alt

জাতীয়

কর ফাঁকি

বেসিক ব্যাংকের বাচ্চু ও স্ত্রী-পুত্রদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু এবং তার পরিবারের চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অর্থ আত্মসাৎ ও কর ফাঁকির মামলায় বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র জ্যেষ্ঠ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। দুদকের মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বাচ্চু ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন-বাচ্চুর স্ত্রী শিরিন আক্তার, ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না এবং দুই ছেলে শেখ রাফা হাই ও শেখ ছাবিদ হাই অনিক। দুদক ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর এ মামলা করে এবং ২০২৪ সালের ৫ জুন তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র জমা দেয়। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আবদুল হাই বাচ্চু ২০১২ সালের ৮ জুলাই ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকার ৬ নম্বর প্লটের ৩০.২৫ কাঠা জমি ১১০ কোটি টাকায় কেনার জন্য চুক্তি করেন।

চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের সময় পরিশোধিত অর্থ ১০ কোটি টাকা। চুক্তিপত্র অনুযায়ী দুটি দলিলে ভূমির দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। যার মধ্যে ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর প্রথম দলিলে ১৮ কাঠা জমির দাম ৯ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে গ্রহীতা শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু, শেখ শাহরিয়ার পান্না ও শিরিন আক্তার। দ্বিতীয় দলিলে ওই একই বছরে ১২.২৫ কাঠার দাম ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। যেখানে গ্রহীতা হলেন শেখ ছাবিদ হাই অনিক ও শেখ রাফা হাই। অর্থাৎ জমির মোট রেজিস্ট্রেশন মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। রেজিস্ট্রেশনে মূল্য ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কম দেখিয়ে অবৈধ আয় গোপন করার চেষ্টা করেছেন তিনি। এছাড়া জমির মূল্য কম দেখিয়ে সরকারের ৮ কোটি ৫২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার রাজস্বও ফাঁকি দিয়েছেন।

আরও যত অভিযোগ

জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাই বাচ্চুকে ২০০৯ সালে এক সময়ের লাভজনক ব্যাংক বেসিকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর থেকে ব্যাংকটির ঢাকার গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখায় বড় অঙ্কের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনার ঘটনা ঘটতে থাকে। রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে একসময় ভালো অবস্থানে থাকা বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকার ঋণ অনিয়মের খবর সামনে এলে ব্যাংক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। আবদুল হাই বাচ্চু চেয়ারম্যান থাকাকালে বেনামি ও ভুয়া ঋণ দিয়ে বিপুল এসব অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।

সংবাদমাধ্যমে একের পর এক এসব খবর প্রকাশিত হলে দুদক তদন্তে নেমে ঋণ অনিয়মের ঘটনা খুঁজে পায়। পরে এসব ঘটনায় ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৫৯টি মামলা করে। এগুলোতে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ঋণ গ্রহীতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়। তবে তখন সাবেক চেয়ারম্যানকে বাদ দেওয়া হয়। যদিও বিভিন্ন সময় তাকে দুদকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে ৫৮টিতে আসামি করা জয় তাকে।

এসব মামলায় দুদকের অনুসন্ধানপত্রে অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়া, ভুয়া মর্টগেজ, সম্পদের অতি মূল্যায়ন ও মর্টগেজ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বেসিক ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেছেন ও সহায়তা করেছেন।

দুদকের পাঁচজন কর্মকর্তা এসব মামলা অনুসন্ধান করে অভিযোগপত্র দিয়েছেন। ঋণের নামে অর্থ আত্মসাতের এসব ঘটনা ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত আবদুল হাই বাচ্চু চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে ঘটেছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর। সংবাদ মাধ্যমে এসব ঘটনা প্রকাশ হতে শুরু করলে ২০১৪ সালে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলাম ও উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোনায়েম খানকে সরিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করে। পরে আবদুল হাই বাচ্চু পদত্যাগ করেন বেসিক ব্যাংক থেকে। এসব অনিয়মের বিষয় সামনে আসার পর আবদুল হাই বাচ্চু ও তার পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে চলে যান।

