alt

জাতীয়

পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ নিয়ে ব্যাখ্যা দিল কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সর্বজনীন পেনশনের পঞ্চম স্কিম ‘প্রত্যয়’ নিয়ে একটি ব্যাখা দিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার ‘প্রত্যয় সম্পর্কে কিছু বিষয়ে অধিকতর স্পষ্টিকরণ’ শীর্ষক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।

চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রথম দিন থেকেই ‘প্রত্যয়’ স্কিম চালু হয়েছে। তাতে যুক্ত হলে অবসরপরবর্তী আর্থিক সুবিধা কমে যাওয়ার শঙ্কায় আন্দোলনে নেমেছেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত ৩০ জুনের আগে চাকরিতে যোগদানকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নতুন স্কিমে যুক্ত হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকে ‘প্রত্যয়’ যাত্রা শুরু করেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন–ব্যবস্থায় আনার জন্যই এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। প্রত্যয় স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য। বর্তমানে ৪০৩টি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদের মধ্যে ৯০টির মতো প্রতিষ্ঠানে পেনশন–ব্যবস্থা চালু আছে। বাকি ৩১৩টি প্রতিষ্ঠানে চালু রয়েছে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ)। সিপিএফ সুবিধার আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এককালীন আনুতোষিক পেয়ে থাকেন, পেনশন পান না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে সরকারি পেনশনে ‘আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট’ পদ্ধতির পেনশন–ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। পেনশনের যাবতীয় ব্যয় বাজেট থেকে মেটানো হয়। এখন ‘ফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট’ পদ্ধতির পেনশন–ব্যবস্থা চালু হওয়ায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে মাসিক জমার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকার মধ্যে যেটা কম, সেটা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন হতে কর্তন করা হবে। যতটুকু কর্তন করা হবে, সেই পরিমাণ অর্থ দেবে প্রতিষ্ঠান। উভয় অর্থ সরকারি হিসাবে জমা হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট পদ্ধতির পেনশন–ব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক সংশ্লেষ ক্রমাগত বাড়ছে। এটি দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই ব্যবস্থা নয়। অন্যদিকে ফান্ডেড কন্ট্রিবিউটরি পেনশন–ব্যবস্থায় কর্মীদের চাঁদা এবং বিনিয়োগের মুনাফার ভিত্তিতে একটি তহবিল গঠিত হবে। ফলে এটি দীর্ঘ মেয়াদে একটি টেকসই পেনশন–ব্যবস্থা। নতুন পেনশন–ব্যবস্থায় ধীরে ধীরে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা–কাঠামোর মধ্যে আনা সম্ভব হবে। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ২০০৪ সাল থেকে এ পেনশন–ব্যবস্থা চালু আছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিরত, তাঁরা আগের মতোই পেনশন–সুবিধা পাবেন। কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনের পর নিজ বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একই পদে বা উচ্চতর কোনো পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তিনি সার্ভিস প্রোটেকশন ও পে প্রোটেকশন প্রাপ্ত হন বলে এটিকে নতুন নিয়োগ হিসেবে গণ্য করা হয় না। সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিদ্যমান পেনশন–সুবিধার আওতায় থাকার সুযোগ থাকবে। তাঁদের অর্জিত ছুটি প্রাপ্যতার ভিত্তিতে দেওয়া হয় বলে ছুটি জমা থাকা সাপেক্ষে তা বহাল থাকবে।

কর্তৃপক্ষ বলেছে, কন্ট্রিবিউটরি পেনশন পদ্ধতিতে অংশগ্রহণকারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এককালীন নয়, বরং মাসিক পেনশনের যুক্তিসংগত পরিমাণ নির্ধারণ করাই অগ্রগণ্য। এ ক্ষেত্রে আনুতোষিকের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। বরং বিদ্যমান মাসিক পেনশনের কয়েক গুণ বেশি মাসিক পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় কর্মসূচিতে মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতন থেকে কর্তন করা হলে এবং একই পরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠান জমা করলে ৩০ বছর পর একজন পেনশনার প্রতি মাসে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬০ টাকা হারে আজীবন পেনশন পাবেন। তাঁর নিজ আয়ের মোট জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ টাকা এবং তিনি যদি ১৫ বছর ধরে পেনশন পান, সে ক্ষেত্রে তাঁর মোট প্রাপ্তি হবে ২ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ টাকা। এ প্রাপ্তি তাঁর জমার প্রায় সাড়ে ১২ গুণ। পেনশনে যাওয়ার পর ৩০ বছর জীবিত থাকলে পেনশনার পাবেন তাঁর জমার প্রায় ২৫ গুণ অর্থ।

