চালের বর্তমান দাম এক বছর আগের তুলনায়ও বেশি
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, স্মরণকালের ‘ভয়াবহ’ বন্যায় বেশ প্রভাব পড়েছে দেশের চালের বাজারে। যার কারণে চিকন থেকে শুরু করে মোটা চাল, সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে।
বন্যার এই নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে দেশের চাল উৎপাদনে। এবার আউশ মৌসুমে তিন লাখ টন এবং আমন মৌসুমে চার লাখ টন চালের উৎপাদন কমতে পারে। সব মিলিয়ে এই দুই মৌসুমে চালের উৎপাদন কম হতে পারে সাত লাখ টন।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক কৃষিসেবা বিভাগের ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) চলতি মাসের গ্লোবাল অ্যাগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের (গেইন) ‘গ্রেইন অ্যান্ড আপডেট’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এই পূর্বাভাস এমন একসময়ে এলো যখন বিশ্ববাজারে চালের দাম দেশের বাজারের চেয়ে বেশি। এমন আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত চালের বাজারে অস্থিরতা’ থাকতে পারে। অন্যদিকে গত বছরের তুলনায় কমেছে সরকারি গুদামে চালের মজুতও।
বাংলাদেশের উজানে ভারত থেকে আসা ঢলের কারণে মুহুরী, কহুয়া, সিলোনিয়া ও গোমতী নদীর তীরবর্তী এলাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক মূল্যায়ণ অনুযায়ী দুই লাখ হেক্টর জমির আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়ে চলতি বিপণন বছরে খরা, তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড় ও কীটপতঙ্গের আক্রমণ মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও বোরো ও সঙ্গি ফসলের ফলণ খুব ভালো ছিল।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা আউশ আবাদের পূর্বাভাস কমিয়ে এনেছে নয় লাখ হেক্টর জমিতে। এটি আগের পূর্বাভাসের তুলনায় ১৮ দশমিক দুই শতাংশ কম।
সে অনুযায়ী উৎপাদন ২১ লাখ টন থেকে ১৬ শতাংশ কম হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র দিয়ে বলা হয়েছে, এ বছর চালের মোট উৎপাদন দুই কোটি পাঁচ লাখ টন।
ইউএসডিএ বলেছে, গত জুন ও জুলাইয়ের শুরুতে আকস্মিক বন্যার কারণে এই লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ভারী বর্ষণ ও বাংলাদেশের উত্তরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক এলাকায় আউশের খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউএসডিএর প্রতিবেদন অনুসারে, কৃষকরাও আউশ চাষে কম আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কারণ অনেকে সরিষার পর বোরো আবাদ করেছেন। ফলে আউশ চাষে পর্যাপ্ত সময় থাকছে না।
এতে আরও বলা হয়, আউশ চাষে কৃষকদের আগ্রহ কম দেখানোর আরেক কারণ হচ্ছে ধানের রোগবালাই ও পোকার উপদ্রব বেড়ে যাওয়া। আউশের ভালো জাতের অভাবও আবাদ কমে যাওয়ার আরেক কারণ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আউশ চাষে উৎসাহিত করতে কৃষকদের বীজ ও সারসহ প্রণোদনা দিলেও খুব কম কৃষক তা গ্রহণ করেছেন।
‘এর পরিবর্তে কৃষকরা আমন চাষকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন’ বলে জানাচ্ছে ইউএসডিএ।
ইউএসডিএ জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোয় কৃষকরা সাধারণত আবহাওয়ার কারণে প্রায় একমাস পর আমন চাষ শুরু করেন। তারা মৌসুমি বন্যার পানি কমার অপেক্ষায় থাকেন।
এই জেলাগুলোয় সাধারণত আগস্টে আমন চাষ শুরু হয়। তা চলে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
চালের বর্তমান দাম এক বছর আগের তুলনায়ও বেশি
রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, স্মরণকালের ‘ভয়াবহ’ বন্যায় বেশ প্রভাব পড়েছে দেশের চালের বাজারে। যার কারণে চিকন থেকে শুরু করে মোটা চাল, সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে।
বন্যার এই নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে দেশের চাল উৎপাদনে। এবার আউশ মৌসুমে তিন লাখ টন এবং আমন মৌসুমে চার লাখ টন চালের উৎপাদন কমতে পারে। সব মিলিয়ে এই দুই মৌসুমে চালের উৎপাদন কম হতে পারে সাত লাখ টন।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক কৃষিসেবা বিভাগের ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) চলতি মাসের গ্লোবাল অ্যাগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের (গেইন) ‘গ্রেইন অ্যান্ড আপডেট’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এই পূর্বাভাস এমন একসময়ে এলো যখন বিশ্ববাজারে চালের দাম দেশের বাজারের চেয়ে বেশি। এমন আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত চালের বাজারে অস্থিরতা’ থাকতে পারে। অন্যদিকে গত বছরের তুলনায় কমেছে সরকারি গুদামে চালের মজুতও।
বাংলাদেশের উজানে ভারত থেকে আসা ঢলের কারণে মুহুরী, কহুয়া, সিলোনিয়া ও গোমতী নদীর তীরবর্তী এলাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক মূল্যায়ণ অনুযায়ী দুই লাখ হেক্টর জমির আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়ে চলতি বিপণন বছরে খরা, তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড় ও কীটপতঙ্গের আক্রমণ মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও বোরো ও সঙ্গি ফসলের ফলণ খুব ভালো ছিল।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা আউশ আবাদের পূর্বাভাস কমিয়ে এনেছে নয় লাখ হেক্টর জমিতে। এটি আগের পূর্বাভাসের তুলনায় ১৮ দশমিক দুই শতাংশ কম।
সে অনুযায়ী উৎপাদন ২১ লাখ টন থেকে ১৬ শতাংশ কম হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র দিয়ে বলা হয়েছে, এ বছর চালের মোট উৎপাদন দুই কোটি পাঁচ লাখ টন।
ইউএসডিএ বলেছে, গত জুন ও জুলাইয়ের শুরুতে আকস্মিক বন্যার কারণে এই লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ভারী বর্ষণ ও বাংলাদেশের উত্তরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক এলাকায় আউশের খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউএসডিএর প্রতিবেদন অনুসারে, কৃষকরাও আউশ চাষে কম আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কারণ অনেকে সরিষার পর বোরো আবাদ করেছেন। ফলে আউশ চাষে পর্যাপ্ত সময় থাকছে না।
এতে আরও বলা হয়, আউশ চাষে কৃষকদের আগ্রহ কম দেখানোর আরেক কারণ হচ্ছে ধানের রোগবালাই ও পোকার উপদ্রব বেড়ে যাওয়া। আউশের ভালো জাতের অভাবও আবাদ কমে যাওয়ার আরেক কারণ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আউশ চাষে উৎসাহিত করতে কৃষকদের বীজ ও সারসহ প্রণোদনা দিলেও খুব কম কৃষক তা গ্রহণ করেছেন।
‘এর পরিবর্তে কৃষকরা আমন চাষকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন’ বলে জানাচ্ছে ইউএসডিএ।
ইউএসডিএ জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোয় কৃষকরা সাধারণত আবহাওয়ার কারণে প্রায় একমাস পর আমন চাষ শুরু করেন। তারা মৌসুমি বন্যার পানি কমার অপেক্ষায় থাকেন।
এই জেলাগুলোয় সাধারণত আগস্টে আমন চাষ শুরু হয়। তা চলে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত।