উত্তরাধিকার আইন, নারীদের প্রতি সকল বৈষম্য নিরসনসহ ১৩দফা দাবি সংগঠনের
নারী সাংবাদিকদের সংখ্যা আজো বাড়েনি। সমাজে দৃষ্টিভঙ্গির বাধা, নারীকে মানুষ হিসেবে মনে না করা এমন হাজারো কারণে এখনো নারীরা পিছিয়ে। এখনো আশানুরূপভাবে সাংবাদিকতা পেশায় নারীদের দেখা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের (বিএনএসকে) সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে সংগঠনটির ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মিনু বলেন, উত্রাধিকার আইনের পরিবর্তন, সন্তানের ওপর মায়ের পূর্ণাঙ্গ অধিকার এখন সময়ের দাবি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামে বলেন, এখন আমাদের আন্দোলন হবে সমতার। সমতাহীন সমাজ এগুতে পারে না।
দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, এখনো পর্যন্ত নারী বান্ধব সাংবাদিকতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। দেশের সাধারণ জনগনের অর্ধেকই নারী তারপরও নারীদের এখনো নানা জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। নারীর জায়গাকে আরো সমৃদ্ধ করতে হবে।নতুন বাস্তবাতার সাথে যুক্ত হতে হবে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউযে)এর সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ২২ বছরে এই সংগঠনের আরো অগ্রগতি হওয়ার কথা ছিেেলা। সাংবাদিকতার যে বিকাশ সেই হিসেবে নারী সাংবাদিকদের বিকাশ হয় নাই। নারীদের আরো বেশী যুক্ত করতে চাইলে একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরী করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক গীতি আরা নাসরীন বলেন, নারীদের এগিয়ে আসতে পুরুষদের ভ’মিকা অনস্বিকার্য। যদি আপনার পরিবার আপনারে দেশ আপনার সমাজকে এগিয়ে নিতে চান তবে অবশ্যই নারীদে;র পাশে নিয়ে হাটুন। দেখবেন আপনার পরিবার, আপনার দেশ শুধু সুন্দরই না উন্নতিও হবে তর তরে করে।
সংগঠনের দাবিগুলো হচ্ছে- সকল গণমাধ্যমে অন্তত ৩০%নারী সাংবাদিক নিয়োগ, বিশেষ প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা, পদোন্নতিতে সমান সুযোগ, বৈষম্য হলে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রচলিত আইনে প্রসূতি ছুটি ও প্রসূতি ছুটির কারণে পদোন্নতি যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, টয়লেট, রেষ্টরুম, ব্রেস্টফিডিং কর্ণার রাখা, শিশু দিবা যতœ কেন্দ্র স্থাপন, অফিসে যাতায়াতের জন্য নিরাপদ ট্রান্সপোর্ট এর ব্যবস্থা, নিয়োগ, পদোন্নতি,এসাইনমেন্ট, বিট প্রদানে বৈষম্য না করা, বিনা কারণে চাকুরীচ’্যত না করা, যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন ও সকল প্রতিষ্ঠানে জেন্ডার নীতিমালা রাখার দাবি জানান।
উত্তরাধিকার আইন, নারীদের প্রতি সকল বৈষম্য নিরসনসহ ১৩দফা দাবি সংগঠনের
মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
নারী সাংবাদিকদের সংখ্যা আজো বাড়েনি। সমাজে দৃষ্টিভঙ্গির বাধা, নারীকে মানুষ হিসেবে মনে না করা এমন হাজারো কারণে এখনো নারীরা পিছিয়ে। এখনো আশানুরূপভাবে সাংবাদিকতা পেশায় নারীদের দেখা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের (বিএনএসকে) সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে সংগঠনটির ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মিনু বলেন, উত্রাধিকার আইনের পরিবর্তন, সন্তানের ওপর মায়ের পূর্ণাঙ্গ অধিকার এখন সময়ের দাবি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামে বলেন, এখন আমাদের আন্দোলন হবে সমতার। সমতাহীন সমাজ এগুতে পারে না।
দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, এখনো পর্যন্ত নারী বান্ধব সাংবাদিকতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। দেশের সাধারণ জনগনের অর্ধেকই নারী তারপরও নারীদের এখনো নানা জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। নারীর জায়গাকে আরো সমৃদ্ধ করতে হবে।নতুন বাস্তবাতার সাথে যুক্ত হতে হবে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউযে)এর সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ২২ বছরে এই সংগঠনের আরো অগ্রগতি হওয়ার কথা ছিেেলা। সাংবাদিকতার যে বিকাশ সেই হিসেবে নারী সাংবাদিকদের বিকাশ হয় নাই। নারীদের আরো বেশী যুক্ত করতে চাইলে একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরী করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক গীতি আরা নাসরীন বলেন, নারীদের এগিয়ে আসতে পুরুষদের ভ’মিকা অনস্বিকার্য। যদি আপনার পরিবার আপনারে দেশ আপনার সমাজকে এগিয়ে নিতে চান তবে অবশ্যই নারীদে;র পাশে নিয়ে হাটুন। দেখবেন আপনার পরিবার, আপনার দেশ শুধু সুন্দরই না উন্নতিও হবে তর তরে করে।
সংগঠনের দাবিগুলো হচ্ছে- সকল গণমাধ্যমে অন্তত ৩০%নারী সাংবাদিক নিয়োগ, বিশেষ প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা, পদোন্নতিতে সমান সুযোগ, বৈষম্য হলে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রচলিত আইনে প্রসূতি ছুটি ও প্রসূতি ছুটির কারণে পদোন্নতি যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, টয়লেট, রেষ্টরুম, ব্রেস্টফিডিং কর্ণার রাখা, শিশু দিবা যতœ কেন্দ্র স্থাপন, অফিসে যাতায়াতের জন্য নিরাপদ ট্রান্সপোর্ট এর ব্যবস্থা, নিয়োগ, পদোন্নতি,এসাইনমেন্ট, বিট প্রদানে বৈষম্য না করা, বিনা কারণে চাকুরীচ’্যত না করা, যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন ও সকল প্রতিষ্ঠানে জেন্ডার নীতিমালা রাখার দাবি জানান।