বিদ্যমান ব্যবস্থায় পেনশনার আজীবন পেনশন পান। তাঁর অবর্তমানে পেনশনারের স্বামী বা স্ত্রী এবং প্রতিবন্ধী সন্তান আজীবন পেনশন পান। নতুন পেনশন–ব্যবস্থায়ও পেনশনার আজীবন পেনশন পাবেন। তবে পেনশনারের অবর্তমানে তাঁর স্বামী বা স্ত্রী অথবা নমিনি পেনশনারের পেনশন শুরুর তারিখ থেকে ১৫ বছর হিসাবে যে সময় বাকি থাকবে, সে পর্যন্ত পেনশন পাবেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন পেনশনার অবসরে যাওয়ার পর পেনশন ভোগরত অবস্থায় ৫ বছর পেনশন পেয়ে এরপর মারা গেলেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর স্বামী বা স্ত্রী অথবা নমিনি আরও ১০ বছর পেনশন পাবেন।

ছবি

প্রধান পরামর্শক হলেন সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান

ছবি

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করার আহ্বান প্রতিমন্ত্রী পলকের

ছবি

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের সৌজন্য স্বাক্ষাৎ”

ছবি

মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত:-প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী

ছবি

আমাদের সাথে যেমন ভারতবর্ষের চমৎকার সম্পর্ক, তেমনি চীনের সাথেও আমাদের চমৎকার সম্পর্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

ওমানের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে বাংলাদেশি জনশক্তি: প্রধানমন্ত্রী

ছবি

ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে চিনের আপত্তি নেই : চীনা রাষ্ট্রদূত

ছবি

১৫ জুলাইয়ের দিকে সারা দেশে গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন হয়ে যাবে : নসরুল হামিদ

ছবি

তিস্তায় বাংলাদেশের সিদ্ধান্তে সম্মান জানাবে চীন : রাষ্ট্রদূত

ছবি

মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল

পুলিশসহ ১০ প্রতিষ্ঠানের রেশনের চাল ও গমের দাম বাড়ছে

ছবি

"১১ ব্যাংক থেকে মিলবে সর্বজনীন পেনশন সেবা"

ছবি

"চিকিৎসা যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহারে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর"

ছবি

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সমুদ্র সম্পদের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিন্ত করতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ছবি

সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

‘জি-ব্রেইন’ উদ্বোধন, এআই আইনের খসড়া সেপ্টেম্বরে

ছবি

২০৩০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াবে : গবেষণা

ছবি

শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ওবায়দুল কাদের

ছবি

সৌদি গমনেচ্ছুদের প্রতারণা থেকে রক্ষায় কাজ করবে দুদেশের যৌথ টাস্কফোর্স : রিয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দুর্নীতির অভিযোগে বদলি, বরখাস্ত, অবসর যথেষ্ট নয়; আইনি প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন: টিআইবি

দুর্নীতি ঠেকাতে মেয়াদ বাড়তে পারে বর্তমান আইজিপির

ছবি

নিজের নামে ইনস্টিটিউটের নামকরণে প্রধানমন্ত্রীর ‘না’

ছবি

বাংলাদেশ-সৌদি আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক : সৌদি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্ব

ছবি

পদ্মা সেতু রক্ষণাবেক্ষণে গঠিত হবে সরকারি কোম্পানি

ছবি

ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির টোল না নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

ছবি

এই দেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান হবে না : র‍্যাব ডিজি

ছবি

ফেয়ার এপ্রুভালটা সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্থরিটিই দিয়ে থাকে : আটাব মহাসচিব আসফিয়া জান্নাত সালেহ

ছবি

পছন্দমতো না হলে অনেক বিদেশি ঋণপ্রস্তাব আমরা ফিরিয়ে দেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি, কারও রক্ষা নেই : সংসদে প্রধানমন্ত্রী

ছবি

বিডিনগের অষ্টাদশ সম্মেলনের রেজিস্ট্রেশন চলছে

শরীফার গল্প বাদ দেওয়া ‘হঠকারী সিদ্ধান্ত’: ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি

ছবি

মুসলিম উম্মাহর ঐক্য না থাকায় গাজায় অমানবিক ঘটনা ঘটছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

জাতিসংঘ পুলিশে অবদান রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

ছবি

সব হাসপাতালে রাসেল’স ভাইপারের অ্যান্টিভেনম আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি

খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

tab

জাতীয়

পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ নিয়ে ব্যাখ্যা দিল কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সর্বজনীন পেনশনের পঞ্চম স্কিম ‘প্রত্যয়’ নিয়ে একটি ব্যাখা দিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার ‘প্রত্যয় সম্পর্কে কিছু বিষয়ে অধিকতর স্পষ্টিকরণ’ শীর্ষক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।

চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রথম দিন থেকেই ‘প্রত্যয়’ স্কিম চালু হয়েছে। তাতে যুক্ত হলে অবসরপরবর্তী আর্থিক সুবিধা কমে যাওয়ার শঙ্কায় আন্দোলনে নেমেছেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত ৩০ জুনের আগে চাকরিতে যোগদানকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নতুন স্কিমে যুক্ত হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকে ‘প্রত্যয়’ যাত্রা শুরু করেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন–ব্যবস্থায় আনার জন্যই এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। প্রত্যয় স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য। বর্তমানে ৪০৩টি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদের মধ্যে ৯০টির মতো প্রতিষ্ঠানে পেনশন–ব্যবস্থা চালু আছে। বাকি ৩১৩টি প্রতিষ্ঠানে চালু রয়েছে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ)। সিপিএফ সুবিধার আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এককালীন আনুতোষিক পেয়ে থাকেন, পেনশন পান না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে সরকারি পেনশনে ‘আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট’ পদ্ধতির পেনশন–ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। পেনশনের যাবতীয় ব্যয় বাজেট থেকে মেটানো হয়। এখন ‘ফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট’ পদ্ধতির পেনশন–ব্যবস্থা চালু হওয়ায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে মাসিক জমার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকার মধ্যে যেটা কম, সেটা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন হতে কর্তন করা হবে। যতটুকু কর্তন করা হবে, সেই পরিমাণ অর্থ দেবে প্রতিষ্ঠান। উভয় অর্থ সরকারি হিসাবে জমা হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট পদ্ধতির পেনশন–ব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক সংশ্লেষ ক্রমাগত বাড়ছে। এটি দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই ব্যবস্থা নয়। অন্যদিকে ফান্ডেড কন্ট্রিবিউটরি পেনশন–ব্যবস্থায় কর্মীদের চাঁদা এবং বিনিয়োগের মুনাফার ভিত্তিতে একটি তহবিল গঠিত হবে। ফলে এটি দীর্ঘ মেয়াদে একটি টেকসই পেনশন–ব্যবস্থা। নতুন পেনশন–ব্যবস্থায় ধীরে ধীরে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা–কাঠামোর মধ্যে আনা সম্ভব হবে। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ২০০৪ সাল থেকে এ পেনশন–ব্যবস্থা চালু আছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিরত, তাঁরা আগের মতোই পেনশন–সুবিধা পাবেন। কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনের পর নিজ বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একই পদে বা উচ্চতর কোনো পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তিনি সার্ভিস প্রোটেকশন ও পে প্রোটেকশন প্রাপ্ত হন বলে এটিকে নতুন নিয়োগ হিসেবে গণ্য করা হয় না। সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিদ্যমান পেনশন–সুবিধার আওতায় থাকার সুযোগ থাকবে। তাঁদের অর্জিত ছুটি প্রাপ্যতার ভিত্তিতে দেওয়া হয় বলে ছুটি জমা থাকা সাপেক্ষে তা বহাল থাকবে।

কর্তৃপক্ষ বলেছে, কন্ট্রিবিউটরি পেনশন পদ্ধতিতে অংশগ্রহণকারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এককালীন নয়, বরং মাসিক পেনশনের যুক্তিসংগত পরিমাণ নির্ধারণ করাই অগ্রগণ্য। এ ক্ষেত্রে আনুতোষিকের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। বরং বিদ্যমান মাসিক পেনশনের কয়েক গুণ বেশি মাসিক পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় কর্মসূচিতে মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতন থেকে কর্তন করা হলে এবং একই পরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠান জমা করলে ৩০ বছর পর একজন পেনশনার প্রতি মাসে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬০ টাকা হারে আজীবন পেনশন পাবেন। তাঁর নিজ আয়ের মোট জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ টাকা এবং তিনি যদি ১৫ বছর ধরে পেনশন পান, সে ক্ষেত্রে তাঁর মোট প্রাপ্তি হবে ২ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ টাকা। এ প্রাপ্তি তাঁর জমার প্রায় সাড়ে ১২ গুণ। পেনশনে যাওয়ার পর ৩০ বছর জীবিত থাকলে পেনশনার পাবেন তাঁর জমার প্রায় ২৫ গুণ অর্থ।

বিদ্যমান ব্যবস্থায় পেনশনার আজীবন পেনশন পান। তাঁর অবর্তমানে পেনশনারের স্বামী বা স্ত্রী এবং প্রতিবন্ধী সন্তান আজীবন পেনশন পান। নতুন পেনশন–ব্যবস্থায়ও পেনশনার আজীবন পেনশন পাবেন। তবে পেনশনারের অবর্তমানে তাঁর স্বামী বা স্ত্রী অথবা নমিনি পেনশনারের পেনশন শুরুর তারিখ থেকে ১৫ বছর হিসাবে যে সময় বাকি থাকবে, সে পর্যন্ত পেনশন পাবেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন পেনশনার অবসরে যাওয়ার পর পেনশন ভোগরত অবস্থায় ৫ বছর পেনশন পেয়ে এরপর মারা গেলেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর স্বামী বা স্ত্রী অথবা নমিনি আরও ১০ বছর পেনশন পাবেন।

back to top