alt

জাতীয়

পদোন্নতিসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লিখিত দাবির প্রস্তুতি ওসিদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সরকার ২০১২ সালে থানার ওসিদের পদ পর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেনী থেকে প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসেবে উন্নীত করলেও তাদের প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার রেঙ্ক ব্যাজ কি হবে তা নির্ধরন হয়নি ১৩ বছরেও। অন্যদিকে নানা ঝটিলতায় ওসিদের পদোন্নতিও আটকে আছে দীর্ঘদিন। র‌্যাঙ্ক ব্যাজ নির্ধারণসহ পদোন্নদী জটিলতা নিরসরে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ(আইজিপি) সঙ্গে সাক্ষাত করে দাবি করেছে পুলিশ এসোসিয়েশন( ওসিদের সংগঠন)। রাজধানীর পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েনের নেতাদের নেতৃত্বে রাজধানীর ৫০ থানার ওসি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে।

পুলিশের ক্যাডার কর্মকর্তাদের মত এবার নন ক্যাডার পুলিশ কর্মকর্তারাও সুপারনিউমারি (পদ না থাকলেও পদোন্নতি) পদোন্নতি দাবি করেছেন। এ দাবিতে গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৫০ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। ওইদিন বিকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন তারা। এসময় আশপাশের জেলার বিভিন্ন থানার ওসিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের আশ্বস্ব করেন পুলিশ সদর দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে সোমবার সকালে ডিএমপির মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সের পূর্বে ডিএমপি সদর দপ্তরে নিজেদের দাবি নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের(ওসিদের) ২০১২ সালে ওসিদের পদ সেকেন্ডক্লাস থেকে প্রথম শ্রেনীতে উন্নীত করেন। কিন্তু তাদের র‌্যাঙ্ক ব্যাজ কি হবে সেটি এতোদিনেও নির্ধারিত হয়নি। মূলত আমরা চাচ্ছি, আমাদের র‌্যাঙ্ক ব্যাজ ঠিক করে দেওয়া হউক। প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসেবে আমাদের র‌্যাঙ্ক ব্যাজের বিষয়টি নির্ধারণ করার জন্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণলয়ে একটি প্রস্তাবনা দেওয়া রয়েছে। আমি প্রথমে আইজিপি স্যারের সঙ্গে দেখা করেছি, পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমাদের এ দাবির কথা জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেণ. র‌্যাঙ্ক ব্যাজ ছাড়াও আমাদের অনেকের পদোন্নতির বিষয়গুলো ঝুলে আছে। যাদের পদোন্নতি ঝুলে আছে সেগুলো দ্রুত সমাধান করারও আমারা দাবি জানিয়েছে। আমরা এসব দাবি মৌখিকভাবে জানিয়েছে। তবে আমরা লিখিতভাবে একটি দাবি জানাবো।

পুলিশের সূত্র বলছে ওসিদের দাবিগুলো ছিল, পুলিশ পরিদর্শকদের ১০ বছর পূর্তিতে ৬ষ্ট গ্রেড প্রাপ্ত। ১০ বছর পূর্তিতে ব্যাজ থেকে সয়ংক্রিয়ভাবে গ্রেড পরিবর্তন করা। ১০ বছরের মধ্যে পদোন্নতি না হলে সুপারনিউমারি পদে পদোন্নতি দেওয়া। সাব-ইন্সপেক্টরদের (এসআই) ক্ষেত্রেও একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এসআই/সার্জেন্ট পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হওয়া স্বত্ত্বেও তাদের র‌্যাংক ব্যাজের নীল/লাল ফিতা তুলে নেওয়া। এছাড়াও এসআই এবং ইন্সপেক্টর র‌্যাংক ব্যাজ উন্নীত করার বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ইচ্ছাকৃত ভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এক্ষেত্রে সময় বেঁধে দিয়ে বিষয়টি দ্রুত নিস্পত্তি করা। কনস্টেবলদের বিভাগীয় পরীক্ষায় একবার পাশ করলে সেখান থেকে প্রমোশন লিষ্ট (পিএল) করে ক্রমান্বয়ে পদোন্নতি দেওয়া।

বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, উনারা আমার কাছে আসছিলেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা পদোন্নতিসহ আরও বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে এসেছেন। ওই বিষয়গুলো উপরে আমরা পুলিশ সদর দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বৈঠক অংশ নেওয়া ডিএমপির একজন ওসি বলেন, সরাসরি মাঠ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা পুলিশের নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা বা সদস্যদের যথাসময়ে হচ্ছে পদোন্নতি না হওয়ায় প্রতিনিয়তই মনস্তত্বিক দ্বন্দ ও বিরোধের সৃষ্টি হচ্ছে বিসিএস পুলিশ ক্যাডার ও নন-ক্যাডারদের মধ্যে। দীর্ঘদিনেও পদোন্নতি না হওয়ায় এই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

একাধিক পুলিশ পরিদর্শক অভিযোগ করেন, নির্বাচন সামনে আসলেই মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের দিয়ে সকল কার্যক্রম করানো হয়। নির্বাচন শেষ হলে তাদের বদলি করা হয় অন্য জেলায়। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পদোন্নতির আশ্বাস দিয়ে কয়দিন পরেই সব ভুলে যায় সিনিয়ররা। ডিএমপির গুরুত্বপূর্ণ থানায় রেখেদেন বিশেষ কয়েকজনকে। বাকিরা হাজারো দৌড়ঝাপ করলে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন জেলায় বা ইউনিটে।

পরিদর্শকদের দাবি, সরকার পদোন্নতি জটিলতা নিরসনে পুলিশ সুপার (এসপি) ও উপ-মহাপরিদর্শকদের (ডিআইজি) জন্য সুপার নিউমারি পদের ব্যবস্থা করছে। কিন্তু সেখানে সেই সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) ও সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্টরা। সম্প্রতি এই পদ সৃষ্টি হয় ৫৫২ জন। পত্রপত্রিকায় বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর ৫২ জনকে উচ্চ পর্যায়ে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। বাকি যে ৫০০ পদ রয়েছে সেখান থেকে পরিদর্শকদের কোটা অনুযায়ী দিলেই সবাই সন্তুষ্ট।

ছবি

‘ন্যায়সংগত ও টেকসই জ্বালানি রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা জরুরি’

আহমেদ আকবর সোবহান ও তারিক আহমেদ সিদ্দিককে দুদকে তলব

সাড়ে তিন মাসেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ কলেজছাত্রীর

এনসিপির সততা নিয়ে প্রশ্ন ‘আপ বাংলাদেশ’র

পলাতক লিয়াকত শিকদার, জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

ছবি

বাবুই পাখির ছানা হত্যা, অভিযুক্ত মোবারক আলী গ্রেপ্তার

শূন্য ইউনিটের বিদ্যুৎ বিল ৪০ হাজার টাকা!

রূপপুর এনপিপির ১৮ কর্মকর্তাকে অপসারণের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

ডেঙ্গু: জুন মাসে আক্রান্ত ৫,৯৫১ জন, মৃত্যু ১৯

ছবি

ঢাকার সৌর প্যানেলগুলো সচল করার নির্দেশ হাইকোর্টের

বায়ুদূষণ রোধে মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সরানোর ঘোষণা পরিবেশ উপদেষ্টার

ছবি

সিলেট সীমান্ত দিয়ে বাড়ছে ‘পুশইন’

হাইকোর্টের রুল: আদালত চত্বরে নিরাপত্তায় বিশেষ বাহিনী গঠন কেন নয়

‘জুলাই গ্যাং কালচার’ ভিডিও আওয়ামী সমর্থকদের অপপ্রচার: সিএ প্রেস উইং

ইসির খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ, মতামতের সময়সীমা ১০ জুলাই

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: বেরোবির সাবেক উপাচার্যসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মুরাদনগর ধর্ষণকাণ্ড: ৪ আসামির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন, ফজর হাসপাতালে

