alt

মিডিয়া

প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন স্বাধীন সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করবে: নোয়াব

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক: : রোববার, ২৪ এপ্রিল ২০২২

ছবি: সংগৃহীত

প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা, শিল্প আইন এবং বাংলাদেশ শ্রম আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। এই আইন পাশ হলে শিল্প হিসেবে সংবাদপত্র আরো বেশি রুগ্ন হবে, পাশাপাশি স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত হবে। যা সংবাদপত্রের বিকাশকে সংকুচিত করবে বলে মনে করছে দৈনিক সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠনটি।

রোববার (২৪ এপ্রিল) নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ ও সহ-সভাপতি এ এস এম শহীদুল্লাহ খানের সই করা বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, কোভিডের অভিঘাতের কারণে সংবাদপত্র শিল্প আজ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। কোভিডকালে লকডাউনের সময় সরকারের কাছে বারবার আর্জি জানালেও অন্যান্য খাতের মতো সংবাদপত্র শিল্প কোনো সহায়তা পায়নি। ২০২০ সালে নিউজপ্রিন্টের আমদানী মূল্য টন প্রতি ৫০০ ডলারের আশেপাশে থাকলেও এখন তা ১ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে ডিজিটাল বাস্তবতা ছাপা সংবাদপত্রকে পাঠক প্রাপ্তি ও ব্যবসায়িক দিক থেকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

সংবাদপত্রের এই সংকটকালীন সময়ের মধ্যেই গত ২৮ মার্চ জাতীয় সংসদে গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন, ২০২২ উত্থাপন করা হয়েছে। গণমাধ্যম বিল, সাংবাদিকতা, সংবাদপত্র, বেতন পরিশোধ, ছুটি নির্ধারণ, নি¤œতম বেতন হার নির্ধারণ, গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণ ও চাকরির শর্ত ও কর্ম পরিবেশসহ গণমাধ্যম কর্মীদের আইনি সুরক্ষা এবং দাবি নিস্পত্তির জন্য প্রয়োজনে আদালত গঠনের বিধান রেখে বিলটির খসড়া উপস্থাপন করা হয়। বিলটি ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রস্তাবিত আইনটির ৫৪ টি ধারার মধ্যে ৩৭টি ধারাই সাংবাদিকবান্ধব নয় বলে সম্পাদক পরিষদ, সিনিয়র সাংবাদিক এবং সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা মতামত ব্যক্ত করেছেন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আমাদের জাতীয় ইতিহাস আর ঐতিহ্যসমৃদ্ধ সংবাদপত্র আর সাংবাদিকতা যে আজকের এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে তা হয়তো আগে থেকে কেউ ভাবতে পারেনি। অথচ পঞ্চাশ থেকে সত্তর দশকের স্বাধিকার আর স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্বাপর অবিস্মরণীয় ভূমিকা রয়েছে আমাদের সংবাদপত্রের। নব্বই দশকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও সংবাদপত্রের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এমনিতেই সাংবাদিকতা পেশা অন্য আর দশটি পেশার চেয়ে অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংবাদকর্মীদের স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষেত্রে এক ধরণের চাপ তৈরি করেছে। এর ওপর প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন পাশ হলে শিল্প হিসেবে সংবাদপত্র আরো বেশি রুগ্ন হবে। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের জন্য তা হবে মর্যাদাহানিকর।

প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনে দেনাপাওয়া নিয়ে বিরোধ নিস্পত্তির জন্য এক বা একাধিক বিভাগীয় এলাকার জন্য গণমাধ্যম আদালত স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। এ আদালতের একজন চেয়ারম্যান এবং দুইজন সদস্য থাকবেন। কর্মরত জেলা জজদের মধ্যে একজন চেয়ারম্যান হবেন। দুই সদস্যের একজন হবেন গণমাধ্যম মালিক, আরেকজন গণমাধ্যমকর্মী। উল্লেখ্য যে, সংবাদকর্মীদের দেনা-পাওনা এবং যে কোনো বিরোধ নিস্পত্তির জন্য ‘শ্রম আদালত’ রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির মাধ্যমে গঠিত ‘বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল’ বাংলাদেশের সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ ও বাক স্বাধীনতা রক্ষার জন্য কাজ করে আসছে। একইসঙ্গে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার মান বজায় রাখা ও সংশোধন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও সুরক্ষার উদ্দেশ্যেই সংস্থাটি কাজ করে থাকে। কাজেই প্রচলিত শিল্প আইন, বাংলাদেশ শ্রম আইন, প্রেস কাউন্সিল এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মাধ্যমেই সংবাদপত্রের সকল কার্যক্রম তদরকি করা সম্ভব। ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন’ নামে নতুন কোনো আইনের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

