ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিতাড়িত হয়েছে ছাত্রলীগ। আজ বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর বারোটার মধ্যে ১৮টি হলের সবকটিতেই দখল নিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল দিবাগত রাত বারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা ওই হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বের করে দেন। এরপর একে একে শামসুন্নাহার হল, সুফিয়া কামাল হল, কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বের করে দেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল দখলে নেয় সংস্কারের পক্ষের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার ভোরে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল দখলে নেয়ার পর একে একে বঙ্গবন্ধু হল বিজয় একাত্তর হল, জসীম উদ্দিন হল, সূর্য সেন হল, মহসীন হল, এফ রহমান হল, এস এম হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বের করে দেয় শিক্ষার্থীরা।
হল দখলের খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর পরই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রাত থেকেই হল ছাড়া শুরু করেন। হল ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা, হল ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী সবাই হল ছেড়ে বের হয়ে আসেন। এরপর শিক্ষার্থীরা তাদের সবার রুমের সকল জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন আর সব বাইরে ফেলে দেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সব হল এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের দখলে। তবে পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসের মোড়ে মোড়ে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কবি জসিম উদ্দীনন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের রুম, বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের রুম আর সূর্যসেন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়নের রুম থাকায় সেসব রুমও ভাংচুর চালিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সূর্যসেন হলের ৩৪৪ নং রুম থেকে এই অস্ত্র পাওয়া যায় বলে অভিযোগ। তার রুম ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা এটা উদ্ধার করেন।
শয়নের রুম ছাড়াও ওই হল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী শামীমুল ইসলামের কক্ষ থেকেও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
কবি জসীমউদ্দিন হলের তিনটি রুম থেকে তিনজন বহিরাগতকে বের করে বেধড়ক পিটিয়ে হল ছাড়া করা হয়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের রুমের জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
বিভিন্ন কক্ষ থেকে রেফ্রিজারেটর, এলইডি টিভি, এয়ারকুলার উদ্ধার করে ভাংচুর চালানো হয়। যেগুলো হলে রাখা নিষিদ্ধ ছিল।
সবগুলো হলে প্রাধ্যক্ষের স্বাক্ষর সংবলিত বিবৃতির মাধ্যমে সব হল ‘রাজনীতি মুক্ত’ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিতাড়িত হয়েছে ছাত্রলীগ। আজ বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর বারোটার মধ্যে ১৮টি হলের সবকটিতেই দখল নিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল দিবাগত রাত বারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা ওই হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বের করে দেন। এরপর একে একে শামসুন্নাহার হল, সুফিয়া কামাল হল, কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বের করে দেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল দখলে নেয় সংস্কারের পক্ষের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার ভোরে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল দখলে নেয়ার পর একে একে বঙ্গবন্ধু হল বিজয় একাত্তর হল, জসীম উদ্দিন হল, সূর্য সেন হল, মহসীন হল, এফ রহমান হল, এস এম হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বের করে দেয় শিক্ষার্থীরা।
হল দখলের খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর পরই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রাত থেকেই হল ছাড়া শুরু করেন। হল ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা, হল ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী সবাই হল ছেড়ে বের হয়ে আসেন। এরপর শিক্ষার্থীরা তাদের সবার রুমের সকল জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন আর সব বাইরে ফেলে দেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সব হল এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের দখলে। তবে পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসের মোড়ে মোড়ে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কবি জসিম উদ্দীনন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের রুম, বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের রুম আর সূর্যসেন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়নের রুম থাকায় সেসব রুমও ভাংচুর চালিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সূর্যসেন হলের ৩৪৪ নং রুম থেকে এই অস্ত্র পাওয়া যায় বলে অভিযোগ। তার রুম ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা এটা উদ্ধার করেন।
শয়নের রুম ছাড়াও ওই হল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী শামীমুল ইসলামের কক্ষ থেকেও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
কবি জসীমউদ্দিন হলের তিনটি রুম থেকে তিনজন বহিরাগতকে বের করে বেধড়ক পিটিয়ে হল ছাড়া করা হয়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের রুমের জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
বিভিন্ন কক্ষ থেকে রেফ্রিজারেটর, এলইডি টিভি, এয়ারকুলার উদ্ধার করে ভাংচুর চালানো হয়। যেগুলো হলে রাখা নিষিদ্ধ ছিল।
সবগুলো হলে প্রাধ্যক্ষের স্বাক্ষর সংবলিত বিবৃতির মাধ্যমে সব হল ‘রাজনীতি মুক্ত’ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।