বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রণয়ন করতে যাওয়া ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া ও ওটিটি প্লাটফর্ম বিষয়ক নীতিমালা দুটিকে শিল্পবান্ধব করার দাবি জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। গত ১৩ আগস্ট এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত ‘রেগুলেশন অব ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড ওটিটি প্ল্যাটফর্মস : দ্য নিড টু স্ট্রাইক দ্য রাইট ব্যালান্স’ শীর্ষক সেমিনারে তারা এ দাবি জানান।
উদ্যোক্তারা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির যুগে নিউ মিডিয়া অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নতুন সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। অনেক উদ্যোক্তা এই সৃষ্টিশীল খাতে বিনিয়োগ করছেন। নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে। একই সাথে দেশীয় সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে সোশ্যাল ও ডিজিটাল মিডিয়া এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো ভূমিকা রাখছে। তাই সরকারের নীতিমালাগুলো এ খাতের বিকাশে সহযোগীতামূলক হওয়া জরুরি।
একই বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রনালয়ের দুটি ভিন্ন নীতিমালার কারণে ভবিষ্যতে জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করেন বক্তারা।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, এ সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়া সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে আলোচনা করেই প্রস্তুত করা হয়েছে। তারপরও সবার মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, পরিবর্ধন করে চুড়ান্ত নীতিমালা তৈরির আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
দুই মন্ত্রণালয়ের একই বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, টেলিভিশন, রেডিওসহ সম্প্রচার মাধ্যমগুলো তদারকির দায়িত্ব তথ্যমন্ত্রণালয়ের। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়াসহ ইন্টারনেটভিত্তিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ অন্যান্য মাধ্যমের দায়িত্ব ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের। দুটো ভিন্ন এখতিয়ারভুক্ত হওয়ায় দুই মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে।
নিয়ন্ত্রণমূলক নীতিমালার প্রয়োজন রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ফেইসুবক, ইউটিউব যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে তৈরি কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলে। বাংলাদেশের বাস্তবতার সাথে সেগুলোর কোন কোন ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য নেই। তাই এসব প্ল্যাটফর্মে নিরাপদ কনটেন্ট নিশ্চিত করার জন্য এই নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।’
সরকার ‘বাকস্বাধীনতা ও ব্যক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে’ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী ও সংবিধানবিরোধী কোন কার্যক্রম মেনে নেয়া হবে না।’
মন্ত্রী জানান, আগামী জানুয়ারির মধ্যে দেশে ফাইভজির হোম নেটওয়ার্ক চালু হবে। যার মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তথ্যপ্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন করা যাবে। বিশ্ব এখন ৪র্থ শিল্পবিপ্লব পার হয়ে ৫ম শিল্পবিপ্লবের দিকে এগোচ্ছে মন্তব্য করে ব্যবসায়ীদের আগামীদিনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশেই দুটি মন্ত্রণালয় তার নিজস্ব এখতিয়ারভুক্ত বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে নীতিমালার খসড়া প্রস্তত করেছে। তাই নীতিমালা দুটি সাংঘর্ষিক হবার কোন সুযোগ নেই।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, নীতিমালার কারণে যেন নতুন এই সম্ভাবনাময় শিল্পের বিকাশ সংকুচিত না হয়ে যায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও বিটিআরসি ও তথ্য মন্ত্রণালয় কোন কোন বিষয় তদারকি করবে সে বিষয়গুলো সুস্পষ্ট করার তাগিদ দেন সভাপতি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। এফবিসিসিআই এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবির, বিটিআরসির মহাপরিচালক (সিস্টেম ও সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, এশিয়া ইন্টারনেট কোয়ালিশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেফ পেইন, মেটা বাংলাদেশের পাবলিক পলিসি প্রধান শাবনাজ রশিদ দিয়া, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গবিডির সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাভিদুল হক প্রমুখ।
সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০২২
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রণয়ন করতে যাওয়া ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া ও ওটিটি প্লাটফর্ম বিষয়ক নীতিমালা দুটিকে শিল্পবান্ধব করার দাবি জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। গত ১৩ আগস্ট এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত ‘রেগুলেশন অব ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড ওটিটি প্ল্যাটফর্মস : দ্য নিড টু স্ট্রাইক দ্য রাইট ব্যালান্স’ শীর্ষক সেমিনারে তারা এ দাবি জানান।
উদ্যোক্তারা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির যুগে নিউ মিডিয়া অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নতুন সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। অনেক উদ্যোক্তা এই সৃষ্টিশীল খাতে বিনিয়োগ করছেন। নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে। একই সাথে দেশীয় সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে সোশ্যাল ও ডিজিটাল মিডিয়া এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো ভূমিকা রাখছে। তাই সরকারের নীতিমালাগুলো এ খাতের বিকাশে সহযোগীতামূলক হওয়া জরুরি।
একই বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রনালয়ের দুটি ভিন্ন নীতিমালার কারণে ভবিষ্যতে জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করেন বক্তারা।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, এ সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়া সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে আলোচনা করেই প্রস্তুত করা হয়েছে। তারপরও সবার মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, পরিবর্ধন করে চুড়ান্ত নীতিমালা তৈরির আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
দুই মন্ত্রণালয়ের একই বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, টেলিভিশন, রেডিওসহ সম্প্রচার মাধ্যমগুলো তদারকির দায়িত্ব তথ্যমন্ত্রণালয়ের। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়াসহ ইন্টারনেটভিত্তিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ অন্যান্য মাধ্যমের দায়িত্ব ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের। দুটো ভিন্ন এখতিয়ারভুক্ত হওয়ায় দুই মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে।
নিয়ন্ত্রণমূলক নীতিমালার প্রয়োজন রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ফেইসুবক, ইউটিউব যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে তৈরি কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলে। বাংলাদেশের বাস্তবতার সাথে সেগুলোর কোন কোন ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য নেই। তাই এসব প্ল্যাটফর্মে নিরাপদ কনটেন্ট নিশ্চিত করার জন্য এই নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।’
সরকার ‘বাকস্বাধীনতা ও ব্যক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে’ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী ও সংবিধানবিরোধী কোন কার্যক্রম মেনে নেয়া হবে না।’
মন্ত্রী জানান, আগামী জানুয়ারির মধ্যে দেশে ফাইভজির হোম নেটওয়ার্ক চালু হবে। যার মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তথ্যপ্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন করা যাবে। বিশ্ব এখন ৪র্থ শিল্পবিপ্লব পার হয়ে ৫ম শিল্পবিপ্লবের দিকে এগোচ্ছে মন্তব্য করে ব্যবসায়ীদের আগামীদিনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশেই দুটি মন্ত্রণালয় তার নিজস্ব এখতিয়ারভুক্ত বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে নীতিমালার খসড়া প্রস্তত করেছে। তাই নীতিমালা দুটি সাংঘর্ষিক হবার কোন সুযোগ নেই।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, নীতিমালার কারণে যেন নতুন এই সম্ভাবনাময় শিল্পের বিকাশ সংকুচিত না হয়ে যায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও বিটিআরসি ও তথ্য মন্ত্রণালয় কোন কোন বিষয় তদারকি করবে সে বিষয়গুলো সুস্পষ্ট করার তাগিদ দেন সভাপতি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। এফবিসিসিআই এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবির, বিটিআরসির মহাপরিচালক (সিস্টেম ও সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, এশিয়া ইন্টারনেট কোয়ালিশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেফ পেইন, মেটা বাংলাদেশের পাবলিক পলিসি প্রধান শাবনাজ রশিদ দিয়া, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গবিডির সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাভিদুল হক প্রমুখ।