রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিরীক্ষা ও বাজেট শাখার উপ-পরিচালক পদে দায়িত্ব পেয়ে রাতারাতি দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে গড়েছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। নিজের গ্রামের বাড়িতে বানিয়েছেন আলিশান ভবন। সারাদেশে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্নীতি নিয়ে যখন সবাই সরব, সেই নিজেকে বাঁচাতে তার গ্রামের বাড়ির সম্পদ পাহারা দিতে তৈরি করেছেন লাঠিয়াল বাহিনী। প্রায় ৫ কোটি টাকার খরচে তৈরি আলিশান ভবনের ছবি যে কেউ তুলতে গেলেই ইলিয়াস মোল্লার তৈরি লাঠিয়াল বাহিনীর কাছে নাজেহাল হতে হয় তাদের। বাদ যায় না গণমাধ্যম কর্মীরাও। হঠাৎ করে এলাকায় এত সম্পত্তি গড়ে তোলায় মানুষের মুখে মুখে এখন এই দুর্নীতিবাজ রাজউক কর্মকর্তার নাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইলিয়াস মোল্লা। মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের ছোট মেহের মৌজার নজব আলী মোল্লার ছেলে। শৈশব থেকেই আর্থিক অনটনে বড় হয়েছেন। ৬ বোন ২ ভাইয়ের মধ্যে ইলিয়াস ৫ম। সেসময় তার বাবা ছোটখাট ব্যবসা-বাণিজ্য করে কোনো রকমে সন্তানদের নিয়ে একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে বসবাস করতেন। ২০১২ সালের দিকে ইলিয়াস মোল্লা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে সহকারী পরিচালক পদে চাকরি পান। পরে পদোন্নতি পেয়ে হন নিরীক্ষা ও বাজেট শাখার উপ-পরিচালক। রাজউকের চাকরি পেয়েই আলাদিনের আশ্চার্য প্রদীপ হাতে পেয়ে যান তিনি। গত এক দশকে গ্রামে ও ঢাকায় গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। গড়ে তুলেছেন বিলাস বহুল অট্টালিকা। নিজের গ্রামসহ আশেপাশের গ্রামে নামে বেনামে জমি কিনেছেন কয়েক’শ বিঘা জমি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মস্তফাপুর বড় ব্রিজের কাছে সম্প্রতি কিনেছেন প্রায় কোটি টাকার জমি। এছাড়া তাঁতীবাড়ি এলাকায় রয়েছে মার্কেট ও গোডাউন। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে ইলিয়াস মোল্লার এমন সম্পদ দেখে এলাকাবাসী অবাক হয়েছে।
সংবাদ কর্মীসহ যে কোনো ব্যক্তি তার বিলাস বহুল বাড়ি দেখতে গিয়ে ছবি তুললে ইলিয়াস মোল্লার নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী তাদের নানা ধরনের হুমকি-ধামকি ও মারধর করেন। এমনকি নাজেহাল করেন সাংবাদিকদেরও। এই লাঠিয়াল বাহিনের নেতৃত্ব দেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস মল্লিকের ভাই কাওসার হোসেন। গত দুই মাসে এই কাওসার বাহিনীর হাতে অনেক লোকই মারধর ও নাজেহালের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তারা প্রাণভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পায় না।
রাজউক কর্মকর্তা ইলিয়াস মোল্লার এসব সম্পদ অনুসন্ধান করে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি করেছেন মাদারীপুরবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, ইলিয়াস মোল্লা। রাজউকে চাকরি পাওয়ার পর থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। এলাকায় কেউ কোনো জমি জমা বিক্রি করতে হলে তার লোকজনকে জানিয়ে বিক্রি করতে হয়। কারণ তিনি এলাকার বেশিরভাগ জমিই ক্রয় করেন। এমনকি এলাকায় কোনো জমি তার পছন্দ হলে তিনি সেই জমি ক্রয় করতে জমির মালিককে নানা ধরনের চাপ সৃষ্টি করেন বলেও অনেকেই জানিয়েছেন। এলাকায় তিনি তার বাড়ি ঘর পাহারা দেয়ার জন্য লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করেছেন, তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তার সম্পদের তদন্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি অনেকের।
মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ জানিয়েছেন, ইলিয়াস মোল্লাসহ যারা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
তবে এই বিষয়ে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মারুফুর রশিদ খান জানিয়েছেন, ‘কেউ যদি অনিয়ম করে মাদারীপুরে সম্পদ গড়ে তোলেন। তাদেরকে যথাযথ আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। বর্তমান সরকার দুর্নীতিকে এক বিন্দু ছাড় দেবে না।’