ছবি

কাজে যোগ দিয়েছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

পতেঙ্গা টু গোদনাইল: পাইপলাইনে বাণিজ্যিকভাবে ডিজেল পরিবহন শুরু এ মাসেই

ছবি

ব্যাগে পিস্তলের ম্যাগাজিন, ভুলেই নিয়েছেন আসিফ মাহমুদ: জাহাঙ্গীর আলম

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের ফোনালাপ, আলোচনায় অর্থনীতি ও ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা

ছবি

আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল

ছবি

ইসির খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ, মতামতের সময়সীমা ১০ জুলাই

ছবি

‘ভুলবশত’ ব্যাগে ছিল লাইসেন্স করা অস্ত্রের ম্যাগাজিন: আসিফ মাহমুদ

২৪ ঘণ্টায় ৩৮৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত, হাসপাতালে ভর্তি ১০৯৬ জন

বড় ভাইয়ের লাশ দেখে ফেরার পথে প্রাণ গেল ছোট ভাই ও দুই ভাগ্নের

সাবেক সিইসি আউয়াল কারাগারে

মে মাসে বেড়েছে নারীর প্রতি সহিংসতা: ভাওট্র্যাকার

ঢাকায় চালু হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়

ডিজেল-পেট্রোল-অকটেনের দাম অপরিবর্তিত

ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি, শীর্ষ সন্ত্রাসী বাপ্পি গ্রেপ্তার

রেকর্ড গড়লো রেমিট্যান্স, ছাড়ালো ৩০ বিলিয়ন ডলার

ডেঙ্গু: ৩৮৩ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ১, করোনায় আরও ১৩ জন শনাক্ত

ছবি

তিন বছরের জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশনের অফিস খুলছে বাংলাদেশে

ক্যানটিন দখল নিয়ে মারামারি, সচিবালয়ের আন্দোলনে ভাটা

ছবি

সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রসঙ্গে ঐকমত্য হয়নি: আলী রিয়াজ

tab

জাতীয়

পদোন্নতিসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লিখিত দাবির প্রস্তুতি ওসিদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সরকার ২০১২ সালে থানার ওসিদের পদ পর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেনী থেকে প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসেবে উন্নীত করলেও তাদের প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার রেঙ্ক ব্যাজ কি হবে তা নির্ধরন হয়নি ১৩ বছরেও। অন্যদিকে নানা ঝটিলতায় ওসিদের পদোন্নতিও আটকে আছে দীর্ঘদিন। র‌্যাঙ্ক ব্যাজ নির্ধারণসহ পদোন্নদী জটিলতা নিরসরে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ(আইজিপি) সঙ্গে সাক্ষাত করে দাবি করেছে পুলিশ এসোসিয়েশন( ওসিদের সংগঠন)। রাজধানীর পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েনের নেতাদের নেতৃত্বে রাজধানীর ৫০ থানার ওসি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে।

পুলিশের ক্যাডার কর্মকর্তাদের মত এবার নন ক্যাডার পুলিশ কর্মকর্তারাও সুপারনিউমারি (পদ না থাকলেও পদোন্নতি) পদোন্নতি দাবি করেছেন। এ দাবিতে গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৫০ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। ওইদিন বিকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন তারা। এসময় আশপাশের জেলার বিভিন্ন থানার ওসিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের আশ্বস্ব করেন পুলিশ সদর দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে সোমবার সকালে ডিএমপির মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সের পূর্বে ডিএমপি সদর দপ্তরে নিজেদের দাবি নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের(ওসিদের) ২০১২ সালে ওসিদের পদ সেকেন্ডক্লাস থেকে প্রথম শ্রেনীতে উন্নীত করেন। কিন্তু তাদের র‌্যাঙ্ক ব্যাজ কি হবে সেটি এতোদিনেও নির্ধারিত হয়নি। মূলত আমরা চাচ্ছি, আমাদের র‌্যাঙ্ক ব্যাজ ঠিক করে দেওয়া হউক। প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসেবে আমাদের র‌্যাঙ্ক ব্যাজের বিষয়টি নির্ধারণ করার জন্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণলয়ে একটি প্রস্তাবনা দেওয়া রয়েছে। আমি প্রথমে আইজিপি স্যারের সঙ্গে দেখা করেছি, পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমাদের এ দাবির কথা জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেণ. র‌্যাঙ্ক ব্যাজ ছাড়াও আমাদের অনেকের পদোন্নতির বিষয়গুলো ঝুলে আছে। যাদের পদোন্নতি ঝুলে আছে সেগুলো দ্রুত সমাধান করারও আমারা দাবি জানিয়েছে। আমরা এসব দাবি মৌখিকভাবে জানিয়েছে। তবে আমরা লিখিতভাবে একটি দাবি জানাবো।

