প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কে ‘নেতিবাচক, ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর’ ধারণার অভিযোগে দুই মামলায় অভিনেতা আফরান নিশো, অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের অব্যাহতির সুপারিশ করে দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এ নারাজি আবেদন করেন বাদী বশির আল হোসাইন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জীবন জয়ন্ত এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জীবন জয়ন্ত জানান, শুনানি শেষে আদালত নারাজির বিষয়ে পরে আদেশের জন্য রেখেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে এই দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রতিবেদনে তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই সময় প্রতিবেদনে তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১১ আগস্ট বশির আল হোসাইন নামের এক প্রতিবন্ধী অধিকার কর্মী আলোচিত এই মামলা দুটি দায়ের করেন। এরমধ্যে একটি মামলা দায়ের করা হয় ‘ঘটনা সত্য’ নামের নাটক নিয়ে, যা চ্যানেল আইয়ের ঈদুল আজহার আয়োজনে গত বছর ২৩ জুলাই প্রচার করা হয়েছিল।
এ মামলায় আসামি করা হয়- চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, নাটকের চিত্রনাট্যকার মঈনুল সানু, পরিচালক রুবেল হাসান, অভিনেতা আফরান নিশো, অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীকে। পরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে গত ২ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এছাড়া অন্য মামলা করা হয় চ্যানেল আইয়ের আলোচনা অনুষ্ঠান ‘টু দ্য পয়েন্ট’ এর ১১ জুলাইয়ের পর্ব নিয়ে, যেখানে একজন আলোচকের কথায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে ‘নেতিবাচক ধারণা’র প্রকাশ ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়। এ মামলায় আসামি করা হয়- উপস্থাপক সোমা ইসলাম এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকা ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে। তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম (বাবুল)।
এদিকে নাটকের মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘ঘটনা সত্য’ নাটকে দেখানো সংলাপে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তাদের বাবা-মা ও পরিবারকে ‘ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে।’
আর দ্বিতীয় মামলায় বাদীর অভিযোগ ‘টু দ্য পয়েন্ট’ অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের খেলা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের একটি মন্তব্য নিয়ে। ওই টক শোতে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমার নিজের ছেলেটারে প্রতিবন্ধী বানাইয়া রাইখা আমি এখন আর্জেন্টিনার ছেলে এবং ব্রাজিলের ছেলে নিয়া লাফাচ্ছি। লাফানো ঠিক আছে। আমরা অনেক ছোটবেলা থেকে ম্যারাডোনার ভক্ত, কিন্তু নিজের ছেলেটারে এভাবে প্রতিবন্ধী বানাব?’ এই মামলায় ‘প্রতিবন্ধী বানাইয়া রাইখা’ এবং ‘এভাবে প্রতিবন্ধী বানাব’ শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কে ‘নেতিবাচক, ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর’ ধারণা দেয়া হয়েছে বলে বাদী অভিযোগ করেন।
বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কে ‘নেতিবাচক, ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর’ ধারণার অভিযোগে দুই মামলায় অভিনেতা আফরান নিশো, অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের অব্যাহতির সুপারিশ করে দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এ নারাজি আবেদন করেন বাদী বশির আল হোসাইন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জীবন জয়ন্ত এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জীবন জয়ন্ত জানান, শুনানি শেষে আদালত নারাজির বিষয়ে পরে আদেশের জন্য রেখেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে এই দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রতিবেদনে তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই সময় প্রতিবেদনে তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১১ আগস্ট বশির আল হোসাইন নামের এক প্রতিবন্ধী অধিকার কর্মী আলোচিত এই মামলা দুটি দায়ের করেন। এরমধ্যে একটি মামলা দায়ের করা হয় ‘ঘটনা সত্য’ নামের নাটক নিয়ে, যা চ্যানেল আইয়ের ঈদুল আজহার আয়োজনে গত বছর ২৩ জুলাই প্রচার করা হয়েছিল।
এ মামলায় আসামি করা হয়- চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, নাটকের চিত্রনাট্যকার মঈনুল সানু, পরিচালক রুবেল হাসান, অভিনেতা আফরান নিশো, অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীকে। পরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে গত ২ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এছাড়া অন্য মামলা করা হয় চ্যানেল আইয়ের আলোচনা অনুষ্ঠান ‘টু দ্য পয়েন্ট’ এর ১১ জুলাইয়ের পর্ব নিয়ে, যেখানে একজন আলোচকের কথায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে ‘নেতিবাচক ধারণা’র প্রকাশ ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়। এ মামলায় আসামি করা হয়- উপস্থাপক সোমা ইসলাম এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকা ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে। তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম (বাবুল)।
এদিকে নাটকের মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘ঘটনা সত্য’ নাটকে দেখানো সংলাপে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তাদের বাবা-মা ও পরিবারকে ‘ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে।’
আর দ্বিতীয় মামলায় বাদীর অভিযোগ ‘টু দ্য পয়েন্ট’ অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের খেলা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের একটি মন্তব্য নিয়ে। ওই টক শোতে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমার নিজের ছেলেটারে প্রতিবন্ধী বানাইয়া রাইখা আমি এখন আর্জেন্টিনার ছেলে এবং ব্রাজিলের ছেলে নিয়া লাফাচ্ছি। লাফানো ঠিক আছে। আমরা অনেক ছোটবেলা থেকে ম্যারাডোনার ভক্ত, কিন্তু নিজের ছেলেটারে এভাবে প্রতিবন্ধী বানাব?’ এই মামলায় ‘প্রতিবন্ধী বানাইয়া রাইখা’ এবং ‘এভাবে প্রতিবন্ধী বানাব’ শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কে ‘নেতিবাচক, ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর’ ধারণা দেয়া হয়েছে বলে বাদী অভিযোগ করেন।