alt

মিডিয়া

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে বাংলাদেশ পিছিয়ে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৬২ তম স্থান পেয়েছে। ফলে আগের বছরের তুলনায় আরও ১০ ধাপ পিছিয়েছে। বাংলাদেশের এত কম স্কোর করার একটি কারণ হল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ডিএসএ। যেটিকে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর আইনগুলোর মধ্যে একটি।’

রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পিটার হাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক- উভয় ক্ষেত্রেই ডিএসএ সম্পর্কে আমাদের উদ্বেগগুলি পরিষ্কার করেছে। আপনারা সবাই জানেন, এই আইন সাংবাদিকদের ফৌজদারি বিচারের হুমকি দেয় যদি তারা এমন কিছু প্রকাশ করে যা সরকারের কাছে ‘মিথ্যা, আপত্তিকর, অবমাননাকর বা মানহানিকর।’

গতকাল ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া ও ওটিটি প্লাটফর্মের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসির নতুন রেগুলেশনের (বিধিমালা) খসড়া আইন নিয়েও নিয়েও উদ্বিগ্ন। যদিও খসড়াটি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে, আমরা আশঙ্কা করছি যে, এতে এমন বিধান রয়েছে যা সাংবাদিকদের এবং অন্যরা যারা মত প্রকাশ করতে আগ্রহী তাদের ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, সাংবাদিকরা প্রতিদিন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও, তারা নির্বাচনে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কিত প্রতিবেদনের সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশ বা যে কোনো দেশে নির্বাচনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি - সে দেশের জনগণের আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পরিচালিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নিজস্ব সরকার বেছে নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে।

কিন্তু সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক নির্বাচনের মান কতটা ঠিক? আটলান্টার জর্জিয়া-ভিত্তিক কার্টার সেন্টার, নির্বাচন সংক্রান্ত একটি সুপরিচিত কর্তৃপক্ষ, সারা বিশ্বে ব্যবহৃত নির্বাচনী মান প্রকাশ করে। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্কিত হিসেবে এখানে তাদের মান উল্লেখ রয়েছে-

১. সম্পাদকীয় স্বাধীনতা সুরক্ষিত এবং রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থাকবে।

২. মিডিয়া সরকারের সমালোচনা করতে পারে।

৩ অসত্য বিবৃতিগুলির পুনরুৎপাদনের জন্য মিডিয়াকে দায়ী করা যায় না।

৪. মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন, জনসাধারণের বিতর্ককে দমিয়ে রাখতে বা সরকারের সমালোচনাকে নিরব করতে গণমাধ্যম ব্যবহৃত হয় না।

৫. সাংবাদিকরা হয়রানি ও সহিংসতা থেকে সুরক্ষিত থাকবে।

আমি খুব আশা করি যে বাংলাদেশে এই পাঁচটি নীতি নির্বাচনের মৌসুমে এবং তারপরেও বহাল থাকবে।

আমি দুটি চূড়ান্ত বিবৃতি দিয়ে শেষ করতে চাই- প্রথমত, স্বাধীন সংবাদপত্রকে রক্ষা করা এবং সাংবাদিকদের ভয়, হয়রানি বা সেন্সরশিপ ছাড়াই সত্য অনুসন্ধান ও প্রতিবেদন করার অনুমতি দেওয়া আমাদের সবার কর্তব্য।

দ্বিতীয়ত, একটি মুক্ত গণমাধ্যম একটি মুক্ত গণতন্ত্রের মূল উপাদান।

ছবি

সপ্তম বর্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব

ছবি

গাজীপুর প্রেসক্লাবে দোয়া মাহফিল ও ইফতার অনুষ্ঠিত

ছবি

টাঙ্গাইল জেলা সাংবাদিক ফোরামের ইফতার-দোয়া মাহফিল

দেশকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকরা বড় ভূমিকা পালন করেন : তোফায়েল আহমেদ

ছবি

“এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিল”এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠিত

ছবি

সাংবাদিক সাব্বিরের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবি

ছবি

ডিইউজে নির্বাচন, সভাপতি পদে সমান ভোট সোহেল-তপুর, সাধারণ সম্পাদক আকতার

সাংবাদিক শফিউজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোয় সম্পাদক পরিষদের নিন্দা

ছবি

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরামের নেতৃত্বে সাব্বির-ইকা

ছবি

১০৬ বারের মতো পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

ছবি

মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ডের নির্বাচন

ছবি

নোয়াবের নতুন কমিটি, আবারও সভাপতি এ.কে.আজাদ

‘সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে ৭০ অনুচ্ছেদ বাধা হবে না’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের এক যুগপূর্তি

