ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বিশ্বের অন্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটে।
বর্ষা মৌসুমে তো বটেই, এর আগে-পরেও এখানে বজ্রপাত মানুষের দুর্ভোগ ডেকে আনে। দেশে বর্ষা মৌসুম শুরু হতে এখনো অনেক দিন বাকি। তাপপ্রবাহের ফাঁকে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে, বজ্রপাত হচ্ছে। এতে ঘটছে হতাহতের ঘটনা।
গত শনিবার দেশের চার জেলায় বজ্রপাতে মারা গেছেন আটজন। বজ্রপাতে যারা মারা গেছেন তাদের প্রায় সবাই কোনো না কোনোভাবে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সাধারণ দেখা যায় যে, কৃষিজমি, খেলার মাঠ বা উন্মুক্ত প্রান্তরে অবস্থানরত মানুষ বজ্রপাতে বেশি হতাহত হন। কারণ বৃষ্টির সময় এসব স্থানে বজ্রপাতের ঘটনা বেশি ঘটে। বৃষ্টির সময় এসব স্থানে থাকা মানুষ সাধারণত আশ্রয় খুঁজে পায় না। আর এই কারণে তারা বজ্রপাতের সহজ শিকার হয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আবার যারা আশ্রয় খুঁজে পান তাদের কিছু অসচেতনতার কারণেও তারা দুর্ঘটনার শিকার হন। টিনের ঘরে আশ্রয় নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ। বজ্রপাতের সময় কোথায় আশ্রয় নিতে হবে সেটা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। বজ্রপাতের ভয়াবহতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষ অসচেতন। বজ্রপাতের ক্ষতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো দরকার। কখন কোথায় বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে, বজ্রপাতের সময় জনসাধারণের কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে সেসব বিষয়ে মানুষকে বিশেষ করে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের জানানো জরুরি।
বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যোগ হয়েছে বজ্রপাত। বন্যা বা সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তুলনায় বজ্রপাতে এখন বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। বজ্রপাতে প্রতি বছর তিন শতাধিক মানুষ মারা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈশ্বিক জলবায়ু পরির্বতনজনিত প্রভাবে কোনো কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা বাড়ছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় ৮৩ শতাংশ মানুষ বজ্রপাত ও দাবদাহের মতো দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।
পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র থাকলে বজ্রপাতের ঝুঁকি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা যেত বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে বজ্রপাতপ্রতিরোধী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা যায় কিনা সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে দেখতে হবে।
সোমবার, ২০ মে ২০২৪
ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বিশ্বের অন্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটে।
বর্ষা মৌসুমে তো বটেই, এর আগে-পরেও এখানে বজ্রপাত মানুষের দুর্ভোগ ডেকে আনে। দেশে বর্ষা মৌসুম শুরু হতে এখনো অনেক দিন বাকি। তাপপ্রবাহের ফাঁকে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে, বজ্রপাত হচ্ছে। এতে ঘটছে হতাহতের ঘটনা।
গত শনিবার দেশের চার জেলায় বজ্রপাতে মারা গেছেন আটজন। বজ্রপাতে যারা মারা গেছেন তাদের প্রায় সবাই কোনো না কোনোভাবে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সাধারণ দেখা যায় যে, কৃষিজমি, খেলার মাঠ বা উন্মুক্ত প্রান্তরে অবস্থানরত মানুষ বজ্রপাতে বেশি হতাহত হন। কারণ বৃষ্টির সময় এসব স্থানে বজ্রপাতের ঘটনা বেশি ঘটে। বৃষ্টির সময় এসব স্থানে থাকা মানুষ সাধারণত আশ্রয় খুঁজে পায় না। আর এই কারণে তারা বজ্রপাতের সহজ শিকার হয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আবার যারা আশ্রয় খুঁজে পান তাদের কিছু অসচেতনতার কারণেও তারা দুর্ঘটনার শিকার হন। টিনের ঘরে আশ্রয় নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ। বজ্রপাতের সময় কোথায় আশ্রয় নিতে হবে সেটা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। বজ্রপাতের ভয়াবহতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষ অসচেতন। বজ্রপাতের ক্ষতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো দরকার। কখন কোথায় বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে, বজ্রপাতের সময় জনসাধারণের কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে সেসব বিষয়ে মানুষকে বিশেষ করে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের জানানো জরুরি।
বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যোগ হয়েছে বজ্রপাত। বন্যা বা সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তুলনায় বজ্রপাতে এখন বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। বজ্রপাতে প্রতি বছর তিন শতাধিক মানুষ মারা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈশ্বিক জলবায়ু পরির্বতনজনিত প্রভাবে কোনো কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা বাড়ছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় ৮৩ শতাংশ মানুষ বজ্রপাত ও দাবদাহের মতো দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।
পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র থাকলে বজ্রপাতের ঝুঁকি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা যেত বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে বজ্রপাতপ্রতিরোধী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা যায় কিনা সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে দেখতে হবে।