alt

জাতীয়

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কক্সবাজার, পাহাড়ধসে ৭ জনের মৃত্যু

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার : শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রেকর্ড বৃষ্টিতে ডুবে গেছে কক্সবাজার, দুর্ভোগে জনগণ

টানা ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার। বৈরী আবহাওয়ার ফলে পাহাড়ধসে কক্সবাজারে সদর ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে পাহাড়ধসে একই পরিবারের ৩ জন, শহরের হালিমা পাড়ায় ১ জন ও উখিয়ার ১৪ নম্বর ক্যাম্পের হাকিমপাড়ায় পাহাড়ধসে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিককুল, শহরের হালিমাপাড়া এবং উখিয়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, দক্ষিণ ডিককুলের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আঁখি মনি এবং তার দুই শিশু কন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ও লতিফা ইসলাম, হালিমাপাড়ার জাহেদ (৭)। অন্যদিকে উখিয়ার ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই ২ ব্লকের কবির আহমেদের ছেলে আবদুর রহিম আবদুল হাফেজ এবং আবদুল ওয়াহেদ।

ডিককুলে পাহাড় ধসে নিহতের স্বজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুল করিম জানান, তারা রাত ৩টার দিকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সময় মিজানের বাড়ির দিক থেকে একটি পাহাড় ধসের বিকট শব্দ শুনতে পায়। পরে গিয়ে দেখে সপরিবারে মাটিচাপা পড়েছে। তাৎক্ষণিক মিজানকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। পরে কক্সবাজার দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে স্ত্রী ও দুই শিশু কন্যার দেহ উদ্ধার করা হয়।

এনিয়ে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার দোলন আচার্য বলেন, সদরের তিনজনের মরদেহ বের করে আনা হয়েছে।

এদিকে, টানা ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে কক্সবাজারে। অব্যাহত এ বৃষ্টিপাত রেকর্ড ভেঙেছে গত ১০ বছরের। বৃষ্টির পানিতে জেলা শহরের ৯০ ভাগ এলাকাসহ প্লাবিত শতাধিক গ্রাম। গত বুধবার থেকে কক্সবাজারে মাঝারি থেকে কখনো কখনো ভারী বর্ষণ হচ্ছে। ভারী বর্ষণে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জেলা শহরসহ বেশ কিছু গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে অনেকের বাড়ি ঘর প্লাবিত হয়েছে। এতে এলাকায় জনজীবন দুর্ভোগে পড়েছে।

বিশেষ করে কক্সবাজার শহরের কলাতলী, নুনিয়ারছড়া, সমিতিপাড়া, বাহারছড়া, সুগন্ধা পয়েন্ট, বাসটার্মিনাল, ডিককুল, আলীর জাঁহাল, পেশকারপাড়া, সদরের লিংকরোড, বাংলাবাজার, খরুলিয়া, রামু, চকরিয়া, পেকুয়া, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিতে এসব এলাকায় সাধারণ মানুষ খাবারে কষ্টে পাচ্ছেন।

শহরের প্রধান সড়কের বাজারঘাটা, বড়বাজার, মাছবাজার, এন্ডারসন সড়ক, টেকপাড়া, পেশকারপাড়া, বার্মিজ মার্কেট এলাকা, বৌদ্ধমন্দির সড়ক, গোলদীঘিরপাড়, তারাবনিয়াছড়া, রুমালিয়ারছড়া, বাঁচা মিয়ার ঘোনা, পাহাড়তলী, সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া, ফদনারডেইল, নুনিয়াছড়া, বৈদ্যঘোনা, ঘোনারপাড়া, বাদশাঘোনা, খাজা মঞ্জিল, লাইটহাউস, কলাতলী, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, লারপাড়া এলাকা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা অন্তত ৫ লাখ।

এদিকে, স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রবল বর্ষণে কক্সবাজারে আমন চাষাবাদ, ফসল ও পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তীব্র ঝড়ো বাতাসে কাঁচা ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে পড়েছে। গ্রামীণ অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিধ্বস্ত হয়েছে। পুকুর ও প্রজেক্ট ডুবে মৎস্য চাষে অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ভারী বর্ষণে হোটেল-মোটেল জোন এখন পানিতে পানিতে সয়লাব। কলাতলী সড়ক, সকল উপসড়ক, সৈকতসংলগ্ন ছাতা মাকের্ট, হোটেল লাবণী থেকে সুগন্ধা এলাকায় এখন পানি আর পানি।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান জানিয়েছেন, গেল ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫০১ মিলিমিটার। চলমান মৌসুমে এটি একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। আরও একদিন ভারি বৃষ্টি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ অবস্থান করায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, ঝিলংজায় পাহাড় ধসে নিহত তিনজনের পরিবারকে ৭৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাজ চলছে। পানিবন্দী এলাকার তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার কাজ চলমান রয়েছে।

