সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ১২টি দেশের মুদ্রা এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দুটি দেশের মুদ্রা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। নৌপথে পালানোর সময় তল্লাশি করে এসব মুদ্রাসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে মুদ্রাগুলো জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে রিমান্ড আবেদনে এসব তথ্য জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক মো. সজীব মিয়া।
রিমান্ড আবেদনের বর্ণনায় বলা হয়েছে, সালমান এফ রহমানের কাছে থেকে ১২ হাজার ৬২৪ মার্কিন ডলার, ৬২০ সুইস ফ্রাঙ্ক, সাড়ে ৮ হাজার দিরহাম, উজবেকিস্তানের ১৩ লাখ সোম, ১১ হাজার ৬৫০ রিয়াল, ৭৭৯ সিঙ্গাপুরী ডলার, দেড়শ’ পাউন্ড, ১ হাজার ৩২১ ইউরো, ৫০ হাজার টাকা, ভুটানের ৬ হাজার ২৩০ গুলট্রাম, ১ হাজার রুপি, থাইল্যান্ডের ৩ হাজার ৩২০ বাথ জব্দ করা রয়েছে।
গ্রেপ্তারের সময় সালমান এফ রহমানের কাছ থেকে পাঁচটি সবুজ রঙের পাসপোর্ট ও একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়ার তথ্য রিমান্ড আবেদন যুক্ত করা হয়েছে।
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে ১৭ হাজার ৫১২ ইউএস ডলার, ৭২৬ সিঙ্গাপুরী ডলার ও তিনটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়া গেছে বলে রিমান্ড আবেদন বলা হয়েছে।
শাহজাহান আলী হত্যায় ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ এই দুই নেতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদের আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে তার মা আয়শা বেগম (৪৫) একটি মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী শাহজাহান আলী নিউমার্কেট থানার মিরপুর রোডের বলাকা সিনেমা হলের গলির মুখে পাপোশের দোকানে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো গত ১৬ জুলাই সকাল ৯টার দিকে দোকানে কাজ করার জন্য আসেন।
ওই দিন সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা একজন মামলার বাদীকে মোবাইলে কল দিয়ে জানান যে, শাহজাহান আলী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য শাহজাহানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ছেলের মরদেহ শনাক্ত করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট ২০২৪
সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ১২টি দেশের মুদ্রা এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দুটি দেশের মুদ্রা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। নৌপথে পালানোর সময় তল্লাশি করে এসব মুদ্রাসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে মুদ্রাগুলো জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে রিমান্ড আবেদনে এসব তথ্য জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক মো. সজীব মিয়া।
রিমান্ড আবেদনের বর্ণনায় বলা হয়েছে, সালমান এফ রহমানের কাছে থেকে ১২ হাজার ৬২৪ মার্কিন ডলার, ৬২০ সুইস ফ্রাঙ্ক, সাড়ে ৮ হাজার দিরহাম, উজবেকিস্তানের ১৩ লাখ সোম, ১১ হাজার ৬৫০ রিয়াল, ৭৭৯ সিঙ্গাপুরী ডলার, দেড়শ’ পাউন্ড, ১ হাজার ৩২১ ইউরো, ৫০ হাজার টাকা, ভুটানের ৬ হাজার ২৩০ গুলট্রাম, ১ হাজার রুপি, থাইল্যান্ডের ৩ হাজার ৩২০ বাথ জব্দ করা রয়েছে।
গ্রেপ্তারের সময় সালমান এফ রহমানের কাছ থেকে পাঁচটি সবুজ রঙের পাসপোর্ট ও একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়ার তথ্য রিমান্ড আবেদন যুক্ত করা হয়েছে।
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে ১৭ হাজার ৫১২ ইউএস ডলার, ৭২৬ সিঙ্গাপুরী ডলার ও তিনটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়া গেছে বলে রিমান্ড আবেদন বলা হয়েছে।
শাহজাহান আলী হত্যায় ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ এই দুই নেতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদের আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে তার মা আয়শা বেগম (৪৫) একটি মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী শাহজাহান আলী নিউমার্কেট থানার মিরপুর রোডের বলাকা সিনেমা হলের গলির মুখে পাপোশের দোকানে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো গত ১৬ জুলাই সকাল ৯টার দিকে দোকানে কাজ করার জন্য আসেন।
ওই দিন সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা একজন মামলার বাদীকে মোবাইলে কল দিয়ে জানান যে, শাহজাহান আলী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য শাহজাহানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ছেলের মরদেহ শনাক্ত করেন তিনি।