alt

জাতীয়

২০৩০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াবে : গবেষণা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

জলবায়ুর পরিবর্তন, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াবে, আর ২০৫০ সালের মধ্যে তা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ তাপদাহের পূর্বাভাস থেকে দেখা যায় বাংলাদেশের তাপমাত্রা দৈনিক গড় উষ্ণায়নের চেয়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেশি বাড়বে এবং শীতকালে তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালের চেয়ে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি বাড়বে।

মঙ্গলবার পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংস্থা এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) জানায়, চলতি বছরের ১৭ থেকে ২৩ এপ্রিল, রাজধানী ও অন্যান্য জায়গার গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত ৩০ বছরের তুলনায় চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। গত ৪৪ বছরে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই গড় তাপমাত্রা আরও দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে, এবং ২০৫০ সালের মধ্যে গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাবদাহের কারণে বাংলাদেশে তাপমাত্রা গত ৫০ বছরে বেড়েছে। তাপামাত্রা বাড়ার পেছনে দায়ী বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, জলবায়ুর পরিবর্তন, জীবাশ্ম জ্বালানি ও শিল্পকারখানা থেকে কার্বন নির্গমন বৃদ্ধি, যা গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, জলবায়ুর ওপর সমুদ্রের প্রভাব।

গবেষণা বলছে, এই ধরনের তীব্র দাবদাহের ঘটনা প্রায় প্রতি দশকে পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এই প্রবণতা অনুসরণ করে, অনুমান করা যায় যে, ২০৩৪ সালের দিকে আরেকটি চরম তাপপ্রবাহ ঘটতে পারে। ১৯৭২ সাল থেকে দাবদাহ ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। বর্তমানে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের তা ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালে দাবদাহের কারণে প্রতিদিন ১২০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০৩০ সালে এই তাপপ্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে এবং বয়স্কদের মধ্যে দাবদাহ জনিত কারণে ২০৮০ সালের মধ্যে প্রতি এক লাখে ৩০ জনের মৃত্যু হতে পারে।

গবেষণায় আরও জানা গেছে যে, ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ তাপপ্রবাহের কারণে অনেকেই স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন কিন্তু এই সমস্যা মোকাবিলার বিষয়ে তাদের সচেতনতার অভাব রয়েছে।

দাবদাহের ফলে যে প্রভাব

অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে বাংলাদেশে হিটস্ট্রোক এবং শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০০৫ এবং ২০২৪ সালে দাবদাহের ফলে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছর সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ প্রভাবিত হয়েছে। এবং অন্তত ১৫ জন দাবদাহের কারণে রোগে মারা যায়। দাবদাহে দুই দিন পর কলেরার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। দাবদাহে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব বাড়ে, যা ডায়রিয়া রোগসৃষ্টির প্রধান কারণ। দাবদাহে মশা দ্বারা সংঘটিত রোগের প্রভাব বাড়ায়।

দাবদাহ পরিবেশ, কৃষিক্ষেত্র এবং শহরাঞ্চলের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। কৃষিজমির উপর অতিরিক্ত চাপ, বন উজাড় এবং শহরাঞ্চলে দাবদাহ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে কৃষিখাতে ক্ষতিসাধন করছে, যেমন ২০২১ সালের দাবদাহে ২১ হাজার হেক্টরের বেশি ধান নষ্ট হয়েছে।

যা করণীয়

এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারপারসন ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, যদি দাবদাহের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে তবে ভবিষ্যতে তাপমাত্রা আমাদের জন্য অসহনীয় হবে। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর মাধ্যমে তাপপ্রবাহ প্রবণতা কমানো সম্ভব এবং এই লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী নীতি বাস্তবায়ন করা জরুরি।

সংস্থাটির মহাসচিব ও সিনিয়র উপদেষ্টা ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, দাবদাহের ফলে লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ফসলের ক্ষতি, ফলন হ্রাস এবং খাদ্যের দাম বেড়ে যায়। অতিরিক্ত দাবদাহ গ্রামাঞ্চলের পশুপালনকে প্রভাবিত করে ও পানির অভাব সৃষ্টি করে। এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য তাপ-প্রতিরোধী ফসল, কৃষি ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করা উচিত। এছাড়াও আমাদের টেকসই ও পরিবেশ-বান্ধব নগর পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা বলেন, চলমান দাবদাহ স্বাস্থ্য, কৃষি এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এবং আমাদের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করার জন্য বর্তমান উচ্চ তাপমাত্রাকে কমিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

