বর্তমানে স্যালাইন সংকট নেই
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ১৪ জন। চলতি মাসের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৩শ জন। আর নতুন করে সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৮৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী। দেশে চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের বিজ্ঞপ্তিতে আজ রোববার এমন তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর বলছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৫৭২ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৭৯৪ এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৭৭৮ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭১৭ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৮ হাজার ১০৩ এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৬১৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৫২ জন। ঢাকায় ৭৩ হাজার ৭১৩ এবং ঢাকার বাইরে ৯৯ হাজার ৫৩৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ৫৯৬ জন মারা গেছে। আজ মারা যাওয়া ১৪ জনের মধ্যে ৮জনই ঢাকার বাইরে চিকিৎসাধীন ছিল।
আজ এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার শিশুদের ডেঙ্গু নিয়ে ভয় না পাওয়ারও পরামর্শ দিয়ে বলেন ডেঙ্গুতে এ বছর ৫ বছরের নিচের বয়সী শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের হার ৮ শতাংশের মতো। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে মধ্যবয়সীরা।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মানুষেরা।
ডা. হাবিবুল বলেন, এ বছর জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় মানুষ । জুলাই মাসে ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন আক্রান্ত হয় আর মারা যায় ২০৪ জন। আগস্ট মাসে আক্রান্ত হন ৭১ হাজার ৯৭৬ জন, মারা যান ৩৪২ জন এবং আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৬০ হাজার ৯০৯ জন। আর মারা গেছেন ৩’শ জন।
এ বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭১৭ জন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আউটব্রেক হয়েছিল। সেই বছর মোট আক্রান্ত ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন, কিন্তু এই বছর শেষ হওয়ার আগেই যে সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন তা ২০১৯ সালের তুলনায় অনেক বেশি।
ডা. হাবিবুল আহসান বলেন, আমাদের ঢাকা সিটি এলাকায় সবচেয়ে বেশি রোগী। ঢাকা সিটির বাইরে সারা দেশে আমাদের আটটি বিভাগীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি রোগী ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং বরিশাল বিভাগে। ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী এসব জেলায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম এবং লক্ষ্মীপুর জেলা এবং বরিশাল বিভাগের বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলায় বেশি আক্রান্ত পাওয়া যাচ্ছে। রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক বেশ কম।
তিনি বলেন, সারা দেশের সব জেলা ও উপজেলা হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও একই প্রটোকল এবং গাইডলাইন অনুসরণ করে ডেঙ্গুর চিকিৎসা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের সব চিকিৎসককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু চিকিৎসা এবং পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে স্যালাইন সংকট নেই
স্যালাইন সংকট প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের এই পরিচালক আরও বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য সব জায়গাতেই পর্যাপ্ত পরিমাণ এনএস-১ কিট মজুদ রয়েছে। ডেঙ্গু পেশেন্ট ম্যানেজমেন্টে সবচেয়ে বেশি যেটি প্রয়োজন সেটি হল আইভি ফ্লুইড স্যালাইন। এই স্যালাইন নিয়ে সাময়িক একটা সমস্যা হয়েছিল । সেই প্রেক্ষিতে জরুরিভাবে আমরা ভারত থেকে ৩ লাখ প্যাক স্যালাইন আমদানি করেছি। এর মধ্যে ৪৪ হাজার প্যাক স্যালাইন হাতে পেয়েছি।
ইডিসিএলের (এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড) মাধ্যমে এসব স্যালাইন চাহিদা অনুযায়ী পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এ মুহূর্তে আমাদের কোনো স্যালাইনের সমস্যা হচ্ছে না। এই তিন লাখ ছাড়াও আরো কিছু স্যালাইন আমদানির প্রক্রিয়া চলছে, সেগুলো অনুমোদনের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। সবমিলিয়ে স্যালাইন নিয়ে আর কোনো সংকটের মুখোমুখি আমাদের আর হতে হবে না।
