ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, রেবোটিক্স এখন আর বিলাসী পন্য নয়। আমাদের এগ্রিকালচার(কৃষি), ইন্ড্রাস্ট্রিজসহ যেকোন ঝুকিপূর্ণ কাজে রেবোটিক্স দরকার। ‘সাইবার হুমকির জন্য প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা’ বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আজ রোববার সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও এমআইএসটি যৌথ ব্যবস্থপনায় গতকাল মিরপুর সেনানিবাসে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝুকিপূর্ণ সব ধরনের কাজ রেবোটিক্স এর উপর ছেড়ে দিতে হবে। মানুষ শুধু ভালোভালো কাজ করবে,সৃজনশীল কাজ করবে। এ কারণেই আমি বলছি,আটিফিয়াল ইন্টিলিজেন্ট,রেবোটিক্স, মাইক্রোচিফ জিডাইনিং এবং সাইবার সিকিউিিরটি এ ৪ টি স্তম্বের উপর যদি আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের গড়ে তুলতে পারি তাহলে ২০২৪ সাল নাগাদ এক ব্যক্তি স্মার্ট বাংলাদেশ যেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিষন তা গড়ে তুলতে পারবো। প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উপর আলোকপাত করেন এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক তার গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তর হচ্ছে এবং একটি উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সময় আমরা ক্রমাগত সাইবার আক্রমণের স্বীকার হচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাইবার আক্রমণ বাধা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
তিনি বলেণ, সম্প্রতি বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে এই ধরনের আরো হামলার সম্মুখীন হতে পারে। আমাদের অনেক সরকারী সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনীর স্থাপনা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিও সাইবার আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অতএব, সাইবার আক্রমণ, সংবেদনশীল এবং গোপনীয় তথ্য চুরি বা হারানোর বিরুদ্ধে ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলিকে রক্ষা করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া তিনি উদ্ভূত সাইবার হুমকি মোকাবেলায় রুটিন পরীক্ষা, ডায়াগনস্টিক পদ্ধতিগুলিকে শক্তিশালী করা, সক্রিয় পর্যবেক্ষণ, গবেষণা এবং সাইবার নিরাপত্তায় ধারাবাহিক বিনিয়োগের কথাও বলেন।
সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মেজর জেনারেল সাইদুল ইসলাম। সেমিনারেটি সঞ্চালনা করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাহফুজুল করিম মজুমদার, । সেমিনারে উদীয়মান সাইবার হুমকির জন্য প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা নিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেজর জেনারেল ইমদাদ-উল-বারী (অবঃ)। এছাড়া বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম স্থিতিস্থাপকতার একটি রোডম্যাপ: উদীয়মান সাইবার হুমকির জন্য প্রস্ততি শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিকিউরিটি অফিসার মুহাম্মদ ইসহাক মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন, অধ্যাপক, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফট্ওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস এর রাসেল টি আহমেদ, গ্রামীন ফেনের সিকিউরিটি আকিটেক্ট মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে দেশী বিশেষজ্ঞ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বাহিনী/সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ এবং রাজধানী ও পাশ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীসহ প্রায় ৬০০ জন অংশগ্রহন করে।
রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, রেবোটিক্স এখন আর বিলাসী পন্য নয়। আমাদের এগ্রিকালচার(কৃষি), ইন্ড্রাস্ট্রিজসহ যেকোন ঝুকিপূর্ণ কাজে রেবোটিক্স দরকার। ‘সাইবার হুমকির জন্য প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা’ বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আজ রোববার সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও এমআইএসটি যৌথ ব্যবস্থপনায় গতকাল মিরপুর সেনানিবাসে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝুকিপূর্ণ সব ধরনের কাজ রেবোটিক্স এর উপর ছেড়ে দিতে হবে। মানুষ শুধু ভালোভালো কাজ করবে,সৃজনশীল কাজ করবে। এ কারণেই আমি বলছি,আটিফিয়াল ইন্টিলিজেন্ট,রেবোটিক্স, মাইক্রোচিফ জিডাইনিং এবং সাইবার সিকিউিিরটি এ ৪ টি স্তম্বের উপর যদি আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের গড়ে তুলতে পারি তাহলে ২০২৪ সাল নাগাদ এক ব্যক্তি স্মার্ট বাংলাদেশ যেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিষন তা গড়ে তুলতে পারবো। প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উপর আলোকপাত করেন এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক তার গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তর হচ্ছে এবং একটি উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সময় আমরা ক্রমাগত সাইবার আক্রমণের স্বীকার হচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাইবার আক্রমণ বাধা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
তিনি বলেণ, সম্প্রতি বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে এই ধরনের আরো হামলার সম্মুখীন হতে পারে। আমাদের অনেক সরকারী সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনীর স্থাপনা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিও সাইবার আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অতএব, সাইবার আক্রমণ, সংবেদনশীল এবং গোপনীয় তথ্য চুরি বা হারানোর বিরুদ্ধে ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলিকে রক্ষা করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া তিনি উদ্ভূত সাইবার হুমকি মোকাবেলায় রুটিন পরীক্ষা, ডায়াগনস্টিক পদ্ধতিগুলিকে শক্তিশালী করা, সক্রিয় পর্যবেক্ষণ, গবেষণা এবং সাইবার নিরাপত্তায় ধারাবাহিক বিনিয়োগের কথাও বলেন।
সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মেজর জেনারেল সাইদুল ইসলাম। সেমিনারেটি সঞ্চালনা করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাহফুজুল করিম মজুমদার, । সেমিনারে উদীয়মান সাইবার হুমকির জন্য প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা নিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেজর জেনারেল ইমদাদ-উল-বারী (অবঃ)। এছাড়া বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম স্থিতিস্থাপকতার একটি রোডম্যাপ: উদীয়মান সাইবার হুমকির জন্য প্রস্ততি শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিকিউরিটি অফিসার মুহাম্মদ ইসহাক মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন, অধ্যাপক, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফট্ওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস এর রাসেল টি আহমেদ, গ্রামীন ফেনের সিকিউরিটি আকিটেক্ট মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে দেশী বিশেষজ্ঞ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বাহিনী/সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ এবং রাজধানী ও পাশ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীসহ প্রায় ৬০০ জন অংশগ্রহন করে।