alt

মিডিয়া

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড: ১১ বছরেও শেষ হয়নি ৪৮ ঘণ্টা, বিচার চায় সাংবাদিক সমাজ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ১১ বছরেও তদন্ত শেষ না হওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ সাংবাদিক সমাজ। সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, খুনের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে। কিন্তু ৯৫ হাজারের বেশি ঘণ্টা পার হলেও তদন্তই শেষ হয়নি। সাগর-রুনির খুনের বিচার ৪৮ বছরেও শেষ হবে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছে সাংবাদিক সমাজ। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সাংবাদিক নেতারা।

আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও তাঁর স্ত্রী মেহেরুন রুনি। বহুল আলোচিত এই খুনের মামলা তদন্ত করছে র‍্যাব। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ৯৫ বার আদালতের কাছে সময় নিয়েছে র‍্যাব।

সাগর-রুনি খুনের মামলার তদন্তে বিলম্বের বিষয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘এই ১১ বছর আমাদের সাংবাদিক সমাজের সঙ্গে খেলাধুলা হয়েছে রাষ্ট্রের দিক থেকে, যেভাবে বিব্রত ও বিভ্রান্ত করা হয়েছে, আমি হতাশ। আমার মতো সাংবাদিক ভাইরাও কিন্তু হতাশায় নিমজ্জিত। তাঁরা ধরেই নিয়েছেন, আমরা যতই আন্দোলন করি, এর কোনো সুরাহা হবে না; খুনিরা ধরা পড়বে না। রাষ্ট্র যেদিকে চলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেদিকে চলছে। সেদিকেই যাবে। শেষ পর্যন্ত ফল শূন্য হবে। তবে রাষ্ট্র ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলতে চাই, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো ধরনের গল্প ফাঁদার চেষ্টা করবেন না।’

র‍্যাবের উদ্দেশে সাংবাদিক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘র‍্যাব কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি, প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে কোনো ধরনের গল্প ফেঁদে যদি এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে র‍্যাবের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সমাজের লড়াই শুরু হবে। আপনারা যদি এলিট ফোর্সই হয়ে থাকেন, তাহলে কি এলিট ফোর্স একটি ঘটনার তদন্ত করতে ৯৫ বার সময় নেয়। কেউ কি এটা বিশ্বাস করবেন, আপনারা এটি করতে পারছেন না। সবাই ধরে নিয়েছেন, আপনাদের এটি তদন্ত করার সদিচ্ছা নেই। রাষ্ট্র ধরে নিচ্ছে, সাংবাদিক হত্যা হলে আর কী হবে; সাংবাদিকই তো।’

সমাবেশে বক্তব্য দেওয়া অধিকাংশ সাংবাদিক নেতা অভিযোগ করেন, সাগর-রুনির খুনের বিচার না হওয়ার কারণে আরও অনেক সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন।

সমাবেশে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী বলেন, ‘আমরা আর কতকাল সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য অপেক্ষা করব। আর কতকাল সময় দেব? যেকোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়, হচ্ছে—আমরা দেখেছি। কিন্তু সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ডের মামলাগুলোর বিচার হচ্ছে না।’

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে মুরসালিন নোমানী বলেন, ‘অতীতেও আমরা সাংবাদিক সমাজ এক হয়ে বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছি। এখনো আন্দোলন করছি। যত দিন এই খুনের তদন্ত ও বিচার শেষ না হবে, তত দিন আন্দোলন চালিয়ে যাবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ বলেন, ‘১১ বছরে র‍্যাব তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ৯৫ বার সময় নিয়েছে। বিচার তো অনেক দূরের কথা। সাগর-রুনির একমাত্র সন্তান মেঘকে সান্ত্বনা দেওয়ার কোনো ভাষা নেই। সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের বিচার হয় না। আমি জানি না, সাংবাদিক খুনের মিছিল কত বড় হবে, কবে সাগর-রুনি হত্যার বিচার হবে।’

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেওয়া সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রতিনিয়ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সাংবাদিক নেতারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।

প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, ডিআরইউর সহসভাপতি দিপু সারোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক মঈনুল হাসান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কিরন শেখ, চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি মাজহারুল হক মান্না, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।

সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের যৌথ বিবৃতি

ছবি

দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

ছবি

একটি মহল কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে : এডিটরস গিল্ড

ছবি

দৃকে শুরু হলো বাংলাদেশ প্রেস ফটো প্রদর্শনী

ছবি

১০৯ বারের মতো পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

ছবি

সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকতা নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের চিঠি, এডিটরস গিল্ডের প্রতিবাদ

ছবি

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবাদ দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের নৈতিক সমর্থন দিয়েছে: নোয়াব

ছবি

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ ও প্রতিবাদ

ছবি

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও দর্শন প্রতিষ্ঠা পেলে সুষম ও সুশিক্ষার সমাজ গড়ে উঠবে -উপাচার্য ড. মশিউর রহমান

ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরামের আত্মপ্রকাশ

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের ৪র্থ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ছবি

সাংবাদিক হেনস্তার ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি : ওবায়দুল কাদের

ছবি

পেশাদার সাংবাদিকতা চর্চার পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে সরকার : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

৭৪ বছরে পদার্পণ সংবাদ-এর

ছবি

জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি পলাশ খান, সম্পাদক শাওন বেপারী

ছবি

দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি,বিভিন্ন ভাবে বারবার গণমাধ্যমকে বাঁধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে

ছবি

রংপুরে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, দুই বছরে ৫ কোটি টাকা ‘হাতিয়ে নেওয়ার’ অভিযোগ