বর্তমানে স্যালাইন সংকট নেই
রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ১৪ জন। চলতি মাসের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৩শ জন। আর নতুন করে সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৮৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী। দেশে চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের বিজ্ঞপ্তিতে আজ রোববার এমন তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর বলছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৫৭২ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৭৯৪ এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৭৭৮ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭১৭ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৮ হাজার ১০৩ এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৬১৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৫২ জন। ঢাকায় ৭৩ হাজার ৭১৩ এবং ঢাকার বাইরে ৯৯ হাজার ৫৩৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ৫৯৬ জন মারা গেছে। আজ মারা যাওয়া ১৪ জনের মধ্যে ৮জনই ঢাকার বাইরে চিকিৎসাধীন ছিল।
আজ এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার শিশুদের ডেঙ্গু নিয়ে ভয় না পাওয়ারও পরামর্শ দিয়ে বলেন ডেঙ্গুতে এ বছর ৫ বছরের নিচের বয়সী শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের হার ৮ শতাংশের মতো। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে মধ্যবয়সীরা।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মানুষেরা।
ডা. হাবিবুল বলেন, এ বছর জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় মানুষ । জুলাই মাসে ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন আক্রান্ত হয় আর মারা যায় ২০৪ জন। আগস্ট মাসে আক্রান্ত হন ৭১ হাজার ৯৭৬ জন, মারা যান ৩৪২ জন এবং আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৬০ হাজার ৯০৯ জন। আর মারা গেছেন ৩’শ জন।
এ বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭১৭ জন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আউটব্রেক হয়েছিল। সেই বছর মোট আক্রান্ত ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন, কিন্তু এই বছর শেষ হওয়ার আগেই যে সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন তা ২০১৯ সালের তুলনায় অনেক বেশি।
ডা. হাবিবুল আহসান বলেন, আমাদের ঢাকা সিটি এলাকায় সবচেয়ে বেশি রোগী। ঢাকা সিটির বাইরে সারা দেশে আমাদের আটটি বিভাগীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি রোগী ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং বরিশাল বিভাগে। ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী এসব জেলায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম এবং লক্ষ্মীপুর জেলা এবং বরিশাল বিভাগের বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলায় বেশি আক্রান্ত পাওয়া যাচ্ছে। রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক বেশ কম।
তিনি বলেন, সারা দেশের সব জেলা ও উপজেলা হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও একই প্রটোকল এবং গাইডলাইন অনুসরণ করে ডেঙ্গুর চিকিৎসা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের সব চিকিৎসককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু চিকিৎসা এবং পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে স্যালাইন সংকট নেই
স্যালাইন সংকট প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের এই পরিচালক আরও বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য সব জায়গাতেই পর্যাপ্ত পরিমাণ এনএস-১ কিট মজুদ রয়েছে। ডেঙ্গু পেশেন্ট ম্যানেজমেন্টে সবচেয়ে বেশি যেটি প্রয়োজন সেটি হল আইভি ফ্লুইড স্যালাইন। এই স্যালাইন নিয়ে সাময়িক একটা সমস্যা হয়েছিল । সেই প্রেক্ষিতে জরুরিভাবে আমরা ভারত থেকে ৩ লাখ প্যাক স্যালাইন আমদানি করেছি। এর মধ্যে ৪৪ হাজার প্যাক স্যালাইন হাতে পেয়েছি।
ইডিসিএলের (এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড) মাধ্যমে এসব স্যালাইন চাহিদা অনুযায়ী পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এ মুহূর্তে আমাদের কোনো স্যালাইনের সমস্যা হচ্ছে না। এই তিন লাখ ছাড়াও আরো কিছু স্যালাইন আমদানির প্রক্রিয়া চলছে, সেগুলো অনুমোদনের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। সবমিলিয়ে স্যালাইন নিয়ে আর কোনো সংকটের মুখোমুখি আমাদের আর হতে হবে না।