alt

জাতীয়

বাংলাদেশের যত অর্জন তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই : শেখ হাসিনা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ২৩ জুন ২০২৪

রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের যত অর্জন তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি, গত দেড় দশক ধরে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশ আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নত হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, যা আমরা প্রমাণ করেছি। বাঙালির সব অর্জনেই ওতপ্রোতভাবে জড়িত আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের মানুষের যতটুকু অর্জন তা আওয়ামী লীগের দ্বারাই হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আর্থ-সামাজিকভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

বিকেল ৫টা ০২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্য শুরু করেন। প্রায় একত্রিশ মিনিটের বক্তব্যে তিনি আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু, পাকিস্তান আমলের সংগ্রাম, স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, দল ভাঙার চক্রান্ত, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ঐক্যের ইতিহাসও তুলে ধরেন। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকেও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। দলের প্রথম সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হকের কথা উল্লেখ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

আওয়ামী লীগের পদক্ষেপের কারণেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবসময় মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিল সংগঠনটি। কিন্তু বারবার এই দলকে আঘাত করা হয়েছে, নিশ্চিহ্নের চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু যতবার এই আঘাত এসেছে দলটি ততবারই জেগে উঠেছে।’

জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন
বিকেল জনসভা শুরু হলেও বেলা ১১টার দিকেই উদ্যানের ফটকগুলো খুলে দেয়া হয়। এরপর থেকে মূল দল ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। মঞ্চে উঠার আগে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি; দলীয় পতাকা তোলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পায়রা অবমুক্ত করেন এবং বেলুন উড়ান শেখ হাসিনা। বিকেল ৩টা ৪২ মিটিনে মঞ্চে সভাপতির আসন গ্রহণ করেন তিনি। এর আগে মঞ্চে উঠে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান; নেতাকর্মীরাও বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে তাদের নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

এরপর মঞ্চের ডান পাশে নির্ধারিত স্থানে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর থিম সং এবং দেশাত্মবোধক নানা গান ও নাচ পরিবেশন করেন।

এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের। সভাপতির বক্তব্য দিতে শেখ হাসিনা মাইকের সামনে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে। তিনি নিজেও স্লোগান ধরেন।

ষড়যন্ত্র হয়েছে, আঘাত এসেছে
আওয়ামী লীগই সংগ্রাম আর ত্যাগের মধ্য দিয়ে দিয়ে জাতির সব অর্জন এনেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বারবার এই দলের প্রতি আঘাত এসেছে, বারবার এই দলকে খ-বিখ- করার চেষ্টা হয়েছে, বারবার দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। আইয়ুব খান থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, বারবার এইভাবে আঘাত এসেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন। তাই বারবার আঘাত এসেও আওয়ামী লীগের ক্ষতি করতে পারেনি।’

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরের ইতিহাসও তুলে ধরেন তার কন্য শেখ হাসিনা। তিনি বলে, ‘এরপর ক্ষমতা পরিবর্তন হয় অস্ত্রের মাধ্যমে বা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন তারা করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ ছাড়া যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা সন্ত্রাসবাদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি, দুর্নীতি করেছে। তারা জনগণের শক্তি ভুলে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে।’

দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করার সংগঠন। বারবার আঘাত করেও এই সংগঠনের কোনো ক্ষতি করতে পারে নাই। ফিনিক্স পাখি যেমন পুড়িয়ে ফেলা ভস্ম থেকে জেগে উঠে, আওয়ামী লীগ ঠিক সেইভাবে জেগে উঠেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেশি দিনের কথা না, ২০০৭ সালেও চেষ্টা করা হয়েছিল; আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে নতুন কিংস পাটি গড়ে তুলবে, সেটাও সফল করতে পারেনি। কারণ, আওয়ামী লীগের মূল শক্তি হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ, তৃণমূলের মানুষ, আওয়ামী লীগের অগণিত মুজিব আদর্শের সৈনিক। এই সৈনিকরা কখনো পরাজয় মানে না, মাথানথ করে না।’

দলছুট নেতারা আর জ্বলে উঠেননি
দল ছেড়ে যাওয়া নেতারা ‘ভুল করেছেন’ মন্তব্য করে দলীয় প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শক্তি হচ্ছে এ দেশের তৃণমূলের জনগণ এবং দলের নেতাকর্মীরা। কেউ মনে করেছেন আওয়ামী লীগে থাকলে তারাই হয়তো বড় নেতা। দলের থেকে নিজেকে বড় মনে করে কেউ দল ছেড়ে গিয়ে অন্য দল করেছেন, কেউ দল গঠন করেছেন, তারা ভুল করেছেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভুলে গিয়েছিলেন, তারা আলোকিত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন বলেই। চলে যাওয়ার পর ওই তারা আর জ্বলেন নাই। তারা আস্তে আস্তে নিভু নিভু, কেউ কেউ নিভে গেছে। কেউ ভুল বুঝে ফিরে এসেছে, আমরা নিয়েছি। কেউ এখনো আওয়ামী লীগের সরকার পতন, ধ্বংস, নানা জল্পনা-কল্পনা করে যাচ্ছে।’

যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘মৃত্যু যেকোনো সময় সবার হতে পারে। যেকোনো সময় মৃত্যু আসতে পারে। তার জন্য আমি কোনো দিন ভীত নই। কখনও ভয় পাইনি, পাবোও না। কিন্তু যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমার বাবার যে চিন্তা-চেতনা, তা বাস্তবায়ন করে এ দেশের মানুষকে একটা উন্নত জীবন দেবো- এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে দলীয় প্রধান বলেন, ‘আমার একটাই আবেদন থাকবে আমাদের সংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মীর কাছে, সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে হবে। যেকোনো একজন রাজনীতিবিদের জীবনে সংগঠনটা হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী। যদি সংগঠন শক্তিশালী হয় আর দেশের গণমানুষের সমর্থন পাওয়া যায়, যতই ষড়যন্ত্র হোক...।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক নেতাকর্মীকে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বলবো, আপনারা একবার চিন্তা করে দেখেন, এই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কত কষ্ট করেছে। বারবার আঘাত এসেছে। পরিবারগুলো কষ্ট করেছে। কিন্তু সংগঠন ধরে রেখেছে। কাজেই যেমন সংগঠন করতে হবে, সেভাবে জনগণের আস্থা-বিশ্বাস, যেটা আমাদের মূল শক্তি, সেই আস্থা-বিশ্বাসটা অর্জন করতে হবে।’

গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে
সরকারপ্রধান বলেন, ‘(জনগণের) সেই আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি বলেই বারবার জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে। বারবার ক্ষমতায় এসে দীর্ঘ সময় বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। আর গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজ আর্থ-সামাজিকভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্বে আজ মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কাজেই এটাকে (আস্থা-বিশ্বাস) ধরে রেখেই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’

বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটে শেখ হাসিনা তার ভাষণ শেষ করেন। এর আগে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করতে উপস্থিত সবাইকে হাত উঁচু করার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০৪১, ২১০০ অনেক বয়স হয়েছে, তত দিন হয়তো বেঁচে থাকবো না। কিন্তু আজ যারা নবীন, তারা আমার স্মার্ট বাংলাদেশের মূল সৈনিক হবে। আমরা স্মার্ট জনগোষ্ঠী গড়ে তুলবো; স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তুলে এই বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবে- প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্লাটিনাম জয়ন্তীতে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।’

উপস্থিত নেতাকর্মীরা হাত তুলে দলীয় প্রধানের আহ্বানে সাড়া দেন।

এবার ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে তিন দিনের আয়োজন রাখে আওয়ামী লীগ, যার সর্বশেষ ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা। এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্লাটিনাম জয়ন্তীতে প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয় ‘গৌরবময় পথ চলার ৭৫ বছরে আওয়ামী লীগ, সংগ্রাম সংকল্প সতত শপথে জনগণের সঙ্গে।’

