আসছে। আগামী দিনগুলোতেও সংবাদ তার বস্তুনিষ্ঠতার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবেনা।’
আলতামাশ কবির বলেন, ‘আমরা সব সময় বাধামুক্তি পরিবেশে বস্তুনিষ্ঠ খবর পরিবেশণ করতে চাই। আমরা চাইনা কোন অপশক্তি আমাদের বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করুক।’ এক্ষেত্রে তিনি দেশের সব মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।
দৈনিক ইত্তেফাকের পক্ষে সন্মাননা গ্রহন করেন ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন। তিনি তার বক্তৃতায় বাংলাদেশের সংবাদপত্র শিল্পকে আরো সুন্দরভাবে চলার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করে সংবাদপত্রের আয়ের উৎস আরো প্রসারিত করার সুযোগ সৃষ্টির জন্য সরকারসহ সকল মহলের প্রতি আহবান জানান।
এছাড়াও সন্মাননা প্রাপ্ত সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকরা নিজ নিজ সংবাদপত্রের পক্ষে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর হাত থেকে সন্মাননা গ্রহন করেন।
ছবি: সংবাদ
বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ২৫ বছর পেরোনো সদস্য সংবাদপত্রগুলোকে সম্মাননা দিয়েছে।
বুধবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় এ উপলক্ষে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সম্মাননা পাওয়া সংবাদপত্রগুলো হচ্ছে- দৈনিক সংবাদ, ইত্তেফাক, আজাদী, পূর্বাঞ্চল, করতোয়া, পূর্বকোণ, ইনকিলাব, ভোরের কাগজ, জনকণ্ঠ, দ্য ডেইলি স্টার ও দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস।
নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরবিক্রম, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান।
এছাড়া নোয়াব সদস্য, সম্পাদক, সাংবাদিক নেতা, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, কবি-লেখক, রাষ্ট্রদূত, আইনজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নোয়াব সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে ধরা হয় গণমাধ্যমকে। বিশ্বায়নের এই যুগে কেউ বিচ্ছিন্ন নয়। সংবাদ সংগ্রহের পর তা আমাদের সামনে পরিবেশন করছে গণমাধ্যম। গণমাধ্যমের পাওয়া তথ্য আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ জন্য দায়িত্বশীল ও নৈতিকতাসম্পন্ন গণমাধ্যম দরকার। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাই পারে সমাজকে পরিবর্তন করতে।
বিশেষ অতিথি ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের চমৎকার সম্পর্ক। সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী; যেকোনো সমালোচনা গ্রহণে প্রস্তুত। তবে সমালোচনার পাশাপাশি উন্নয়ন ও অর্জনের কথাও বলতে হবে।
নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ বলেন, ডিজিটাল মিডিয়ার আগ্রাসী উত্থানে ছাপা পত্রিকা সংকুচিত হচ্ছে। পাঠক ও বিজ্ঞাপন কমছে। এর মধ্যে টিকে থাকার চেষ্টা করছে ছাপা পত্রিকা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই খাতে সরকারের আরও সহযোগিতা দরকার। তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার হচ্ছে। গণমাধ্যমকর্মীদের আইন নিয়ে উদ্বেগ আছে।
অনুষ্ঠানে দৈনিক সংবাদের সন্মাননা গ্রহন করেন সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সংবাদ দীর্ঘ ৭১ বছর ধরে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশ করে আসছে। আগামী দিনগুলোতেও সংবাদ তার বস্তুনিষ্ঠতার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবেনা।’
আলতামাশ কবির বলেন, ‘আমরা সব সময় বাধামুক্তি পরিবেশে বস্তুনিষ্ঠ খবর পরিবেশণ করতে চাই। আমরা চাইনা কোন অপশক্তি আমাদের বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করুক।’ এক্ষেত্রে তিনি দেশের সব মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।
দৈনিক ইত্তেফাকের পক্ষে সন্মাননা গ্রহন করেন ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন। তিনি তার বক্তৃতায় বাংলাদেশের সংবাদপত্র শিল্পকে আরো সুন্দরভাবে চলার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করে সংবাদপত্রের আয়ের উৎস আরো প্রসারিত করার সুযোগ সৃষ্টির জন্য সরকারসহ সকল মহলের প্রতি আহবান জানান।
এছাড়াও সন্মাননা প্রাপ্ত সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকরা নিজ নিজ সংবাদপত্রের পক্ষে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর হাত থেকে সন্মাননা গ্রহন করেন।