গাজী টায়ারস কারখানায় আগুন লাগার প্রায় ৩২ ঘণ্টা পর তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার ছয়তলা ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
টায়ার প্রস্তুতকারী কারখানাটি যে জমিতে স্থাপিত তা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে গাজী গ্রুপের দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে জানা যায়। কারখানাটির মালিক সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। গত রোববার তাকে গ্রেপ্তারের পর কারখানায় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, তার গ্রেপ্তারের পর কারখানাটির অদূরে একটি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে রোববার কয়েকশ মানুষ জড়ো করা হয়।
যদিও ঘোষণায় লুটপাট না করার জন্য সতর্ক করা হয়। কিন্তু কারখানাটিতে দিনভর লুটপাট হয়। একাধিক দল লুটপাটে অংশ নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। রাতে লুটপাটকারীদের একটি দল কারখানার ভেতরের একটি ছয়তলা ভবনে আগুন দেয়। লুটপাট বা অগ্নিকা-ের ঘটনার সময় সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
যে প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়া হয়েছে তার মালিকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকতে পারে। কারখানা কর্তৃপক্ষ হয়তো নানা অনিয়মে জড়িতে থাকতে পারে। তবে যে অভিযোই থাক তার বিচার প্রচলিত আইনে করতে হবে। এবং এজন্য আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তার বিচার আদালত ভিন্ন আর কেউ করতে পারে না। অভিযোগ বা ক্ষোভ থাকলেই কোনো প্রতিষ্ঠান লুটপাট করা যায় কিনা, সেখানে আগুন দেয়া যায় কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব।
গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই দেশের অনেক সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় লুটপাট করতে আর আগুন দিতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, ক্ষোভের কারণে মানুষ এমনটা করছে। লুটপাট করা বা আগুন দেয়া শুধুই কি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নাকি এটা ফৌজদারি অপরাধ সেটা আমরা জানতে চাইব।
ক্ষোভ প্রকাশের নামে লুটপাট করা বা আগুন দেয়াকে কোনোভাবেই সমর্থন করা চলে না। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে এটা বন্ধ করতে হবে। এখনি এর লাগাম টানা না গেলে এই অপচর্চা আরও ছড়িয়ে পড়বে। তখন বড় বিপদ হবে। সেটা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্যও ভালো হবে না।
কারা লুটপাট করছে, কারা আগুন দিচ্ছে সেটা চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশ এখনো নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। কারখানাটি দিনভর লুটপাট করা হয়েছে কিন্তু সেখানে পুলিশ যায়নি। পুলিশ কেন এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না সেটা মানুষ বোঝে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। এভাবে চলতে পারে না, চলতে দেয়া যায় না। পুলিশকে তার দায়িত্ব পালন করতে বলতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে যেভাবেই হোক দ্রুত সক্রিয় করতে হবে।
বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০২৪
গাজী টায়ারস কারখানায় আগুন লাগার প্রায় ৩২ ঘণ্টা পর তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার ছয়তলা ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
টায়ার প্রস্তুতকারী কারখানাটি যে জমিতে স্থাপিত তা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে গাজী গ্রুপের দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে জানা যায়। কারখানাটির মালিক সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। গত রোববার তাকে গ্রেপ্তারের পর কারখানায় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, তার গ্রেপ্তারের পর কারখানাটির অদূরে একটি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে রোববার কয়েকশ মানুষ জড়ো করা হয়।
যদিও ঘোষণায় লুটপাট না করার জন্য সতর্ক করা হয়। কিন্তু কারখানাটিতে দিনভর লুটপাট হয়। একাধিক দল লুটপাটে অংশ নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। রাতে লুটপাটকারীদের একটি দল কারখানার ভেতরের একটি ছয়তলা ভবনে আগুন দেয়। লুটপাট বা অগ্নিকা-ের ঘটনার সময় সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
যে প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়া হয়েছে তার মালিকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকতে পারে। কারখানা কর্তৃপক্ষ হয়তো নানা অনিয়মে জড়িতে থাকতে পারে। তবে যে অভিযোই থাক তার বিচার প্রচলিত আইনে করতে হবে। এবং এজন্য আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তার বিচার আদালত ভিন্ন আর কেউ করতে পারে না। অভিযোগ বা ক্ষোভ থাকলেই কোনো প্রতিষ্ঠান লুটপাট করা যায় কিনা, সেখানে আগুন দেয়া যায় কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব।
গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই দেশের অনেক সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় লুটপাট করতে আর আগুন দিতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, ক্ষোভের কারণে মানুষ এমনটা করছে। লুটপাট করা বা আগুন দেয়া শুধুই কি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নাকি এটা ফৌজদারি অপরাধ সেটা আমরা জানতে চাইব।
ক্ষোভ প্রকাশের নামে লুটপাট করা বা আগুন দেয়াকে কোনোভাবেই সমর্থন করা চলে না। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে এটা বন্ধ করতে হবে। এখনি এর লাগাম টানা না গেলে এই অপচর্চা আরও ছড়িয়ে পড়বে। তখন বড় বিপদ হবে। সেটা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্যও ভালো হবে না।
কারা লুটপাট করছে, কারা আগুন দিচ্ছে সেটা চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশ এখনো নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। কারখানাটি দিনভর লুটপাট করা হয়েছে কিন্তু সেখানে পুলিশ যায়নি। পুলিশ কেন এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না সেটা মানুষ বোঝে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। এভাবে চলতে পারে না, চলতে দেয়া যায় না। পুলিশকে তার দায়িত্ব পালন করতে বলতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে যেভাবেই হোক দ্রুত সক্রিয় করতে হবে।