বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক অনতিবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের নেতারা।
সমাবেশে সভাপতি দীপংকর শিকদার দীপু বলেন, বাংলাদেশ নামক অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে একদল কুচক্রী মহলের ইন্ধনে যেভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন বেড়েছে তা যে কোনো অবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ। দেশের সংখ্যালঘুদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়াছে, একজন সংখ্যালঘু হিসেবে আর সইতে পারছি না। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ যেন সংখ্যালঘু মনে করে নিজেদের ছোট না করেন। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, আমাদের ওপর যে রকম নির্যাতন নিপীড়ন হচ্ছে তা পাকিস্তানেও হয় কিনা সন্দেহ আছে। তাই বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক অনতিবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের জোর দাবি জানাচ্ছি।
সাধারণ সম্পাদক সাজন কুমার মিশ্র বলেন, দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবি এবং নিপীড়নের চিত্র কেবল পত্রিকার পাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ। বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতার জন্য আজ স্বাধীন দেশে হিন্দুরা পরাধীন। হিন্দুরা অধিকারচ্যুত, অসহায় সম্বলহীন। তাই রাজপথে এতো আন্দোলন করা হলেও হিন্দুদের দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রীর কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। তাই আমাদের নির্যাতনমুক্ত সুন্দর সমাজ দান করতে প্রধানমন্ত্রীকে করজোড়ে অনুরোধ করছি।
শুধুমাত্র এ দেশের হিন্দু সংখ্যায় কম বলে এমন নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে উল্লেখ করে মুখপাত্র সুমন কুমার রায় বলেন, হিন্দুদের ওপর একের পর এক হামলা, নির্যাতন, দল বেঁধে সাম্প্রদায়িক আক্রমণ, হিন্দু বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট, মঠ মন্দির ভাঙচুর, দেশত্যাগে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার, চাকরিচ্যুত প্রভৃতি নিত্য ঘটনা। এটা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। অনতিবিলম্বে প্রত্যেকটি ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার মোতাবেক সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অনুপ কুমার দত্ত, গৌরাঙ্গ মন্ডল, ধ্রুবপদ পাল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দুর্জয় দে সঞ্জয়, অ্যাডভোকেট বাসুদেব গুহ, পিসি হালদার, নমিতা বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট সুবোধ, অ্যাডভোকেট দেবাশীষ পান্ডে প্রমুখ।
মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক অনতিবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের নেতারা।
সমাবেশে সভাপতি দীপংকর শিকদার দীপু বলেন, বাংলাদেশ নামক অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে একদল কুচক্রী মহলের ইন্ধনে যেভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন বেড়েছে তা যে কোনো অবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ। দেশের সংখ্যালঘুদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়াছে, একজন সংখ্যালঘু হিসেবে আর সইতে পারছি না। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ যেন সংখ্যালঘু মনে করে নিজেদের ছোট না করেন। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, আমাদের ওপর যে রকম নির্যাতন নিপীড়ন হচ্ছে তা পাকিস্তানেও হয় কিনা সন্দেহ আছে। তাই বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক অনতিবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের জোর দাবি জানাচ্ছি।
সাধারণ সম্পাদক সাজন কুমার মিশ্র বলেন, দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবি এবং নিপীড়নের চিত্র কেবল পত্রিকার পাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ। বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতার জন্য আজ স্বাধীন দেশে হিন্দুরা পরাধীন। হিন্দুরা অধিকারচ্যুত, অসহায় সম্বলহীন। তাই রাজপথে এতো আন্দোলন করা হলেও হিন্দুদের দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রীর কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। তাই আমাদের নির্যাতনমুক্ত সুন্দর সমাজ দান করতে প্রধানমন্ত্রীকে করজোড়ে অনুরোধ করছি।
শুধুমাত্র এ দেশের হিন্দু সংখ্যায় কম বলে এমন নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে উল্লেখ করে মুখপাত্র সুমন কুমার রায় বলেন, হিন্দুদের ওপর একের পর এক হামলা, নির্যাতন, দল বেঁধে সাম্প্রদায়িক আক্রমণ, হিন্দু বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট, মঠ মন্দির ভাঙচুর, দেশত্যাগে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার, চাকরিচ্যুত প্রভৃতি নিত্য ঘটনা। এটা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। অনতিবিলম্বে প্রত্যেকটি ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার মোতাবেক সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অনুপ কুমার দত্ত, গৌরাঙ্গ মন্ডল, ধ্রুবপদ পাল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দুর্জয় দে সঞ্জয়, অ্যাডভোকেট বাসুদেব গুহ, পিসি হালদার, নমিতা বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট সুবোধ, অ্যাডভোকেট দেবাশীষ পান্ডে প্রমুখ।