আওয়ামী লীগের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, রোববারের (২৩ জুন) জনসভায় মঞ্চের সামনের দিকে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী বসার ব্যবস্থা রাখা হয়। সরেজমিন দেখা যায় পুরো উদ্যান এবং আশপাশের এলাকা ঘিরেই নেতাকর্মীদের উৎসবমুখর উপস্থিতি।

অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিরাও অংশ নেন।

মঞ্চে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোশাররফ হোসেন, আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, সিমিন হোসেন রিমি, এ এইচ এম খায়রুজাজামান লিটন, সৈয়দা জেবুন্নেছা হক উপস্থিত ছিলেন।

ছবি

সব হাসপাতালে রাসেল’স ভাইপারের অ্যান্টিভেনম আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি

খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান, এপিএ স্বাক্ষর ও মাসিক এডিপি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে আম ইলিশ মিষ্টি পাঠালেন

ছবি

আমাদের চাঁদেও যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

ছবি

বছরে বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ট্যাক্সি ও মোটরসাইকেল চালক নেবে দুবাই

ছবি

হজে গিয়ে ৫১ বাংলাদেশির মৃত্যু

ছবি

তারেককে ‘অচিরেই’ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী

পুলিশের ৬৯৫টি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা

ছবি

জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে আমি মারা যাব: শেখ হাসিনা

ছবি

বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করেই ভারতের সাথে সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

দায়িত্বহীনতার কারণে সুন্দরবনের মধুর জিআই সনদ হাতিয়ে নিয়েছে ভারত: সিপিডি

ছবি

শহরের নির্ধারিত আয়ের মানুষ খুব বেশি চাপে আছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে ‘লাভজনক’ প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

‘পদ্মা সেতু থেকে ২ বছরে আয় দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি’

ছবি

সাপে কাটা ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত সংরক্ষণ চেয়ে সরকারকে নোটিশ

ছবি

অষ্টম শ্রেণি চালুর জন্য প্রস্তুত ১৫৪ স্কুল

ছবি

দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার পথ নিয়ে আলোচনা করেছি : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

দিল্লি সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন আজ

ছবি

নিবন্ধিত সিমের প্রায় অর্ধেক নিস্ক্রিয়: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক

ছবি

সংসদ ভবনে স্থাপিত হলো ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’, উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

পলকের নির্দেশে টাকা ফেরৎ পাচ্ছে পারুল বেগম

ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফর খুবই ফলপ্রসূ হবে বলে চীনা মন্ত্রীর আশাবাদ

ছবি

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা নিয়ে আলোচনা

ছবি

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন কাল

ছবি

অসংক্রামক ব্যাধি থেকে পরিত্রাণে সচেতনতা প্রয়োজন : স্পিকার

ছবি

স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা অসৎ উপায়ে ভূমি ক্রয়ের প্রচেষ্টা প্রতিহত করবে: ভূমিমন্ত্রী

ছবি

ঢাকায় চীনা মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও

কে হচ্ছেন পুলিশের নতুন আইজি?

ছবি

পুলিশে রদবদল, ১৪ জেলায় নতুন এসপি

ছবি

দুর্নীতির মাধ্যমে এভাবে সম্পদ অর্জন করা কখনো সমীচীন নয়

ছবি

সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

ছবি

মিন্টুকে গ্রেপ্তার করে কোনো চাপে নেই ডিবি

ছবি

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ডেপুটি স্পিকারের শ্রদ্ধা

ছবি

আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা

tab

জাতীয়

বাংলাদেশের যত অর্জন তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই : শেখ হাসিনা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রোববার, ২৩ জুন ২০২৪

বাংলাদেশের যত অর্জন তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি, গত দেড় দশক ধরে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশ আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নত হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, যা আমরা প্রমাণ করেছি। বাঙালির সব অর্জনেই ওতপ্রোতভাবে জড়িত আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের মানুষের যতটুকু অর্জন তা আওয়ামী লীগের দ্বারাই হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আর্থ-সামাজিকভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