নোয়াব জানায়, ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশের সংবাদপত্র শিল্পের বিকাশে ‘নোয়াব’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। নোয়াবের ধারাবাহিক দাবির কারণে সরকার ২০১৪ সালে সংবাদপত্রকে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু ‘শিল্প’ সম্পর্কিত প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা সংবাদপত্র পাচ্ছে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, নোয়াব মনে করে প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা, শিল্প আইন এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই আইন পাশ হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্তসহ সংবাদপত্রের বিকাশকে সংকুচিত করবে। ###

ছবি

৯৮ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে চাপে সাংবাদিকেরা

ছবি

ঝালকাঠি জেলা সাংবাদিক সমিতি’র সভাপতি সালেহ আকন ও সম্পাদক মানিক লাল

ছবি

শাকিল আনোয়ার সভাপতি ও সাজ্জাত লতিফ সাধারণ সম্পাদক নির্াচিত

ছবি

সংবাদ-এর ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন

ছবি

নওগাঁয় সংবাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

আরডিআরএফ’র নতুন নির্বাহী কমিটি গঠন

ছবি

নিউইয়র্কে ‘সাপ্তাহিক আজকাল’ নতুন সম্পাদনায় ও ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত হবে

ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের দাবি সাবেক তথ্যমন্ত্রীর

ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি সম্পাদক পরিষদের

ছবি

৩১৯ বছরের পুরনো পত্রিকা উইনার জেইতুংয়ের প্রিন্ট বন্ধ হচ্ছে

ছবি

নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে দিপু সভািতি ও জীবন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

ছবি

আরেক মামলায় জামিন পেলেন সাংবাদিক শামসুজ্জামান

ছবি

মোদি সরকারের পরিকল্পনায় ভারতের এডিটর্স গিল্ডের উদ্বেগ

ছবি

কারামুক্ত প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান

ছবি

জামিন পেলেন সাংবাদিক শামসুজ্জামান

ছবি

প্রথম আলো সম্পাদকের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন

ছবি

প্রথম আলো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করায় মামলা হয়েছে: হাছান মাহমুদ

ছবি

সাংবাদিক শামসের মুক্তির দাবি জাবির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের

ছবি

প্রথম আলোর সম্পাদককে গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ

ছবি

কাশিমপুর থেকে ফের কেন্দ্রীয় কারাগারে শামসুজ্জামান

ছবি

মহান স্বাধীনতাকে হেয় করে প্রথম আলোর প্রতিবেদনের নিন্দা এডিটরস গিল্ডের

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ক্রমবর্ধমান প্রয়োগ আমাদের কাছে শঙ্কাজনক : নোয়াব

ছবি

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

ছবি

সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি সিপিজে’র

ছবি

প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

ছবি

সাংবাদিক গ্রেপ্তারের ঘটনায় মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের উদ্বেগ

ছবি

চট্টগ্রামে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার মামলা

ছবি

সাংবাদিক আটকের ঘটনায় এডিটরস গিল্ডের উদ্বেগ

ছবি

শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

ছবি

ইলেকট্রনিক মিডিয়া মার্কেটিং এ্যাসোসিয়েশন (ইমা)’র নতুন কমিটি গঠন

ছবি

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের ২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত

ছবি

৯৬ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

ছবি

কক্সবাজার কণ্ঠ-এর মিলনমেলা, ৬ জনকে সম্মাননা

ছবি

দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অনেক দেশের জন্য উদাহরণ : হাছান মাহমুদ

ছবি

এসসিআরএফের নতুন কমিটি সভাপতি আশীষ সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর

tab

মিডিয়া

প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন স্বাধীন সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করবে: নোয়াব

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক:

ছবি: সংগৃহীত

রোববার, ২৪ এপ্রিল ২০২২

প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা, শিল্প আইন এবং বাংলাদেশ শ্রম আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। এই আইন পাশ হলে শিল্প হিসেবে সংবাদপত্র আরো বেশি রুগ্ন হবে, পাশাপাশি স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত হবে। যা সংবাদপত্রের বিকাশকে সংকুচিত করবে বলে মনে করছে দৈনিক সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠনটি।