ছবি

গরম ও সেচে বিদ্যুৎ সঙ্কটের শঙ্কা, দ্রুত বকেয়া পরিশোধের তাগিদ

জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

ছবি

নির্বাচনের সময়সীমা ঠিক করবে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো: জাতিসংঘের দূত

ছবি

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্তে সর্বদলীয় বৈঠক বৃহস্পতিবার

ছবি

অবৈধ বিদেশিদের বৈধ হওয়ার সময় মনে করিয়ে দিল সরকার

ছবি

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ: পদত্যাগের আহ্বান এবং তদন্তের দাবি

ছবি

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবর খালাস, মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই

হাসিনাসহ জড়িতদের কল রেকর্ডের ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ

ছবি

মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে জগন্নাথ শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার, চলবে শাটডাউন

পাঠ্যপুস্তকের প্রচ্ছদ থেকে “আদিবাসী” শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেওয়ায় প্রতিবাদ

ছবি

বাংলাদেশ-মেক্সিকো পণ্যবাহী কার্গো সেবা চালু করতে চাই: রাষ্ট্রদূত ফজল আনসারী

ছবি

জাকসু নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাবি উপাচার্যের মতবিনিময়, ১ ফেব্রুয়ারি তফসিল

এইচএমপি ভাইরাস সংক্রমক রোগী শনাক্ত এই মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় ঃ আতংক ও উদ্দেগের কারন নেই-ডাঃ মোস্তাক

ছবি

শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের কল রেকর্ডের ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকসু নির্বাচনের পরামর্শ চেয়েছেন উপাচার্য

ছবি

সেনাবাহিনীকে কাজ হস্তান্তরের আশ্বাসে অনশন প্রত্যাহার, বুধবার পর্যন্ত শাটডাউন

ছবি

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভ্যাট বৃদ্ধি ও আমদানির উদ্যোগ: খাদ্য উপদেষ্টা

ছবি

সীমান্তে বেড়া নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা, দিল্লিতে তলব বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে

ছবি

তিন দফা: পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের সামনে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

ছবি

পিএসসির ছয় নতুন সদস্যের নিয়োগ বাতিল

ছবি

সচিবালয়ের উদ্দেশ্যে জবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা

ছবি

পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম: শেখ হাসিনা ও পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

তাপমাত্রা আরও বাড়ল, কমতে পারে বুধবার থেকে

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না: হাইকোর্ট

ছবি

১ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, দেড়টায় সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রার ঘোষণা

ছবি

বায়ুদূষণের শীর্ষে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটার, ঢাকা দ্বিতীয়

কমিশনের সামগ্রিক মনোযোগ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে : ইসি

ভ্যাট বাড়লেও সাধারণ মানুষের ওপর খুব প্রভাব পড়বে না : প্রেস সচিব

টিউলিপের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অনুসন্ধান প্রয়োজন: সানডে টাইমসকে ড. ইউনূস

গণঅভ্যুত্থানের পর ২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন হাজার শিক্ষক ‘অবাঞ্ছিত’

ছবি

অর্থনীতির স্থিতিশীলতায় শুল্ক ও কর বৃদ্ধি

ছবি

দুর্নীতি ও অর্থপাচার অভিযোগে সমালোচনার মুখে ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের চেয়ারম্যান

ছাদ বাগান বৈশ্বিক উষ্ণতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি কার্যকর সমাধান : পরিবেশ উপদেষ্টা

গুলি চালানোর ঘটনায় কনস্টেবল কারাগারে

ছবি

সীমান্তে অপরাধ দমনে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা: প্রণয় ভার্মা

ছবি

শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান দীর্ঘায়িত হওয়া উচিত: মণি শঙ্কর আইয়ার

tab

জাতীয়

কর ফাঁকি

বেসিক ব্যাংকের বাচ্চু ও স্ত্রী-পুত্রদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু এবং তার পরিবারের চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অর্থ আত্মসাৎ ও কর ফাঁকির মামলায় বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র জ্যেষ্ঠ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। দুদকের মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বাচ্চু ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন-বাচ্চুর স্ত্রী শিরিন আক্তার, ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না এবং দুই ছেলে শেখ রাফা হাই ও শেখ ছাবিদ হাই অনিক। দুদক ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর এ মামলা করে এবং ২০২৪ সালের ৫ জুন তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র জমা দেয়। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আবদুল হাই বাচ্চু ২০১২ সালের ৮ জুলাই ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকার ৬ নম্বর প্লটের ৩০.২৫ কাঠা জমি ১১০ কোটি টাকায় কেনার জন্য চুক্তি করেন।

চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের সময় পরিশোধিত অর্থ ১০ কোটি টাকা। চুক্তিপত্র অনুযায়ী দুটি দলিলে ভূমির দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। যার মধ্যে ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর প্রথম দলিলে ১৮ কাঠা জমির দাম ৯ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে গ্রহীতা শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু, শেখ শাহরিয়ার পান্না ও শিরিন আক্তার। দ্বিতীয় দলিলে ওই একই বছরে ১২.২৫ কাঠার দাম ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। যেখানে গ্রহীতা হলেন শেখ ছাবিদ হাই অনিক ও শেখ রাফা হাই। অর্থাৎ জমির মোট রেজিস্ট্রেশন মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। রেজিস্ট্রেশনে মূল্য ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কম দেখিয়ে অবৈধ আয় গোপন করার চেষ্টা করেছেন তিনি। এছাড়া জমির মূল্য কম দেখিয়ে সরকারের ৮ কোটি ৫২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার রাজস্বও ফাঁকি দিয়েছেন।

আরও যত অভিযোগ

জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাই বাচ্চুকে ২০০৯ সালে এক সময়ের লাভজনক ব্যাংক বেসিকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর থেকে ব্যাংকটির ঢাকার গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখায় বড় অঙ্কের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনার ঘটনা ঘটতে থাকে। রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে একসময় ভালো অবস্থানে থাকা বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকার ঋণ অনিয়মের খবর সামনে এলে ব্যাংক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। আবদুল হাই বাচ্চু চেয়ারম্যান থাকাকালে বেনামি ও ভুয়া ঋণ দিয়ে বিপুল এসব অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।

সংবাদমাধ্যমে একের পর এক এসব খবর প্রকাশিত হলে দুদক তদন্তে নেমে ঋণ অনিয়মের ঘটনা খুঁজে পায়। পরে এসব ঘটনায় ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৫৯টি মামলা করে। এগুলোতে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ঋণ গ্রহীতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়। তবে তখন সাবেক চেয়ারম্যানকে বাদ দেওয়া হয়। যদিও বিভিন্ন সময় তাকে দুদকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে ৫৮টিতে আসামি করা জয় তাকে।

এসব মামলায় দুদকের অনুসন্ধানপত্রে অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়া, ভুয়া মর্টগেজ, সম্পদের অতি মূল্যায়ন ও মর্টগেজ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বেসিক ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেছেন ও সহায়তা করেছেন।

দুদকের পাঁচজন কর্মকর্তা এসব মামলা অনুসন্ধান করে অভিযোগপত্র দিয়েছেন। ঋণের নামে অর্থ আত্মসাতের এসব ঘটনা ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত আবদুল হাই বাচ্চু চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে ঘটেছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর। সংবাদ মাধ্যমে এসব ঘটনা প্রকাশ হতে শুরু করলে ২০১৪ সালে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলাম ও উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোনায়েম খানকে সরিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করে। পরে আবদুল হাই বাচ্চু পদত্যাগ করেন বেসিক ব্যাংক থেকে। এসব অনিয়মের বিষয় সামনে আসার পর আবদুল হাই বাচ্চু ও তার পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে চলে যান।

back to top