সরবরাহ বেশি থাকায় বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমলেও চাল-ডাল-তেল-আলু-পেঁয়াজের দাম আবারও বাড়ছে। বাজারে পণ্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতি দেখে ক্রেতারা হতাশ। তারা বলছেন, ‘সবাই সিন্ডিকেট করে বেচতেছে, ভালো কেডা? আশা করছিলাম জিনিসপত্রের (পণ্যের) দাম কমবো, আরও বাড়ছে’! গত দুইদিন রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
সরকারি সংস্থা টিসিবির ঢাকা মহানগরীর বাজারদরের সর্বশেষ তালিকায় ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। আর গত সপ্তাহে ১১৫ থেকে ১৩০ টাকা। বেড়েছে সব ধরণের চালের (সরু-মাঝারি-মোটা) দামও। গত বৃহস্পতিবার সরু চাল কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মাঝারি ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা আর মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে সরু চাল ৬৪ থেকে ৮০ টাকা, মাঝারি ৫৫ থেকে ৬২ টাকা আর মোটা চাল বিক্রি হয়েছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।
একমাসে দেশী পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির হার ৩০ দশমিক ২৩ শতাংশ। এছাড়া একমাসের ব্যবধানে সরু চালের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ, মাঝারি মানের চাল ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং মোটা চাল ১ দশমিক ৯০ শতাংশ।
বাজারঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা ও পাইকারি ঊভয় বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। খোল বাজারে জাতভেদে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা আর দেশী ডায়মন্ড/কাডিনাল জাতের আলু কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। পাইকারি বাজারে জাতভেদে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা আর দেশী ডায়মন্ড/কাডিনাল জাতের আলু ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায়।
সাদা পলিথিন ব্যাগে আলু-পেঁয়াজ-পটল কিনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট চাল আড়তের গলির মাঝামাঝি একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে আছেন গাড়ি চালক জসিম মিয়া। এ সময় তার কাছে সদাইকৃত পণ্যের দাম জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমি ইন্ডিয়ানটা পেঁয়াজটা নিছি কেজি ১২০ টাকা, দেশিটা ১৬০ টাকা। আলু ৬০ টাকা আর পটল ১০০ টাকা। সবাই সিন্ডিকেট করে বেচতেছে, ভালো কেডা? আশা করছিলাম জিনিসপত্রের (পণ্যের) দাম কমবো, আরও বাড়ছে!’ আপনা আপনি বললেন, ‘দাম কমবো, সেনাবাহিনী যদি বাজারে বাজারে থাকে।’ মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পাইকারি আড়তের মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. মোজাম্মেল সংবাদকে বলেন, ‘পাইকারি রেট মিনিকেট চাল কেজি ৭০ থেকে ৭২ টাকা আর বিআর-২৮ চাল ৫৮ থেকে ৬২ টাকা।’ গত সপ্তাহ থেকে সপ্তাহের দাম বাড়ছে কি? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বাড়ছে বাড়ছে, কেজিতে এক টাকা।’
রাজধানীর বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় বাড়তি দাম থেকে কিছুটা কমছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে বাজারভেদে মুলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। লম্বা বেগুন কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। বরবটি কেজিতে ৪০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এছাড়া পটল কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা, সিম ১২০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, আকার ভেদেএক পিস লাউ ও ফুলকপি ৬০ থেকে টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরী বাজারদরের তালিকায় দেখা গেছে, দেশী আলু কেজি বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, পণ্যটির যৌক্তিক মূল্য ৪৬ টাকা ৬৫ পয়সা। এছাড়া দেশী পেয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫৫ টাকা, পণ্যটি যৌক্তিক মূল্য ৬৫ টাকা ৪০ পয়সা। কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৮০ টাকায়, পণ্যটির যৌক্তিক মূল্য ৬০ টাকা ২০ পয়সা। লম্বা বেগুনের যৌক্তিক মূল্য ৪৬ টাকা ৬৫ পয়সা, পণ্যটি বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৯০ টাকায়।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকারে করণীয় বিষয়ক সংবাদ সম্মেলন নতুনধারা বাংলাদেশ এর
চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেন, ‘অপরাজনীতিকদের কারণে বাংলাদেশে চাঁদাবাজি একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পালাবদলের রাজনীতিতে আসন্ন ক্ষমতাসীন ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের নীরব চাঁদাবাজি ‘ওপেন সিক্রেট’-এ দ্রব্যমূল্য এখন পাগলা ঘোড়া। শীর্ষ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী, ফুটপাতের হকার, মুদি দোকানদার, শিল্প কারখানার মালিক, সব ধরণের পরিবহন ব্যবস্থা এমনকি স্থানীয় বাসিন্দারাও চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। সর্বত্রই চাঁদাবাজি চলছে। ব্যাপক এই চাঁদাবাজির শিকার যদিও প্রাথমিকভাবে ব্যবসায়ীরা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এর বেশির ভাগ ক্ষতি বহন করতে হয় সাধারণ মানুষ বা ক্রেতাদেরই।’
শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪
সরবরাহ বেশি থাকায় বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমলেও চাল-ডাল-তেল-আলু-পেঁয়াজের দাম আবারও বাড়ছে। বাজারে পণ্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতি দেখে ক্রেতারা হতাশ। তারা বলছেন, ‘সবাই সিন্ডিকেট করে বেচতেছে, ভালো কেডা? আশা করছিলাম জিনিসপত্রের (পণ্যের) দাম কমবো, আরও বাড়ছে’! গত দুইদিন রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
সরকারি সংস্থা টিসিবির ঢাকা মহানগরীর বাজারদরের সর্বশেষ তালিকায় ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। আর গত সপ্তাহে ১১৫ থেকে ১৩০ টাকা। বেড়েছে সব ধরণের চালের (সরু-মাঝারি-মোটা) দামও। গত বৃহস্পতিবার সরু চাল কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মাঝারি ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা আর মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে সরু চাল ৬৪ থেকে ৮০ টাকা, মাঝারি ৫৫ থেকে ৬২ টাকা আর মোটা চাল বিক্রি হয়েছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।
একমাসে দেশী পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির হার ৩০ দশমিক ২৩ শতাংশ। এছাড়া একমাসের ব্যবধানে সরু চালের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ, মাঝারি মানের চাল ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং মোটা চাল ১ দশমিক ৯০ শতাংশ।
বাজারঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা ও পাইকারি ঊভয় বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। খোল বাজারে জাতভেদে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা আর দেশী ডায়মন্ড/কাডিনাল জাতের আলু কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। পাইকারি বাজারে জাতভেদে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা আর দেশী ডায়মন্ড/কাডিনাল জাতের আলু ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায়।
সাদা পলিথিন ব্যাগে আলু-পেঁয়াজ-পটল কিনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট চাল আড়তের গলির মাঝামাঝি একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে আছেন গাড়ি চালক জসিম মিয়া। এ সময় তার কাছে সদাইকৃত পণ্যের দাম জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমি ইন্ডিয়ানটা পেঁয়াজটা নিছি কেজি ১২০ টাকা, দেশিটা ১৬০ টাকা। আলু ৬০ টাকা আর পটল ১০০ টাকা। সবাই সিন্ডিকেট করে বেচতেছে, ভালো কেডা? আশা করছিলাম জিনিসপত্রের (পণ্যের) দাম কমবো, আরও বাড়ছে!’ আপনা আপনি বললেন, ‘দাম কমবো, সেনাবাহিনী যদি বাজারে বাজারে থাকে।’ মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পাইকারি আড়তের মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. মোজাম্মেল সংবাদকে বলেন, ‘পাইকারি রেট মিনিকেট চাল কেজি ৭০ থেকে ৭২ টাকা আর বিআর-২৮ চাল ৫৮ থেকে ৬২ টাকা।’ গত সপ্তাহ থেকে সপ্তাহের দাম বাড়ছে কি? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বাড়ছে বাড়ছে, কেজিতে এক টাকা।’
রাজধানীর বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় বাড়তি দাম থেকে কিছুটা কমছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে বাজারভেদে মুলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। লম্বা বেগুন কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। বরবটি কেজিতে ৪০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এছাড়া পটল কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা, সিম ১২০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, আকার ভেদেএক পিস লাউ ও ফুলকপি ৬০ থেকে টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরী বাজারদরের তালিকায় দেখা গেছে, দেশী আলু কেজি বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, পণ্যটির যৌক্তিক মূল্য ৪৬ টাকা ৬৫ পয়সা। এছাড়া দেশী পেয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫৫ টাকা, পণ্যটি যৌক্তিক মূল্য ৬৫ টাকা ৪০ পয়সা। কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৮০ টাকায়, পণ্যটির যৌক্তিক মূল্য ৬০ টাকা ২০ পয়সা। লম্বা বেগুনের যৌক্তিক মূল্য ৪৬ টাকা ৬৫ পয়সা, পণ্যটি বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৯০ টাকায়।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকারে করণীয় বিষয়ক সংবাদ সম্মেলন নতুনধারা বাংলাদেশ এর
চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেন, ‘অপরাজনীতিকদের কারণে বাংলাদেশে চাঁদাবাজি একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পালাবদলের রাজনীতিতে আসন্ন ক্ষমতাসীন ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের নীরব চাঁদাবাজি ‘ওপেন সিক্রেট’-এ দ্রব্যমূল্য এখন পাগলা ঘোড়া। শীর্ষ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী, ফুটপাতের হকার, মুদি দোকানদার, শিল্প কারখানার মালিক, সব ধরণের পরিবহন ব্যবস্থা এমনকি স্থানীয় বাসিন্দারাও চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। সর্বত্রই চাঁদাবাজি চলছে। ব্যাপক এই চাঁদাবাজির শিকার যদিও প্রাথমিকভাবে ব্যবসায়ীরা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এর বেশির ভাগ ক্ষতি বহন করতে হয় সাধারণ মানুষ বা ক্রেতাদেরই।’