রোববার (২৪ এপ্রিল) নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ ও সহ-সভাপতি এ এস এম শহীদুল্লাহ খানের সই করা বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, কোভিডের অভিঘাতের কারণে সংবাদপত্র শিল্প আজ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। কোভিডকালে লকডাউনের সময় সরকারের কাছে বারবার আর্জি জানালেও অন্যান্য খাতের মতো সংবাদপত্র শিল্প কোনো সহায়তা পায়নি। ২০২০ সালে নিউজপ্রিন্টের আমদানী মূল্য টন প্রতি ৫০০ ডলারের আশেপাশে থাকলেও এখন তা ১ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে ডিজিটাল বাস্তবতা ছাপা সংবাদপত্রকে পাঠক প্রাপ্তি ও ব্যবসায়িক দিক থেকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

সংবাদপত্রের এই সংকটকালীন সময়ের মধ্যেই গত ২৮ মার্চ জাতীয় সংসদে গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন, ২০২২ উত্থাপন করা হয়েছে। গণমাধ্যম বিল, সাংবাদিকতা, সংবাদপত্র, বেতন পরিশোধ, ছুটি নির্ধারণ, নি¤œতম বেতন হার নির্ধারণ, গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণ ও চাকরির শর্ত ও কর্ম পরিবেশসহ গণমাধ্যম কর্মীদের আইনি সুরক্ষা এবং দাবি নিস্পত্তির জন্য প্রয়োজনে আদালত গঠনের বিধান রেখে বিলটির খসড়া উপস্থাপন করা হয়। বিলটি ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রস্তাবিত আইনটির ৫৪ টি ধারার মধ্যে ৩৭টি ধারাই সাংবাদিকবান্ধব নয় বলে সম্পাদক পরিষদ, সিনিয়র সাংবাদিক এবং সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা মতামত ব্যক্ত করেছেন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আমাদের জাতীয় ইতিহাস আর ঐতিহ্যসমৃদ্ধ সংবাদপত্র আর সাংবাদিকতা যে আজকের এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে তা হয়তো আগে থেকে কেউ ভাবতে পারেনি। অথচ পঞ্চাশ থেকে সত্তর দশকের স্বাধিকার আর স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্বাপর অবিস্মরণীয় ভূমিকা রয়েছে আমাদের সংবাদপত্রের। নব্বই দশকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও সংবাদপত্রের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এমনিতেই সাংবাদিকতা পেশা অন্য আর দশটি পেশার চেয়ে অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংবাদকর্মীদের স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষেত্রে এক ধরণের চাপ তৈরি করেছে। এর ওপর প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন পাশ হলে শিল্প হিসেবে সংবাদপত্র আরো বেশি রুগ্ন হবে। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের জন্য তা হবে মর্যাদাহানিকর।

প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনে দেনাপাওয়া নিয়ে বিরোধ নিস্পত্তির জন্য এক বা একাধিক বিভাগীয় এলাকার জন্য গণমাধ্যম আদালত স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। এ আদালতের একজন চেয়ারম্যান এবং দুইজন সদস্য থাকবেন। কর্মরত জেলা জজদের মধ্যে একজন চেয়ারম্যান হবেন। দুই সদস্যের একজন হবেন গণমাধ্যম মালিক, আরেকজন গণমাধ্যমকর্মী। উল্লেখ্য যে, সংবাদকর্মীদের দেনা-পাওনা এবং যে কোনো বিরোধ নিস্পত্তির জন্য ‘শ্রম আদালত’ রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির মাধ্যমে গঠিত ‘বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল’ বাংলাদেশের সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ ও বাক স্বাধীনতা রক্ষার জন্য কাজ করে আসছে। একইসঙ্গে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার মান বজায় রাখা ও সংশোধন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও সুরক্ষার উদ্দেশ্যেই সংস্থাটি কাজ করে থাকে। কাজেই প্রচলিত শিল্প আইন, বাংলাদেশ শ্রম আইন, প্রেস কাউন্সিল এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মাধ্যমেই সংবাদপত্রের সকল কার্যক্রম তদরকি করা সম্ভব। ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন’ নামে নতুন কোনো আইনের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

নোয়াব জানায়, ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশের সংবাদপত্র শিল্পের বিকাশে ‘নোয়াব’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। নোয়াবের ধারাবাহিক দাবির কারণে সরকার ২০১৪ সালে সংবাদপত্রকে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু ‘শিল্প’ সম্পর্কিত প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা সংবাদপত্র পাচ্ছে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, নোয়াব মনে করে প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা, শিল্প আইন এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই আইন পাশ হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্তসহ সংবাদপত্রের বিকাশকে সংকুচিত করবে। ###

back to top