বিকেল ৫টা ০২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্য শুরু করেন। প্রায় একত্রিশ মিনিটের বক্তব্যে তিনি আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু, পাকিস্তান আমলের সংগ্রাম, স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, দল ভাঙার চক্রান্ত, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ঐক্যের ইতিহাসও তুলে ধরেন। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকেও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। দলের প্রথম সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হকের কথা উল্লেখ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

আওয়ামী লীগের পদক্ষেপের কারণেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবসময় মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিল সংগঠনটি। কিন্তু বারবার এই দলকে আঘাত করা হয়েছে, নিশ্চিহ্নের চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু যতবার এই আঘাত এসেছে দলটি ততবারই জেগে উঠেছে।’

জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন
বিকেল জনসভা শুরু হলেও বেলা ১১টার দিকেই উদ্যানের ফটকগুলো খুলে দেয়া হয়। এরপর থেকে মূল দল ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। মঞ্চে উঠার আগে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি; দলীয় পতাকা তোলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পায়রা অবমুক্ত করেন এবং বেলুন উড়ান শেখ হাসিনা। বিকেল ৩টা ৪২ মিটিনে মঞ্চে সভাপতির আসন গ্রহণ করেন তিনি। এর আগে মঞ্চে উঠে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান; নেতাকর্মীরাও বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে তাদের নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

এরপর মঞ্চের ডান পাশে নির্ধারিত স্থানে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর থিম সং এবং দেশাত্মবোধক নানা গান ও নাচ পরিবেশন করেন।

এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের। সভাপতির বক্তব্য দিতে শেখ হাসিনা মাইকের সামনে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে। তিনি নিজেও স্লোগান ধরেন।

ষড়যন্ত্র হয়েছে, আঘাত এসেছে
আওয়ামী লীগই সংগ্রাম আর ত্যাগের মধ্য দিয়ে দিয়ে জাতির সব অর্জন এনেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বারবার এই দলের প্রতি আঘাত এসেছে, বারবার এই দলকে খ-বিখ- করার চেষ্টা হয়েছে, বারবার দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। আইয়ুব খান থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, বারবার এইভাবে আঘাত এসেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন। তাই বারবার আঘাত এসেও আওয়ামী লীগের ক্ষতি করতে পারেনি।’

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরের ইতিহাসও তুলে ধরেন তার কন্য শেখ হাসিনা। তিনি বলে, ‘এরপর ক্ষমতা পরিবর্তন হয় অস্ত্রের মাধ্যমে বা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন তারা করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ ছাড়া যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা সন্ত্রাসবাদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি, দুর্নীতি করেছে। তারা জনগণের শক্তি ভুলে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে।’

দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করার সংগঠন। বারবার আঘাত করেও এই সংগঠনের কোনো ক্ষতি করতে পারে নাই। ফিনিক্স পাখি যেমন পুড়িয়ে ফেলা ভস্ম থেকে জেগে উঠে, আওয়ামী লীগ ঠিক সেইভাবে জেগে উঠেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেশি দিনের কথা না, ২০০৭ সালেও চেষ্টা করা হয়েছিল; আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে নতুন কিংস পাটি গড়ে তুলবে, সেটাও সফল করতে পারেনি। কারণ, আওয়ামী লীগের মূল শক্তি হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ, তৃণমূলের মানুষ, আওয়ামী লীগের অগণিত মুজিব আদর্শের সৈনিক। এই সৈনিকরা কখনো পরাজয় মানে না, মাথানথ করে না।’

দলছুট নেতারা আর জ্বলে উঠেননি
দল ছেড়ে যাওয়া নেতারা ‘ভুল করেছেন’ মন্তব্য করে দলীয় প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শক্তি হচ্ছে এ দেশের তৃণমূলের জনগণ এবং দলের নেতাকর্মীরা। কেউ মনে করেছেন আওয়ামী লীগে থাকলে তারাই হয়তো বড় নেতা। দলের থেকে নিজেকে বড় মনে করে কেউ দল ছেড়ে গিয়ে অন্য দল করেছেন, কেউ দল গঠন করেছেন, তারা ভুল করেছেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভুলে গিয়েছিলেন, তারা আলোকিত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন বলেই। চলে যাওয়ার পর ওই তারা আর জ্বলেন নাই। তারা আস্তে আস্তে নিভু নিভু, কেউ কেউ নিভে গেছে। কেউ ভুল বুঝে ফিরে এসেছে, আমরা নিয়েছি। কেউ এখনো আওয়ামী লীগের সরকার পতন, ধ্বংস, নানা জল্পনা-কল্পনা করে যাচ্ছে।’

যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘মৃত্যু যেকোনো সময় সবার হতে পারে। যেকোনো সময় মৃত্যু আসতে পারে। তার জন্য আমি কোনো দিন ভীত নই। কখনও ভয় পাইনি, পাবোও না। কিন্তু যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমার বাবার যে চিন্তা-চেতনা, তা বাস্তবায়ন করে এ দেশের মানুষকে একটা উন্নত জীবন দেবো- এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে দলীয় প্রধান বলেন, ‘আমার একটাই আবেদন থাকবে আমাদের সংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মীর কাছে, সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে হবে। যেকোনো একজন রাজনীতিবিদের জীবনে সংগঠনটা হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী। যদি সংগঠন শক্তিশালী হয় আর দেশের গণমানুষের সমর্থন পাওয়া যায়, যতই ষড়যন্ত্র হোক...।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক নেতাকর্মীকে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বলবো, আপনারা একবার চিন্তা করে দেখেন, এই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কত কষ্ট করেছে। বারবার আঘাত এসেছে। পরিবারগুলো কষ্ট করেছে। কিন্তু সংগঠন ধরে রেখেছে। কাজেই যেমন সংগঠন করতে হবে, সেভাবে জনগণের আস্থা-বিশ্বাস, যেটা আমাদের মূল শক্তি, সেই আস্থা-বিশ্বাসটা অর্জন করতে হবে।’

গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে
সরকারপ্রধান বলেন, ‘(জনগণের) সেই আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি বলেই বারবার জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে। বারবার ক্ষমতায় এসে দীর্ঘ সময় বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। আর গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজ আর্থ-সামাজিকভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্বে আজ মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কাজেই এটাকে (আস্থা-বিশ্বাস) ধরে রেখেই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’

বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটে শেখ হাসিনা তার ভাষণ শেষ করেন। এর আগে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করতে উপস্থিত সবাইকে হাত উঁচু করার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০৪১, ২১০০ অনেক বয়স হয়েছে, তত দিন হয়তো বেঁচে থাকবো না। কিন্তু আজ যারা নবীন, তারা আমার স্মার্ট বাংলাদেশের মূল সৈনিক হবে। আমরা স্মার্ট জনগোষ্ঠী গড়ে তুলবো; স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তুলে এই বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবে- প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্লাটিনাম জয়ন্তীতে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।’

উপস্থিত নেতাকর্মীরা হাত তুলে দলীয় প্রধানের আহ্বানে সাড়া দেন।

এবার ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে তিন দিনের আয়োজন রাখে আওয়ামী লীগ, যার সর্বশেষ ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা। এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্লাটিনাম জয়ন্তীতে প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয় ‘গৌরবময় পথ চলার ৭৫ বছরে আওয়ামী লীগ, সংগ্রাম সংকল্প সতত শপথে জনগণের সঙ্গে।’

আওয়ামী লীগের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, রোববারের (২৩ জুন) জনসভায় মঞ্চের সামনের দিকে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী বসার ব্যবস্থা রাখা হয়। সরেজমিন দেখা যায় পুরো উদ্যান এবং আশপাশের এলাকা ঘিরেই নেতাকর্মীদের উৎসবমুখর উপস্থিতি।

অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিরাও অংশ নেন।

মঞ্চে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোশাররফ হোসেন, আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, সিমিন হোসেন রিমি, এ এইচ এম খায়রুজাজামান লিটন, সৈয়দা জেবুন্নেছা হক উপস্থিত ছিলেন।

back to top