alt

জাতীয়

বিচারবিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর, আদালতের রায়ের জন্য ধৈর্য্যের আহ্বান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে সংঘাতে মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি আন্দোলনকারীদের কোটার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈয্য ধরার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন ‘আমার বিশ্বাস তারা ন্যায়বিচার পাবে, হতাশ হতে হবে না।’

কাদের উস্কানিতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলো, কারা কোন উদ্দেশ্যে দেশকে একটি অরাজক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিল, তা তদন্ত করে বের করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি, যারা হত্যাকাণ্ড ও লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, এরা যে হোক না কেন তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডসহ যে সকল অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে সে সকল বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।’

আদালতের রায়ে কোটা বাতিলের পর হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের আপিল করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আদালতে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আদালত শিক্ষার্থীদের কোনো বক্তব্য থাকলে শোনার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।

‘এই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের সুযোগ রয়েছে। এই আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের সুযোগ থাকা স্বত্বেও রাস্তায় আন্দোলনে নেমে দুষ্কৃতিকারীদের সংঘাতের সুযোগ তৈরি করে দেবেন না।’

কোটা সংস্কার আন্দোলন, পরে সংঘর্ষ এবং হতাহতের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হলো এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তাদের উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করবার জন্য বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে। যেহেতু বিষয়টি উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়েছে তাই সকলকে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্দোলনের পেছনে দুষ্কৃতিকারীরা আছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো কিছু মহল এই আন্দোলনের সুযোগটা নিয়ে অনাকা‌ঙ্ক্ষিত উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করবার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকা‌ণ্ডে লিপ্ত হয়। এর ফলে এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে যে সকল ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। আপনজন হারাবার বেদনা যে কতটা কষ্টের তা আমার থেকে আর কে বেশি জানে?’

যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। যে সকল ঘটনাগুলো ঘটেছে তা কখনই কাম্য ছিল না। চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীরা বহুতল ভবনের ছাদ থেকে ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে নিচে ছুঁড়ে ফেলে অনেক ছাত্রদের হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। তাদের উপর লাঠিপেটা এবং ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে, একজন মৃত্যুবরণ করেছে, অনেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ঢাকা, রংপুর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবন ও ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করা হয়।’

সাধারণ পথচারী, দোকানিদের ‘আক্রমণ’, এমনকি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে ‘বাধা প্রদান’ করা হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেয়েদের হলে ছাত্রীদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে এবং লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। আবাসিক হলে প্রভোস্টদের হুমকি দেওয়া ও আক্রমণ করা হয়েছে। শিক্ষকদের উপর চড়াও হয়ে তাদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে।’

আদালতের রায়ে সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পর আবার কোটা পুনর্বহাল হলে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যশীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচির পাশাপাশি আন্দোলনকারীরা অবরোধে নামেন। ধারাবাহিক কর্মসূচির মধ্যে গত মঙ্গলবার দেশজুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে শিক্ষার্থী, পথচারীসহ ছয়জন নিহত হন, আহত হন কয়েকশ মানুষ।

এমন প্রেক্ষাপটে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এসে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। তাদের পরিবারের সদস্যের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।

ছবি

দেশব্যাপী হাইটেক পার্কের নাম পরিবর্তন করে জেলাভিত্তিক নামকরণের সিদ্ধান্ত

ছবি

উপদেষ্টাদের জন্য দেশ-বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে নির্দেশনা জারি

ছবি

গাজীপুরে শেখ হাসিনার নামে আরও এক হত্যা মামলা

ছবি

পুলিশ বাহিনীর সংস্কারে যুক্তরাজ্য থেকে বিশেষজ্ঞ দল আসছে: হাই কমিশনার

এস আলমের সম্পদ কিনবেন না, সম্পদ বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা শোধ করা হবে: গভর্নর

ছবি

সাবেক তিন প্রধান বিচারপতিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ছবি

কমছে বন্যার পানি, সচল হচ্ছে মোবাইল অপারেটরদের অচল টাওয়ার

ছবি

ড. ইউনূসকে এরদোয়ানের ফোন, বন্যার্তদের মানবিক সহায়তার আশ্বাস

ছবি

বন্যা : নোয়াখালীতে অবনতি, ফেনীতে উন্নতি

ছবি

ড. ইউনূস বাংলাদেশের উন্নয়নে সক্ষম: সৌদি রাষ্ট্রদূত

ছবি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে রিট শুনানি ১ সেপ্টেম্বর

ছবি

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাতকে আটক নিয়ে ধূম্রজাল

ছবি

জামায়াতের আমির : ' সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করে লক্ষ্মণ সেনের মতো দেশত্যাগ উনার জন্য মানানসই হয়নি'।

ছবি

ত্রাণ বিতরণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে বাংলালিংকের সমঝোতা

ছবি

বন্যার্তদের পাশে শাওমি বাংলাদেশ

ছবি

লন্ডনে বুদ্ধিবৃত্তিক অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের সাদিদ শাহরিয়ারের গোল্ড মেডেল