কক্সবাজার ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার সামশুদ্দৌজা জানান, ভারী বর্ষণে উখিয়া ১৪ নম্বর হাকিম পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসে তিনটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

ছবি

বন্যায ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মধ্যে ধানের চারা বিতরণ ক‌রলো বি‌জি‌বি

ত্রিমুর্খী সংঘর্ষে নারী পোশাক শ্রমিক নিহত, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর শান্ত আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল

যৌথ বাহিনীর গ্রেপ্তার অভিযানের সময় ময়মনসিংহে যুবদল নেতা নিহত

পদোন্নতি-পদায়ন ‘বঞ্চিতদের’ সামলাতে প্রশাসনে হিমশিম

ছবি

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী

রাজনৈতিক দল গঠনের ব্যাপারে আমাদের কোন অভিপ্রায় নাই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ছবি

৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতে ছাত্ররাজনীতি শিক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, নিষিদ্ধ চান ৮৪ শতাংশ

ছবি

জার্মানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে ১০০ কোটি ইউরো সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ

ছবি

ত্রিমুর্খী সংঘর্ষে নারী পোশাক শ্রমিক নিহত

নগদে প্রশাসক নিয়োগ কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল

ছবি

বাংলাদেশে এডিবির নতুন কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ পেলেন হোয়ে ইউন জিয়ং

ছবি

বাংলাদেশের সংস্কার ত্বরান্বিত করতে বিশ্ব ব্যাংকের ২০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার জানে না কোন স্ট্যাটাসে দিল্লিতে আছেন শেখ হাসিনা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

আইন কমিশনের পরামর্শক এ কে মোহাম্মদ হোসেন

ছবি

যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি চান ২৫ ক্যাডারের ‘বঞ্চিত’ ১৯৪ কর্মকর্তা

ত্বকী হত্যার সাথে জড়িত আরেকজন গ্রেপ্তার

ছবি

যেসব হত্যার বিচার আগে হবে, জানালেন চিফ প্রসিকিউর

ছবি

রাজনৈতিক দল গঠনের অভিপ্রায় নেই: আসিফ মাহমুদ

ছবি

রাজনৈতিক চাপে সঠিক তথ্য দিতে অসহায় ছিলেন কর্মকর্তারা: ড. দেবপ্রিয়

ছবি

ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক

ছবি

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

ছবি

রংপুরে মতবিনিময় সভায় মেয়র আর সাংবাদিক সম্পর্কে বিষোদগার করায় হৈচৈ ধাক্কাধাক্কি

যানজট সমস্যার সমাধান খোঁজার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

জাবিতে পূর্ববর্তী সরকারের পতন উদযাপনে ভিন্নধর্মী চল্লিশার আয়োজন

আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী কারাগারে

ছবি

চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের ফেরাতে ৫ সদস্যের কমিটি

ছবি

বৃষ্টি কমেছে, তাপমাত্রা বাড়তে পারে

ছবি

হাতিয়ায় ২১ ট্রলার ডুবি, এখনও নিখোঁজ ৭ জেলে

ছবি

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ

উৎপাদনে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট

ছবি

সাবেক মন্ত্রী মুজিবুল হকের বিছানায় বান্ডেল টাকার ছড়াছড়ি, ছবি ভাইরাল

ছবি

বাংলাদেশ ‘পুনর্গঠন, সংস্কারে’ সহযোগিতায় ‘আগ্রহী’ যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি হচ্ছে: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী আ:লীগ নেতা বুদ্দিন আটক

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ভালুকায় রাজমিস্ত্রী তফাজ্জল হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরকে আসামী করে মামলার আবেদন

ছবি

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কতজন চাকরি হয়েছে তার তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা

tab

জাতীয়

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কক্সবাজার, পাহাড়ধসে ৭ জনের মৃত্যু

