পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় রোহিঙ্গারা যাতে দ্রুত নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সহযোগিতা করবে।
সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আজ রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রতিনিধিদল। প্রায় একঘন্টা দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
মার্কিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র ডিরেক্টর এলিন লাউবাকের, ইউএসএআইডির এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার এবং ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার। জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরে এটিই ঢাকা সফরে আসা প্রথম মার্কিন প্রতিনিধি দল।
হাছান মাহমুদ বলেন, র্যাবের স্যাংশন তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তারা পাঁচটি অবজারভেশন (পর্যবেক্ষণ) দিয়েছে। তাদের অবজারভেশনগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। তারাও কীভাবে এটি তুলে নেওয়া যায় সেটি নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
পাঁচটি পর্যবেক্ষণ কী কী জানতে চান সাংবাদিকরা– জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেই অবজারভেশনগুলো নিয়ে তারা আমাদের সঙ্গে কমিউনিকেট করেছে। এটা র্যাবের কাছে দেবে। যখন আমরা পাব তখন এটি নিয়ে কাজ করব। অবজারভেশনগুলোর বিস্তারিত পাওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।
এসময় সাংবাদিকদের বাইডেনের চিঠির প্রতিউত্তরে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি পাঠানোর বিষয়টি জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কীভাবে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীরতর করতে পারি এবং সম্পর্কের নতুন যুগ কীভাবে শক্তিশালী করতে পারি, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। তারাও আমাদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে চায়। সম্পর্ক উন্নয়ন করার লক্ষ্যেই কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, সেই চিঠিতে তিনি (বাইডেন) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন অধ্যায়ে সম্পর্ক করার বিষয়ে তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেছিলেন। আজ আমি তাদের হাতে (মার্কিন প্রতিনিধির) প্রধানমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছেন, সেটির কপি হস্তান্তর করেছি। মূল কপিটি আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হোয়াইট হাউসে হস্তান্তর করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন অধ্যায় শুরু করতে চায় এবং এটি আমরাও চাই।’ যেহেতু দুই দেশের আগ্রহ আছে সেজন্য নিজেদের ভেতর সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যাব। সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করার বিষয়ে আমাদের যে উভয় পক্ষের আগ্রহ সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে এক ঘণ্টার বেশি আমরা আলোচনা করেছি।
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে এবং তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাশেদ চৌধুরীর বিষয়ে তাদের বিচার বিভাগ থেকে একটি সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে এবং সেটি তারা আমাদের জানিয়েছে।’
মিয়ানমারের পরিস্থিতির কারণে এ অঞ্চলে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এবং সেটি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানান মন্ত্রী। পাশাপাশি রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনই যে একমাত্র সমাধান সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাঙলাদেশের সঙ্গে একমাত্র পোষণ করে বলেও মন্ত্রী জানান।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুটি চুক্তি– জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিসমিয়া) এবং অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড লজিস্টিক এগ্রিমেন্ট (আকসা) নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ জানান, নির্দিষ্ট কোনও চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে আমরা জিসমিয়া নিয়ে কাজ করছি।
মন্ত্রী জানান, নির্বাচন, সুশীল সমাজ বা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠক বা মানবাধিকার নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।
রোববার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় রোহিঙ্গারা যাতে দ্রুত নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সহযোগিতা করবে।
সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আজ রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রতিনিধিদল। প্রায় একঘন্টা দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
মার্কিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র ডিরেক্টর এলিন লাউবাকের, ইউএসএআইডির এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার এবং ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার। জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরে এটিই ঢাকা সফরে আসা প্রথম মার্কিন প্রতিনিধি দল।
হাছান মাহমুদ বলেন, র্যাবের স্যাংশন তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তারা পাঁচটি অবজারভেশন (পর্যবেক্ষণ) দিয়েছে। তাদের অবজারভেশনগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। তারাও কীভাবে এটি তুলে নেওয়া যায় সেটি নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
পাঁচটি পর্যবেক্ষণ কী কী জানতে চান সাংবাদিকরা– জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেই অবজারভেশনগুলো নিয়ে তারা আমাদের সঙ্গে কমিউনিকেট করেছে। এটা র্যাবের কাছে দেবে। যখন আমরা পাব তখন এটি নিয়ে কাজ করব। অবজারভেশনগুলোর বিস্তারিত পাওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।
এসময় সাংবাদিকদের বাইডেনের চিঠির প্রতিউত্তরে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি পাঠানোর বিষয়টি জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কীভাবে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীরতর করতে পারি এবং সম্পর্কের নতুন যুগ কীভাবে শক্তিশালী করতে পারি, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। তারাও আমাদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে চায়। সম্পর্ক উন্নয়ন করার লক্ষ্যেই কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, সেই চিঠিতে তিনি (বাইডেন) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন অধ্যায়ে সম্পর্ক করার বিষয়ে তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেছিলেন। আজ আমি তাদের হাতে (মার্কিন প্রতিনিধির) প্রধানমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছেন, সেটির কপি হস্তান্তর করেছি। মূল কপিটি আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হোয়াইট হাউসে হস্তান্তর করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন অধ্যায় শুরু করতে চায় এবং এটি আমরাও চাই।’ যেহেতু দুই দেশের আগ্রহ আছে সেজন্য নিজেদের ভেতর সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যাব। সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করার বিষয়ে আমাদের যে উভয় পক্ষের আগ্রহ সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে এক ঘণ্টার বেশি আমরা আলোচনা করেছি।
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে এবং তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাশেদ চৌধুরীর বিষয়ে তাদের বিচার বিভাগ থেকে একটি সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে এবং সেটি তারা আমাদের জানিয়েছে।’
মিয়ানমারের পরিস্থিতির কারণে এ অঞ্চলে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এবং সেটি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানান মন্ত্রী। পাশাপাশি রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনই যে একমাত্র সমাধান সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাঙলাদেশের সঙ্গে একমাত্র পোষণ করে বলেও মন্ত্রী জানান।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুটি চুক্তি– জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিসমিয়া) এবং অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড লজিস্টিক এগ্রিমেন্ট (আকসা) নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ জানান, নির্দিষ্ট কোনও চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে আমরা জিসমিয়া নিয়ে কাজ করছি।
মন্ত্রী জানান, নির্বাচন, সুশীল সমাজ বা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠক বা মানবাধিকার নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।