ছবি

সপ্তম বর্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব

ছবি

গাজীপুর প্রেসক্লাবে দোয়া মাহফিল ও ইফতার অনুষ্ঠিত

ছবি

টাঙ্গাইল জেলা সাংবাদিক ফোরামের ইফতার-দোয়া মাহফিল

দেশকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকরা বড় ভূমিকা পালন করেন : তোফায়েল আহমেদ

ছবি

“এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিল”এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠিত

ছবি

সাংবাদিক সাব্বিরের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবি

ছবি

ডিইউজে নির্বাচন, সভাপতি পদে সমান ভোট সোহেল-তপুর, সাধারণ সম্পাদক আকতার

সাংবাদিক শফিউজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোয় সম্পাদক পরিষদের নিন্দা

ছবি

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরামের নেতৃত্বে সাব্বির-ইকা

ছবি

১০৬ বারের মতো পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

ছবি

মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ডের নির্বাচন

ছবি

নোয়াবের নতুন কমিটি, আবারও সভাপতি এ.কে.আজাদ

‘সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে ৭০ অনুচ্ছেদ বাধা হবে না’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের এক যুগপূর্তি

মানিক সাহাসহ সাংবাদিক হত্যাকা-ে জড়িতদের চিহ্নিত করতে গণতদন্ত কমিশন গঠনের দাবি

ছবি

উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ক্র্যাবের ভোটগ্রহণ

ছবি

চারণসাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী কাল

ছবি

নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের নেতৃত্বে মতিন-ফয়সাল

ছবি

অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে নোয়াবের মতবিনিময় সভা

tab

মিডিয়া

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড: ১১ বছরেও শেষ হয়নি ৪৮ ঘণ্টা, বিচার চায় সাংবাদিক সমাজ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ১১ বছরেও তদন্ত শেষ না হওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ সাংবাদিক সমাজ। সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, খুনের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে। কিন্তু ৯৫ হাজারের বেশি ঘণ্টা পার হলেও তদন্তই শেষ হয়নি। সাগর-রুনির খুনের বিচার ৪৮ বছরেও শেষ হবে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছে সাংবাদিক সমাজ। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সাংবাদিক নেতারা।

আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও তাঁর স্ত্রী মেহেরুন রুনি। বহুল আলোচিত এই খুনের মামলা তদন্ত করছে র‍্যাব। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ৯৫ বার আদালতের কাছে সময় নিয়েছে র‍্যাব।

সাগর-রুনি খুনের মামলার তদন্তে বিলম্বের বিষয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘এই ১১ বছর আমাদের সাংবাদিক সমাজের সঙ্গে খেলাধুলা হয়েছে রাষ্ট্রের দিক থেকে, যেভাবে বিব্রত ও বিভ্রান্ত করা হয়েছে, আমি হতাশ। আমার মতো সাংবাদিক ভাইরাও কিন্তু হতাশায় নিমজ্জিত। তাঁরা ধরেই নিয়েছেন, আমরা যতই আন্দোলন করি, এর কোনো সুরাহা হবে না; খুনিরা ধরা পড়বে না। রাষ্ট্র যেদিকে চলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেদিকে চলছে। সেদিকেই যাবে। শেষ পর্যন্ত ফল শূন্য হবে। তবে রাষ্ট্র ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলতে চাই, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো ধরনের গল্প ফাঁদার চেষ্টা করবেন না।’

র‍্যাবের উদ্দেশে সাংবাদিক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘র‍্যাব কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি, প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে কোনো ধরনের গল্প ফেঁদে যদি এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে র‍্যাবের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সমাজের লড়াই শুরু হবে। আপনারা যদি এলিট ফোর্সই হয়ে থাকেন, তাহলে কি এলিট ফোর্স একটি ঘটনার তদন্ত করতে ৯৫ বার সময় নেয়। কেউ কি এটা বিশ্বাস করবেন, আপনারা এটি করতে পারছেন না। সবাই ধরে নিয়েছেন, আপনাদের এটি তদন্ত করার সদিচ্ছা নেই। রাষ্ট্র ধরে নিচ্ছে, সাংবাদিক হত্যা হলে আর কী হবে; সাংবাদিকই তো।’

সমাবেশে বক্তব্য দেওয়া অধিকাংশ সাংবাদিক নেতা অভিযোগ করেন, সাগর-রুনির খুনের বিচার না হওয়ার কারণে আরও অনেক সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন।

সমাবেশে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী বলেন, ‘আমরা আর কতকাল সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য অপেক্ষা করব। আর কতকাল সময় দেব? যেকোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়, হচ্ছে—আমরা দেখেছি। কিন্তু সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ডের মামলাগুলোর বিচার হচ্ছে না।’

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে মুরসালিন নোমানী বলেন, ‘অতীতেও আমরা সাংবাদিক সমাজ এক হয়ে বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছি। এখনো আন্দোলন করছি। যত দিন এই খুনের তদন্ত ও বিচার শেষ না হবে, তত দিন আন্দোলন চালিয়ে যাবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ বলেন, ‘১১ বছরে র‍্যাব তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ৯৫ বার সময় নিয়েছে। বিচার তো অনেক দূরের কথা। সাগর-রুনির একমাত্র সন্তান মেঘকে সান্ত্বনা দেওয়ার কোনো ভাষা নেই। সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের বিচার হয় না। আমি জানি না, সাংবাদিক খুনের মিছিল কত বড় হবে, কবে সাগর-রুনি হত্যার বিচার হবে।’

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেওয়া সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রতিনিয়ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সাংবাদিক নেতারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।

প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, ডিআরইউর সহসভাপতি দিপু সারোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক মঈনুল হাসান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কিরন শেখ, চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি মাজহারুল হক মান্না, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।

back to top