দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. মিজানুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ বন্ধ করা সম্ভব না, তবে প্রাণহানি বা সহনীয় কিংবা প্রতিরোধ বা ক্ষতি কমানো সম্ভব। তবে যেকোনো দুর্যোগ সরকারের একার পক্ষে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অংশীজনের সহযোগিতা ও সচেতনতা প্রয়োজন।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আয়োজিত কর্মশালায় একথা বলেন তিনি।
‘দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় প্রাইভেট সেক্টরের অংশগ্রহণে কর্মকাঠামো এবং প্রাইভেট সেক্টর ওয়ার্কিং গ্রুপের কর্মপরিধি’ শীর্ষক কর্মশালায় একথা বলেন তিনি।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, যেকোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যদি ফার্স্ট রেসপন্ডার দ্রুত সাড়া দেন তাহলে আগুনে ক্ষতি কম হয় বা প্রাথমিক পর্যায়েই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করছে দাবি করে ডিজি বলেন, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা, ভূমিধস বা ভূমিকম্পের মতো যেকোনো দুর্যোগে সরকারের পক্ষ থেকে হয়তো রিলিফ দিচ্ছে, কিন্তু ক্ষতিটা সবার, ব্যবসায়ীর তো বটেই। সেজন্য ক্ষতিগ্রস্তদের চোখে যদি জল আসে, তারা যদি সচেতন হয়, তবেই সার্থকতা।
মিজানুর রহমান বলেন, দুর্যোগ জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়। দুর্যোগ বন্ধ করা সম্ভব না, তবে প্রাণহানি বা সহনীয় কিংবা প্রতিরোধ বা ক্ষতি প্রশমিত করতে পারি। প্রতিবছর বন্যা বা জলোচ্ছ্বাস আসবে, এটা অনুমিত। দুর্যোগে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে প্রকৃতি কিন্তু অনেক বদলেছে। সেজন্য আমাদের প্রস্তুতি রাখতে হবে। বন্যার আগে কক্সবাজারের কৃষকরা মোনাজাত পর্যন্ত করেছে। কিন্তু বৃষ্টি হয়নি। অথচ এক মাস পর বন্যা হয়ে গেলো।
দুর্যোগ ও এর প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনার সমালোচনা না করে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন কাজ চলবে। দুর্যোগে উন্নয়ন কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই বলে সমালোচনা বা থেমে থাকলে হবে না। আর সব সরকার করে দেবে না। ব্যবসায় লাভবান হবেন, কিন্তু দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা রাখবেন না তা হবে না। নিজে সচেতন হই, শিখি, নিজের ঘরে স্ত্রী-সন্তানকে শেখাই। দুর্যোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করি, নিরাপত্তা সরঞ্জাম ক্রয় করে ঘরে রাখি।
আগের তুলনায় মানুষ অনেক বেশি সচেতন হচ্ছে ও সরকারের সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে, শুনছে। বাংলাদেশ আগের তুলনায় অনেক বেশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা অর্জন করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. মিজানুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ বন্ধ করা সম্ভব না, তবে প্রাণহানি বা সহনীয় কিংবা প্রতিরোধ বা ক্ষতি কমানো সম্ভব। তবে যেকোনো দুর্যোগ সরকারের একার পক্ষে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অংশীজনের সহযোগিতা ও সচেতনতা প্রয়োজন।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আয়োজিত কর্মশালায় একথা বলেন তিনি।
‘দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় প্রাইভেট সেক্টরের অংশগ্রহণে কর্মকাঠামো এবং প্রাইভেট সেক্টর ওয়ার্কিং গ্রুপের কর্মপরিধি’ শীর্ষক কর্মশালায় একথা বলেন তিনি।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, যেকোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যদি ফার্স্ট রেসপন্ডার দ্রুত সাড়া দেন তাহলে আগুনে ক্ষতি কম হয় বা প্রাথমিক পর্যায়েই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করছে দাবি করে ডিজি বলেন, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা, ভূমিধস বা ভূমিকম্পের মতো যেকোনো দুর্যোগে সরকারের পক্ষ থেকে হয়তো রিলিফ দিচ্ছে, কিন্তু ক্ষতিটা সবার, ব্যবসায়ীর তো বটেই। সেজন্য ক্ষতিগ্রস্তদের চোখে যদি জল আসে, তারা যদি সচেতন হয়, তবেই সার্থকতা।
মিজানুর রহমান বলেন, দুর্যোগ জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়। দুর্যোগ বন্ধ করা সম্ভব না, তবে প্রাণহানি বা সহনীয় কিংবা প্রতিরোধ বা ক্ষতি প্রশমিত করতে পারি। প্রতিবছর বন্যা বা জলোচ্ছ্বাস আসবে, এটা অনুমিত। দুর্যোগে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে প্রকৃতি কিন্তু অনেক বদলেছে। সেজন্য আমাদের প্রস্তুতি রাখতে হবে। বন্যার আগে কক্সবাজারের কৃষকরা মোনাজাত পর্যন্ত করেছে। কিন্তু বৃষ্টি হয়নি। অথচ এক মাস পর বন্যা হয়ে গেলো।
দুর্যোগ ও এর প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনার সমালোচনা না করে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন কাজ চলবে। দুর্যোগে উন্নয়ন কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই বলে সমালোচনা বা থেমে থাকলে হবে না। আর সব সরকার করে দেবে না। ব্যবসায় লাভবান হবেন, কিন্তু দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা রাখবেন না তা হবে না। নিজে সচেতন হই, শিখি, নিজের ঘরে স্ত্রী-সন্তানকে শেখাই। দুর্যোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করি, নিরাপত্তা সরঞ্জাম ক্রয় করে ঘরে রাখি।
আগের তুলনায় মানুষ অনেক বেশি সচেতন হচ্ছে ও সরকারের সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে, শুনছে। বাংলাদেশ আগের তুলনায় অনেক বেশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা অর্জন করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।