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার

রেকর্ড বৃষ্টিতে ডুবে গেছে কক্সবাজার, দুর্ভোগে জনগণ

শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টানা ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার। বৈরী আবহাওয়ার ফলে পাহাড়ধসে কক্সবাজারে সদর ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে পাহাড়ধসে একই পরিবারের ৩ জন, শহরের হালিমা পাড়ায় ১ জন ও উখিয়ার ১৪ নম্বর ক্যাম্পের হাকিমপাড়ায় পাহাড়ধসে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিককুল, শহরের হালিমাপাড়া এবং উখিয়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, দক্ষিণ ডিককুলের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আঁখি মনি এবং তার দুই শিশু কন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ও লতিফা ইসলাম, হালিমাপাড়ার জাহেদ (৭)। অন্যদিকে উখিয়ার ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই ২ ব্লকের কবির আহমেদের ছেলে আবদুর রহিম আবদুল হাফেজ এবং আবদুল ওয়াহেদ।

ডিককুলে পাহাড় ধসে নিহতের স্বজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুল করিম জানান, তারা রাত ৩টার দিকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সময় মিজানের বাড়ির দিক থেকে একটি পাহাড় ধসের বিকট শব্দ শুনতে পায়। পরে গিয়ে দেখে সপরিবারে মাটিচাপা পড়েছে। তাৎক্ষণিক মিজানকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। পরে কক্সবাজার দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে স্ত্রী ও দুই শিশু কন্যার দেহ উদ্ধার করা হয়।

এনিয়ে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার দোলন আচার্য বলেন, সদরের তিনজনের মরদেহ বের করে আনা হয়েছে।

এদিকে, টানা ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে কক্সবাজারে। অব্যাহত এ বৃষ্টিপাত রেকর্ড ভেঙেছে গত ১০ বছরের। বৃষ্টির পানিতে জেলা শহরের ৯০ ভাগ এলাকাসহ প্লাবিত শতাধিক গ্রাম। গত বুধবার থেকে কক্সবাজারে মাঝারি থেকে কখনো কখনো ভারী বর্ষণ হচ্ছে। ভারী বর্ষণে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জেলা শহরসহ বেশ কিছু গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে অনেকের বাড়ি ঘর প্লাবিত হয়েছে। এতে এলাকায় জনজীবন দুর্ভোগে পড়েছে।

বিশেষ করে কক্সবাজার শহরের কলাতলী, নুনিয়ারছড়া, সমিতিপাড়া, বাহারছড়া, সুগন্ধা পয়েন্ট, বাসটার্মিনাল, ডিককুল, আলীর জাঁহাল, পেশকারপাড়া, সদরের লিংকরোড, বাংলাবাজার, খরুলিয়া, রামু, চকরিয়া, পেকুয়া, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিতে এসব এলাকায় সাধারণ মানুষ খাবারে কষ্টে পাচ্ছেন।

শহরের প্রধান সড়কের বাজারঘাটা, বড়বাজার, মাছবাজার, এন্ডারসন সড়ক, টেকপাড়া, পেশকারপাড়া, বার্মিজ মার্কেট এলাকা, বৌদ্ধমন্দির সড়ক, গোলদীঘিরপাড়, তারাবনিয়াছড়া, রুমালিয়ারছড়া, বাঁচা মিয়ার ঘোনা, পাহাড়তলী, সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া, ফদনারডেইল, নুনিয়াছড়া, বৈদ্যঘোনা, ঘোনারপাড়া, বাদশাঘোনা, খাজা মঞ্জিল, লাইটহাউস, কলাতলী, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, লারপাড়া এলাকা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা অন্তত ৫ লাখ।

এদিকে, স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রবল বর্ষণে কক্সবাজারে আমন চাষাবাদ, ফসল ও পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তীব্র ঝড়ো বাতাসে কাঁচা ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে পড়েছে। গ্রামীণ অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিধ্বস্ত হয়েছে। পুকুর ও প্রজেক্ট ডুবে মৎস্য চাষে অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ভারী বর্ষণে হোটেল-মোটেল জোন এখন পানিতে পানিতে সয়লাব। কলাতলী সড়ক, সকল উপসড়ক, সৈকতসংলগ্ন ছাতা মাকের্ট, হোটেল লাবণী থেকে সুগন্ধা এলাকায় এখন পানি আর পানি।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান জানিয়েছেন, গেল ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫০১ মিলিমিটার। চলমান মৌসুমে এটি একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। আরও একদিন ভারি বৃষ্টি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ অবস্থান করায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, ঝিলংজায় পাহাড় ধসে নিহত তিনজনের পরিবারকে ৭৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাজ চলছে। পানিবন্দী এলাকার তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার কাজ চলমান রয়েছে।

কক্সবাজার ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার সামশুদ্দৌজা জানান, ভারী বর্ষণে উখিয়া ১৪ নম্বর হাকিম পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসে তিনটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

back to top