ছবি

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন

ছবি

পদ্মা সেতুর জন্য বাংলাদেশ বিশ্বে সম্মান পেয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

কানেক্টিভিটির মর্ম বিএনপি বোঝে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

স্পীকারের সাথে মালয়েশিয়ার হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভের স্পীকারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত

ছবি

আরও এক বছর আইজিপি থাকবেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

ছবি

যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ জয়

ছবি

প্রধান পরামর্শক হলেন সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান

ছবি

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করার আহ্বান প্রতিমন্ত্রী পলকের

ছবি

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের সৌজন্য স্বাক্ষাৎ”

ছবি

মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত:-প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী

ছবি

আমাদের সাথে যেমন ভারতবর্ষের চমৎকার সম্পর্ক, তেমনি চীনের সাথেও আমাদের চমৎকার সম্পর্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

ওমানের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে বাংলাদেশি জনশক্তি: প্রধানমন্ত্রী

ছবি

ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে চিনের আপত্তি নেই : চীনা রাষ্ট্রদূত

ছবি

১৫ জুলাইয়ের দিকে সারা দেশে গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন হয়ে যাবে : নসরুল হামিদ

ছবি

তিস্তায় বাংলাদেশের সিদ্ধান্তে সম্মান জানাবে চীন : রাষ্ট্রদূত

ছবি

মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল

পুলিশসহ ১০ প্রতিষ্ঠানের রেশনের চাল ও গমের দাম বাড়ছে

ছবি

"১১ ব্যাংক থেকে মিলবে সর্বজনীন পেনশন সেবা"

ছবি

"চিকিৎসা যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহারে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর"

ছবি

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সমুদ্র সম্পদের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিন্ত করতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ছবি

সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

‘জি-ব্রেইন’ উদ্বোধন, এআই আইনের খসড়া সেপ্টেম্বরে

ছবি

শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ওবায়দুল কাদের

ছবি

পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ নিয়ে ব্যাখ্যা দিল কর্তৃপক্ষ

ছবি

সৌদি গমনেচ্ছুদের প্রতারণা থেকে রক্ষায় কাজ করবে দুদেশের যৌথ টাস্কফোর্স : রিয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দুর্নীতির অভিযোগে বদলি, বরখাস্ত, অবসর যথেষ্ট নয়; আইনি প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন: টিআইবি

দুর্নীতি ঠেকাতে মেয়াদ বাড়তে পারে বর্তমান আইজিপির

ছবি

নিজের নামে ইনস্টিটিউটের নামকরণে প্রধানমন্ত্রীর ‘না’

ছবি

বাংলাদেশ-সৌদি আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক : সৌদি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্ব

ছবি

পদ্মা সেতু রক্ষণাবেক্ষণে গঠিত হবে সরকারি কোম্পানি

ছবি

ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির টোল না নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

ছবি

এই দেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান হবে না : র‍্যাব ডিজি

ছবি

ফেয়ার এপ্রুভালটা সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্থরিটিই দিয়ে থাকে : আটাব মহাসচিব আসফিয়া জান্নাত সালেহ

ছবি

পছন্দমতো না হলে অনেক বিদেশি ঋণপ্রস্তাব আমরা ফিরিয়ে দেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি, কারও রক্ষা নেই : সংসদে প্রধানমন্ত্রী

ছবি

বিডিনগের অষ্টাদশ সম্মেলনের রেজিস্ট্রেশন চলছে

tab

জাতীয়

২০৩০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াবে : গবেষণা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

জলবায়ুর পরিবর্তন, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াবে, আর ২০৫০ সালের মধ্যে তা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ তাপদাহের পূর্বাভাস থেকে দেখা যায় বাংলাদেশের তাপমাত্রা দৈনিক গড় উষ্ণায়নের চেয়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেশি বাড়বে এবং শীতকালে তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালের চেয়ে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি বাড়বে।