মানিক সাহাসহ সাংবাদিক হত্যাকা-ে জড়িতদের চিহ্নিত করতে গণতদন্ত কমিশন গঠনের দাবি

ছবি

উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ক্র্যাবের ভোটগ্রহণ

ছবি

চারণসাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী কাল

ছবি

নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের নেতৃত্বে মতিন-ফয়সাল

ছবি

অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে নোয়াবের মতবিনিময় সভা

ছবি

শিশুবিষয়ক খবরে গণমাধ্যমকে বেশী গুরুত্ব দেয়ার আহবান

ছবি

নরসিংদী প্রেস ক্লাবের নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের শপথ গ্রহণ

ছবি

আহমদুল কবির কখনো প্রাসঙ্গিকতা হারাবেন না

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের প্রয়াত সাংবাদিকদের স্মরণে সভা

ছবি

গুজব রোধে গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

সাংবাদিকরা ভুল করলে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হবে - প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান

ছবি

ক্ষমা না চাইলে বিএনপির সংবাদ পরিহারের ডাক ডিইউজের

মাহেলা বেগম

ছবি

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

ছবি

সাগর-রুনি হত্যা : ১০২ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে

ছবি

ভিসা নীতিঃ সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ ও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ব্যাখ্যা

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাবি সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

ছবি

কপিরাইট বিল পাস

ছবি

ওয়ার্ল্ড ভিশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন সংবাদ প্রতিবেদকসহ ৬ সাংবাদিক

ছবি

ওয়ার্ল্ড ভিশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন সংবাদ প্রতিবেদকসহ ৬ সাংবাদিক

ছবি

র‍্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেলেন করভি রাখসান্দ

tab

মিডিয়া

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে বাংলাদেশ পিছিয়ে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৬২ তম স্থান পেয়েছে। ফলে আগের বছরের তুলনায় আরও ১০ ধাপ পিছিয়েছে। বাংলাদেশের এত কম স্কোর করার একটি কারণ হল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ডিএসএ। যেটিকে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর আইনগুলোর মধ্যে একটি।’

রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পিটার হাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক- উভয় ক্ষেত্রেই ডিএসএ সম্পর্কে আমাদের উদ্বেগগুলি পরিষ্কার করেছে। আপনারা সবাই জানেন, এই আইন সাংবাদিকদের ফৌজদারি বিচারের হুমকি দেয় যদি তারা এমন কিছু প্রকাশ করে যা সরকারের কাছে ‘মিথ্যা, আপত্তিকর, অবমাননাকর বা মানহানিকর।’

গতকাল ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া ও ওটিটি প্লাটফর্মের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসির নতুন রেগুলেশনের (বিধিমালা) খসড়া আইন নিয়েও নিয়েও উদ্বিগ্ন। যদিও খসড়াটি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে, আমরা আশঙ্কা করছি যে, এতে এমন বিধান রয়েছে যা সাংবাদিকদের এবং অন্যরা যারা মত প্রকাশ করতে আগ্রহী তাদের ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, সাংবাদিকরা প্রতিদিন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও, তারা নির্বাচনে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কিত প্রতিবেদনের সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশ বা যে কোনো দেশে নির্বাচনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি - সে দেশের জনগণের আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পরিচালিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নিজস্ব সরকার বেছে নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে।

কিন্তু সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক নির্বাচনের মান কতটা ঠিক? আটলান্টার জর্জিয়া-ভিত্তিক কার্টার সেন্টার, নির্বাচন সংক্রান্ত একটি সুপরিচিত কর্তৃপক্ষ, সারা বিশ্বে ব্যবহৃত নির্বাচনী মান প্রকাশ করে। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্কিত হিসেবে এখানে তাদের মান উল্লেখ রয়েছে-

১. সম্পাদকীয় স্বাধীনতা সুরক্ষিত এবং রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থাকবে।

২. মিডিয়া সরকারের সমালোচনা করতে পারে।

৩ অসত্য বিবৃতিগুলির পুনরুৎপাদনের জন্য মিডিয়াকে দায়ী করা যায় না।

৪. মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন, জনসাধারণের বিতর্ককে দমিয়ে রাখতে বা সরকারের সমালোচনাকে নিরব করতে গণমাধ্যম ব্যবহৃত হয় না।

৫. সাংবাদিকরা হয়রানি ও সহিংসতা থেকে সুরক্ষিত থাকবে।

আমি খুব আশা করি যে বাংলাদেশে এই পাঁচটি নীতি নির্বাচনের মৌসুমে এবং তারপরেও বহাল থাকবে।

আমি দুটি চূড়ান্ত বিবৃতি দিয়ে শেষ করতে চাই- প্রথমত, স্বাধীন সংবাদপত্রকে রক্ষা করা এবং সাংবাদিকদের ভয়, হয়রানি বা সেন্সরশিপ ছাড়াই সত্য অনুসন্ধান ও প্রতিবেদন করার অনুমতি দেওয়া আমাদের সবার কর্তব্য।

দ্বিতীয়ত, একটি মুক্ত গণমাধ্যম একটি মুক্ত গণতন্ত্রের মূল উপাদান।

back to top