জন্মশতবর্ষ উদ্যাপনে ব্যাপক আয়োজন
আনন্দঘন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গতকাল উদ্যাপন করা হয়েছে সংবাদের সাবেক প্রধান সম্পাদক, আদর্শবাদী রাজনীতিক আহমদুল কবিরের জন্মশতবর্ষ। এ উপলক্ষে ঢাকা এবং তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী ঘোড়াশালে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সংবাদপত্র, সাংবাদিকতা এবং রাজনীতিতে প্রয়াত আহমদুল কবিরের অবদান সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন আহমদুল কবির ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অভিভাবক এবং আদর্শবাদী রাজনীতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব।
আহমদুল কবির জন্মেছিলেন ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর ঘোড়াশালে মিয়া বাড়িতে। তার বাবা মরহুম আবু ইউসুফ লুৎফুল কবির ছিলেন ঘোড়াশালের জমিদার। মায়ের নাম মরহুমা সুফিয়া খাতুন। ২০০৩ সালের ২৪ নভেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহমদুল কবির মারা যান।
গতকাল ছিল আহমদুল কবিরের জন্মশতবর্ষ। তার এ শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে এবং ঘোড়াশালে তার পরিবার ও আহমদুল কবির (মনুমিয়া) স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আহমদুল কবিরের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে জন্মদিনের কেক কাটা অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। প্রেসক্লাব লাউঞ্জে প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তা ও সিনিয়র সাংবাদিকদের নিয়ে কেক কাটেন আহমদুল কবিরের মেয়ে ব্যরিস্টার নিহাদ কবির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ূন, সংবাদের বার্তা সম্পাদক কাজী রফিক, চিফ রিপোর্টার সালাম জুবায়ের, যুগান্তরের বার্তা সম্পাদক আবদুল রহমান, প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির শাহেদ চৌধুরী,আশরাফ আলী, কল্যাণ সাহা, কাজী রওনক হোসেন, জুলহাস উদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, আহমদুল কবির শুধু সংবাদের প্রধান সম্পাদকই ছিলেন না তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অভিভাবক। তার বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার আদর্শ থেকে অনেক পেশাদার সাংবাদিক প্রথম সাংবাদিকতার পাঠ নিয়েছেন।
আহমদুল কবিরের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বড় মাপের অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা প্রকাশ করে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।
ব্যরিস্টার নিহাদ কবির তার পিতা আহমদুল কবিরের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় তার নিজের এবং ‘সংবাদ’ পরিবারের পক্ষ থেকে প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমার বাবা আহমদুল কবির অত্যন্ত শততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে ‘সংবাদ’-এ সাংবাদিকতা পেশার মানোন্নয়নে অবদান রেখেছেন। আমি ছোটবেলা থেকে তার এই নিষ্ঠা ও আদর্শবাদিতা দেখে বড় হয়েছি।
সাংবাদিক নাসিমুল আরা মিনু বলেন, আহমদুল কবিরকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি। তিনি অত্যন্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও সত্যবাদিতার আদর্শের মানুষ ছিলেন। তার জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।
আহমদুল কবিরের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর ঘোড়াশালে মিয়াবাড়ীতে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে ছিল আহমদুল কবিরের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ, দোয়া মাহফিল, কুরআনখানী, দুস্থ-গরীবদের মাঝে শাড়ী, লুঙ্গী ও খাবার বিতরণ, জন্মদিনের কেককাটা ও আলোচনা সভা।
জন্মশতবর্ষ উদ্যাপনে ব্যাপক আয়োজন
শনিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
আনন্দঘন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গতকাল উদ্যাপন করা হয়েছে সংবাদের সাবেক প্রধান সম্পাদক, আদর্শবাদী রাজনীতিক আহমদুল কবিরের জন্মশতবর্ষ। এ উপলক্ষে ঢাকা এবং তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী ঘোড়াশালে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সংবাদপত্র, সাংবাদিকতা এবং রাজনীতিতে প্রয়াত আহমদুল কবিরের অবদান সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন আহমদুল কবির ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অভিভাবক এবং আদর্শবাদী রাজনীতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব।
আহমদুল কবির জন্মেছিলেন ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর ঘোড়াশালে মিয়া বাড়িতে। তার বাবা মরহুম আবু ইউসুফ লুৎফুল কবির ছিলেন ঘোড়াশালের জমিদার। মায়ের নাম মরহুমা সুফিয়া খাতুন। ২০০৩ সালের ২৪ নভেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহমদুল কবির মারা যান।
গতকাল ছিল আহমদুল কবিরের জন্মশতবর্ষ। তার এ শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে এবং ঘোড়াশালে তার পরিবার ও আহমদুল কবির (মনুমিয়া) স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আহমদুল কবিরের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে জন্মদিনের কেক কাটা অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। প্রেসক্লাব লাউঞ্জে প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তা ও সিনিয়র সাংবাদিকদের নিয়ে কেক কাটেন আহমদুল কবিরের মেয়ে ব্যরিস্টার নিহাদ কবির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ূন, সংবাদের বার্তা সম্পাদক কাজী রফিক, চিফ রিপোর্টার সালাম জুবায়ের, যুগান্তরের বার্তা সম্পাদক আবদুল রহমান, প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির শাহেদ চৌধুরী,আশরাফ আলী, কল্যাণ সাহা, কাজী রওনক হোসেন, জুলহাস উদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, আহমদুল কবির শুধু সংবাদের প্রধান সম্পাদকই ছিলেন না তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অভিভাবক। তার বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার আদর্শ থেকে অনেক পেশাদার সাংবাদিক প্রথম সাংবাদিকতার পাঠ নিয়েছেন।
আহমদুল কবিরের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বড় মাপের অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা প্রকাশ করে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।
ব্যরিস্টার নিহাদ কবির তার পিতা আহমদুল কবিরের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় তার নিজের এবং ‘সংবাদ’ পরিবারের পক্ষ থেকে প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমার বাবা আহমদুল কবির অত্যন্ত শততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে ‘সংবাদ’-এ সাংবাদিকতা পেশার মানোন্নয়নে অবদান রেখেছেন। আমি ছোটবেলা থেকে তার এই নিষ্ঠা ও আদর্শবাদিতা দেখে বড় হয়েছি।
সাংবাদিক নাসিমুল আরা মিনু বলেন, আহমদুল কবিরকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি। তিনি অত্যন্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও সত্যবাদিতার আদর্শের মানুষ ছিলেন। তার জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।
আহমদুল কবিরের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর ঘোড়াশালে মিয়াবাড়ীতে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে ছিল আহমদুল কবিরের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ, দোয়া মাহফিল, কুরআনখানী, দুস্থ-গরীবদের মাঝে শাড়ী, লুঙ্গী ও খাবার বিতরণ, জন্মদিনের কেককাটা ও আলোচনা সভা।