মঙ্গলবার পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংস্থা এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) জানায়, চলতি বছরের ১৭ থেকে ২৩ এপ্রিল, রাজধানী ও অন্যান্য জায়গার গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত ৩০ বছরের তুলনায় চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। গত ৪৪ বছরে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই গড় তাপমাত্রা আরও দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে, এবং ২০৫০ সালের মধ্যে গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাবদাহের কারণে বাংলাদেশে তাপমাত্রা গত ৫০ বছরে বেড়েছে। তাপামাত্রা বাড়ার পেছনে দায়ী বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, জলবায়ুর পরিবর্তন, জীবাশ্ম জ্বালানি ও শিল্পকারখানা থেকে কার্বন নির্গমন বৃদ্ধি, যা গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, জলবায়ুর ওপর সমুদ্রের প্রভাব।

গবেষণা বলছে, এই ধরনের তীব্র দাবদাহের ঘটনা প্রায় প্রতি দশকে পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এই প্রবণতা অনুসরণ করে, অনুমান করা যায় যে, ২০৩৪ সালের দিকে আরেকটি চরম তাপপ্রবাহ ঘটতে পারে। ১৯৭২ সাল থেকে দাবদাহ ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। বর্তমানে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের তা ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালে দাবদাহের কারণে প্রতিদিন ১২০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০৩০ সালে এই তাপপ্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে এবং বয়স্কদের মধ্যে দাবদাহ জনিত কারণে ২০৮০ সালের মধ্যে প্রতি এক লাখে ৩০ জনের মৃত্যু হতে পারে।

গবেষণায় আরও জানা গেছে যে, ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ তাপপ্রবাহের কারণে অনেকেই স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন কিন্তু এই সমস্যা মোকাবিলার বিষয়ে তাদের সচেতনতার অভাব রয়েছে।

দাবদাহের ফলে যে প্রভাব

অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে বাংলাদেশে হিটস্ট্রোক এবং শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০০৫ এবং ২০২৪ সালে দাবদাহের ফলে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছর সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ প্রভাবিত হয়েছে। এবং অন্তত ১৫ জন দাবদাহের কারণে রোগে মারা যায়। দাবদাহে দুই দিন পর কলেরার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। দাবদাহে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব বাড়ে, যা ডায়রিয়া রোগসৃষ্টির প্রধান কারণ। দাবদাহে মশা দ্বারা সংঘটিত রোগের প্রভাব বাড়ায়।

দাবদাহ পরিবেশ, কৃষিক্ষেত্র এবং শহরাঞ্চলের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। কৃষিজমির উপর অতিরিক্ত চাপ, বন উজাড় এবং শহরাঞ্চলে দাবদাহ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে কৃষিখাতে ক্ষতিসাধন করছে, যেমন ২০২১ সালের দাবদাহে ২১ হাজার হেক্টরের বেশি ধান নষ্ট হয়েছে।

যা করণীয়

এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারপারসন ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, যদি দাবদাহের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে তবে ভবিষ্যতে তাপমাত্রা আমাদের জন্য অসহনীয় হবে। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর মাধ্যমে তাপপ্রবাহ প্রবণতা কমানো সম্ভব এবং এই লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী নীতি বাস্তবায়ন করা জরুরি।

সংস্থাটির মহাসচিব ও সিনিয়র উপদেষ্টা ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, দাবদাহের ফলে লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ফসলের ক্ষতি, ফলন হ্রাস এবং খাদ্যের দাম বেড়ে যায়। অতিরিক্ত দাবদাহ গ্রামাঞ্চলের পশুপালনকে প্রভাবিত করে ও পানির অভাব সৃষ্টি করে। এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য তাপ-প্রতিরোধী ফসল, কৃষি ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করা উচিত। এছাড়াও আমাদের টেকসই ও পরিবেশ-বান্ধব নগর পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা বলেন, চলমান দাবদাহ স্বাস্থ্য, কৃষি এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এবং আমাদের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করার জন্য বর্তমান উচ্চ তাপমাত্রাকে কমিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

back to top