প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলামের ওপর ‘সরকারের ধারাবাহিক হয়রানির’ নিন্দা জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট (আইপিআই)। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অবিলম্বে প্রত্যাহার ও জনস্বার্থ–সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রতিবেদন তৈরি করার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
আজ শুক্রবার আইপিআইয়ের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিয়ে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। সম্পাদক, সংবাদমাধ্যমের নির্বাহী ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক আইপিআই।
বিবৃতিতে আইপিআইয়ের হেড অব অ্যাডভোকেসি অ্যামি ভৌয়েত্তা বলেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে করা অসামঞ্জস্যপূর্ণ অভিযোগগুলো তুলে নিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁরা। তিনি বলেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে আইনি প্রক্রিয়া ও হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে দেশটিতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর প্রভাব পড়ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোজিনা ইসলামের ওপর হয়রানি বাংলাদেশের স্বাধীন গণমাধ্যমগুলো যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, তা-ই ফুটিয়ে তুলেছে। যেসব সাংবাদিক সরকারের দুর্নীতি সামনে আনছেন, তাঁরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের ভয় দেখাতে ও মুখ বন্ধ করতে সরকার সেকেলে আইন ব্যবহার করছে।
সাংবাদিক রোজিনা ২০২১ সালের ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন। তাঁকে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে শত বছরের পুরোনো ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’–এ গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাঁকে।
ওই মামলা তদন্ত করে গত বছরের জুলাইয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। রোজিনা ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তাতে বলা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সপক্ষে কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি।
এ মামলার বাদী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী গত ২৩ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে ওই প্রতিবেদনে নারাজি দেন। আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের এমন নির্দেশে হতাশা প্রকাশ করেছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন।
রোজিনা ইসলাম ‘সেরা অদম্য সাহসী’ হিসেবে ২০২১ সালে ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। এ ছাড়া গত বছরের ৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২২ সালের ‘অ্যান্টিকরাপশন চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড’ পান তিনি।
শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলামের ওপর ‘সরকারের ধারাবাহিক হয়রানির’ নিন্দা জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট (আইপিআই)। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অবিলম্বে প্রত্যাহার ও জনস্বার্থ–সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রতিবেদন তৈরি করার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
আজ শুক্রবার আইপিআইয়ের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিয়ে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। সম্পাদক, সংবাদমাধ্যমের নির্বাহী ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক আইপিআই।
বিবৃতিতে আইপিআইয়ের হেড অব অ্যাডভোকেসি অ্যামি ভৌয়েত্তা বলেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে করা অসামঞ্জস্যপূর্ণ অভিযোগগুলো তুলে নিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁরা। তিনি বলেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে আইনি প্রক্রিয়া ও হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে দেশটিতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর প্রভাব পড়ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোজিনা ইসলামের ওপর হয়রানি বাংলাদেশের স্বাধীন গণমাধ্যমগুলো যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, তা-ই ফুটিয়ে তুলেছে। যেসব সাংবাদিক সরকারের দুর্নীতি সামনে আনছেন, তাঁরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের ভয় দেখাতে ও মুখ বন্ধ করতে সরকার সেকেলে আইন ব্যবহার করছে।
সাংবাদিক রোজিনা ২০২১ সালের ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন। তাঁকে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে শত বছরের পুরোনো ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’–এ গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাঁকে।
ওই মামলা তদন্ত করে গত বছরের জুলাইয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। রোজিনা ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তাতে বলা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সপক্ষে কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি।
এ মামলার বাদী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী গত ২৩ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে ওই প্রতিবেদনে নারাজি দেন। আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের এমন নির্দেশে হতাশা প্রকাশ করেছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন।
রোজিনা ইসলাম ‘সেরা অদম্য সাহসী’ হিসেবে ২০২১ সালে ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। এ ছাড়া গত বছরের ৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২২ সালের ‘অ্যান্টিকরাপশন চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড’ পান তিনি।