ছবি

গাজী টায়ারস: ৪৮ ঘন্টা ধরে জ্বলছে ভবন, দীর্ঘ হচ্ছে স্বজনদের অপেক্ষা, ছড়াচ্ছে গুজব

ছবি

গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন

ছবি

হত্যা মামলায় ৬ দিনের রিমান্ডে মেনন

ছবি

আরও একটি করে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন ৪ উপদেষ্টা

ছবি

৭ দিনের রিমান্ডে জাসদ সভাপতি ইনু

ছবি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ডিসিদের তদারকির নির্দেশ

ছবি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রিট বাতিল চেয়ে যা বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল

ছবি

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত গ্রেফতার

ছবি

ডিএমপির উঁচু পদে আরো রদবদল

ছবি

বন্যায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু

ছবি

পলকের কাছে পাসওয়ার্ড, আইসিটি বিভাগের ফেইসবুক-ইউটিউব বন্ধ

ছবি

ঢাকাসহ ২৪ জেলায় নতুন পুলিশ সুপার হলেন যারা

ছবি

২৪ জেলার পুলিশ সুপারকে বদলি

ছবি

‘ফারাক্কার গেট খোলায় বাংলাদেশে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি’

ছবি

জাতীয় কবির ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ছবি

মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ্যক্রম সংস্কার চেয়ে হাইকোর্টে রিট

ছবি

‘খাবার দরকার নাই, উদ্ধার করে নিয়ে যান’

ছবি

আওয়ামী লীগ নেতার ভাইয়ের দখলে থাকা বন বিভাগের ৫৫ একর জমি উদ্ধার

ছবি

ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খোলার বিষয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে: ভারতের বক্তব্য

tab

জাতীয়

বিচারবিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর, আদালতের রায়ের জন্য ধৈর্য্যের আহ্বান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে সংঘাতে মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি আন্দোলনকারীদের কোটার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈয্য ধরার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন ‘আমার বিশ্বাস তারা ন্যায়বিচার পাবে, হতাশ হতে হবে না।’

কাদের উস্কানিতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলো, কারা কোন উদ্দেশ্যে দেশকে একটি অরাজক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিল, তা তদন্ত করে বের করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি, যারা হত্যাকাণ্ড ও লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, এরা যে হোক না কেন তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডসহ যে সকল অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে সে সকল বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।’

আদালতের রায়ে কোটা বাতিলের পর হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের আপিল করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আদালতে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আদালত শিক্ষার্থীদের কোনো বক্তব্য থাকলে শোনার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।

‘এই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের সুযোগ রয়েছে। এই আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের সুযোগ থাকা স্বত্বেও রাস্তায় আন্দোলনে নেমে দুষ্কৃতিকারীদের সংঘাতের সুযোগ তৈরি করে দেবেন না।’

কোটা সংস্কার আন্দোলন, পরে সংঘর্ষ এবং হতাহতের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হলো এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তাদের উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করবার জন্য বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে। যেহেতু বিষয়টি উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়েছে তাই সকলকে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্দোলনের পেছনে দুষ্কৃতিকারীরা আছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো কিছু মহল এই আন্দোলনের সুযোগটা নিয়ে অনাকা‌ঙ্ক্ষিত উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করবার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকা‌ণ্ডে লিপ্ত হয়। এর ফলে এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে যে সকল ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। আপনজন হারাবার বেদনা যে কতটা কষ্টের তা আমার থেকে আর কে বেশি জানে?’

যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। যে সকল ঘটনাগুলো ঘটেছে তা কখনই কাম্য ছিল না। চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীরা বহুতল ভবনের ছাদ থেকে ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে নিচে ছুঁড়ে ফেলে অনেক ছাত্রদের হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। তাদের উপর লাঠিপেটা এবং ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে, একজন মৃত্যুবরণ করেছে, অনেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ঢাকা, রংপুর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবন ও ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করা হয়।’

সাধারণ পথচারী, দোকানিদের ‘আক্রমণ’, এমনকি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে ‘বাধা প্রদান’ করা হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেয়েদের হলে ছাত্রীদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে এবং লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। আবাসিক হলে প্রভোস্টদের হুমকি দেওয়া ও আক্রমণ করা হয়েছে। শিক্ষকদের উপর চড়াও হয়ে তাদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে।’

আদালতের রায়ে সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পর আবার কোটা পুনর্বহাল হলে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যশীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচির পাশাপাশি আন্দোলনকারীরা অবরোধে নামেন। ধারাবাহিক কর্মসূচির মধ্যে গত মঙ্গলবার দেশজুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে শিক্ষার্থী, পথচারীসহ ছয়জন নিহত হন, আহত হন কয়েকশ মানুষ।

এমন প্রেক্ষাপটে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এসে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। তাদের পরিবারের সদস্যের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।

back to top