পুলিশের সূত্র বলছে ওসিদের দাবিগুলো ছিল, পুলিশ পরিদর্শকদের ১০ বছর পূর্তিতে ৬ষ্ট গ্রেড প্রাপ্ত। ১০ বছর পূর্তিতে ব্যাজ থেকে সয়ংক্রিয়ভাবে গ্রেড পরিবর্তন করা। ১০ বছরের মধ্যে পদোন্নতি না হলে সুপারনিউমারি পদে পদোন্নতি দেওয়া। সাব-ইন্সপেক্টরদের (এসআই) ক্ষেত্রেও একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এসআই/সার্জেন্ট পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হওয়া স্বত্ত্বেও তাদের র‌্যাংক ব্যাজের নীল/লাল ফিতা তুলে নেওয়া। এছাড়াও এসআই এবং ইন্সপেক্টর র‌্যাংক ব্যাজ উন্নীত করার বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ইচ্ছাকৃত ভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এক্ষেত্রে সময় বেঁধে দিয়ে বিষয়টি দ্রুত নিস্পত্তি করা। কনস্টেবলদের বিভাগীয় পরীক্ষায় একবার পাশ করলে সেখান থেকে প্রমোশন লিষ্ট (পিএল) করে ক্রমান্বয়ে পদোন্নতি দেওয়া।

বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, উনারা আমার কাছে আসছিলেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা পদোন্নতিসহ আরও বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে এসেছেন। ওই বিষয়গুলো উপরে আমরা পুলিশ সদর দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বৈঠক অংশ নেওয়া ডিএমপির একজন ওসি বলেন, সরাসরি মাঠ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা পুলিশের নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা বা সদস্যদের যথাসময়ে হচ্ছে পদোন্নতি না হওয়ায় প্রতিনিয়তই মনস্তত্বিক দ্বন্দ ও বিরোধের সৃষ্টি হচ্ছে বিসিএস পুলিশ ক্যাডার ও নন-ক্যাডারদের মধ্যে। দীর্ঘদিনেও পদোন্নতি না হওয়ায় এই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

একাধিক পুলিশ পরিদর্শক অভিযোগ করেন, নির্বাচন সামনে আসলেই মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের দিয়ে সকল কার্যক্রম করানো হয়। নির্বাচন শেষ হলে তাদের বদলি করা হয় অন্য জেলায়। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পদোন্নতির আশ্বাস দিয়ে কয়দিন পরেই সব ভুলে যায় সিনিয়ররা। ডিএমপির গুরুত্বপূর্ণ থানায় রেখেদেন বিশেষ কয়েকজনকে। বাকিরা হাজারো দৌড়ঝাপ করলে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন জেলায় বা ইউনিটে।

পরিদর্শকদের দাবি, সরকার পদোন্নতি জটিলতা নিরসনে পুলিশ সুপার (এসপি) ও উপ-মহাপরিদর্শকদের (ডিআইজি) জন্য সুপার নিউমারি পদের ব্যবস্থা করছে। কিন্তু সেখানে সেই সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) ও সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্টরা। সম্প্রতি এই পদ সৃষ্টি হয় ৫৫২ জন। পত্রপত্রিকায় বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর ৫২ জনকে উচ্চ পর্যায়ে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। বাকি যে ৫০০ পদ রয়েছে সেখান থেকে পরিদর্শকদের কোটা অনুযায়ী দিলেই সবাই সন্তুষ্ট।

back to top