তবে এই বিষয়ে অভিক্তর কোনো বক্তব্য নেয়ার জন্য তার বাড়িতে গেলেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিরীক্ষা ও বাজেট শাখার উপ-পরিচালক পদে দায়িত্ব পেয়ে রাতারাতি দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে গড়েছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। নিজের গ্রামের বাড়িতে বানিয়েছেন আলিশান ভবন। সারাদেশে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্নীতি নিয়ে যখন সবাই সরব, সেই নিজেকে বাঁচাতে তার গ্রামের বাড়ির সম্পদ পাহারা দিতে তৈরি করেছেন লাঠিয়াল বাহিনী। প্রায় ৫ কোটি টাকার খরচে তৈরি আলিশান ভবনের ছবি যে কেউ তুলতে গেলেই ইলিয়াস মোল্লার তৈরি লাঠিয়াল বাহিনীর কাছে নাজেহাল হতে হয় তাদের। বাদ যায় না গণমাধ্যম কর্মীরাও। হঠাৎ করে এলাকায় এত সম্পত্তি গড়ে তোলায় মানুষের মুখে মুখে এখন এই দুর্নীতিবাজ রাজউক কর্মকর্তার নাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইলিয়াস মোল্লা। মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের ছোট মেহের মৌজার নজব আলী মোল্লার ছেলে। শৈশব থেকেই আর্থিক অনটনে বড় হয়েছেন। ৬ বোন ২ ভাইয়ের মধ্যে ইলিয়াস ৫ম। সেসময় তার বাবা ছোটখাট ব্যবসা-বাণিজ্য করে কোনো রকমে সন্তানদের নিয়ে একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে বসবাস করতেন। ২০১২ সালের দিকে ইলিয়াস মোল্লা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে সহকারী পরিচালক পদে চাকরি পান। পরে পদোন্নতি পেয়ে হন নিরীক্ষা ও বাজেট শাখার উপ-পরিচালক। রাজউকের চাকরি পেয়েই আলাদিনের আশ্চার্য প্রদীপ হাতে পেয়ে যান তিনি। গত এক দশকে গ্রামে ও ঢাকায় গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। গড়ে তুলেছেন বিলাস বহুল অট্টালিকা। নিজের গ্রামসহ আশেপাশের গ্রামে নামে বেনামে জমি কিনেছেন কয়েক’শ বিঘা জমি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মস্তফাপুর বড় ব্রিজের কাছে সম্প্রতি কিনেছেন প্রায় কোটি টাকার জমি। এছাড়া তাঁতীবাড়ি এলাকায় রয়েছে মার্কেট ও গোডাউন। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে ইলিয়াস মোল্লার এমন সম্পদ দেখে এলাকাবাসী অবাক হয়েছে।
সংবাদ কর্মীসহ যে কোনো ব্যক্তি তার বিলাস বহুল বাড়ি দেখতে গিয়ে ছবি তুললে ইলিয়াস মোল্লার নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী তাদের নানা ধরনের হুমকি-ধামকি ও মারধর করেন। এমনকি নাজেহাল করেন সাংবাদিকদেরও। এই লাঠিয়াল বাহিনের নেতৃত্ব দেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস মল্লিকের ভাই কাওসার হোসেন। গত দুই মাসে এই কাওসার বাহিনীর হাতে অনেক লোকই মারধর ও নাজেহালের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তারা প্রাণভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পায় না।
রাজউক কর্মকর্তা ইলিয়াস মোল্লার এসব সম্পদ অনুসন্ধান করে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি করেছেন মাদারীপুরবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, ইলিয়াস মোল্লা। রাজউকে চাকরি পাওয়ার পর থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। এলাকায় কেউ কোনো জমি জমা বিক্রি করতে হলে তার লোকজনকে জানিয়ে বিক্রি করতে হয়। কারণ তিনি এলাকার বেশিরভাগ জমিই ক্রয় করেন। এমনকি এলাকায় কোনো জমি তার পছন্দ হলে তিনি সেই জমি ক্রয় করতে জমির মালিককে নানা ধরনের চাপ সৃষ্টি করেন বলেও অনেকেই জানিয়েছেন। এলাকায় তিনি তার বাড়ি ঘর পাহারা দেয়ার জন্য লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করেছেন, তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তার সম্পদের তদন্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি অনেকের।
মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ জানিয়েছেন, ইলিয়াস মোল্লাসহ যারা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
তবে এই বিষয়ে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মারুফুর রশিদ খান জানিয়েছেন, ‘কেউ যদি অনিয়ম করে মাদারীপুরে সম্পদ গড়ে তোলেন। তাদেরকে যথাযথ আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। বর্তমান সরকার দুর্নীতিকে এক বিন্দু ছাড় দেবে না।’
তবে এই বিষয়ে অভিক্তর কোনো বক্তব্য নেয়ার জন্য তার বাড়িতে গেলেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।