# অস্ত্রধারী যুবলীগ নেতাসহ ৫জন গ্রেফতার,স্বীকারোক্তি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের মিছিলে নির্বিচারে হামলা,দুই হাতে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া ও গুলির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে আলোচিত সেই যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম রুবেল রয়েছে। এছাড়াও আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যও আছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্তের পর তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
র্যাব হেডকোয়াটার্স জানিয়েছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমানে রাজশাহীর আলুপট্রি বোয়ালিয়া এলাকার দুই হাতে পিস্তল নিয়ে গুলি করার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্তকারি সেই যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম রুবেলকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গ্রেফতার করেছে। গত শুক্রবার গভীররাতে তাকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ৩ নম্বর আসামি।
র্যাব জানায়, গত ৫ আগস্ট রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের সময় দুই হাতে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি বর্ষণের ঘটনায় জড়িত যুবলীগ নেতা রুবেল। সেই ঘটনার ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। পরবর্তীতে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর অস্ত্রধারী রুবেল আতœগোপনে চলে যায়। র্যাব-৫ ,রাজশাহী ও র্যাব-১০ যাত্রাবাড়ীর টিম তাকে গ্রেফতারে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। অবশেষে গত শুক্রবার রাত পৌনে ১টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের মিডিয়া শাখা থেকে পাঠানো ছবিতে দেখা গেছে,রুবেলের দুই হাতে দুইটি ছোট আগ্নেয়াস্ত্র (পিস্তল বা রিভলবার) ,মাথায় হেলমেট,মুখে মাস্ক ও গলায় কাপড় পেছানো রয়েছে।
সে অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদেরকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করছেন। গত রাত শুক্রবার রাত ১টা ২৪ মিনিটের সময় সংবাদে এই তথ্য জানিয়েছেন।
র্যাব থেকে বলা হয়েছে,এজাহার নামীয় আসামি জহিরুল হক রুবেল (৪১),পিতা আব্দুর রাজ্জাক, চন্ডিপুর,রাজশাহী ঠিকানা। এই যুবলীগ নেত্সাহ আরও ৫০ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। অজ্ঞাত আরও এক হাজার থেকে ১১শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্রদেরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছে। গুলি ও হামলায় রায়হানসহ আরও অনেকেই আহত হয়েছে। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনার পথেও বাঁধা দেয়। এরপর আবার রাজশাহীতে নেয়া হয়। রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ই আগস্ট সন্ধ্যায় রায়হান মারা যান।
এই ঘটনায় নিহত রায়হানের ভাই বাদি হয়ে রাজশাহীর (আরএমপি) বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-১৫,তারিখ ১৯ আগস্ট। এই যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে রাজশাহীকে আরও একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সেই সব ঘটনার মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ,স্থির চিত্রে রুবেলের মাথায় কালো রংয়ের হেলমেট দেখা গেছে।
গ্রেফতারকৃত অস্ত্রধারী যুবলীগ নেতা রুবেল উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিজে জড়িত থাকার কথা র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। তার দেয়া তথ্য মতে, পলাতক অন্যদেরকে গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
এপিবিএন সদস্য গ্রেফতারঃ
গত ৫ অগাস্ট রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) কনস্টেবল মো. সুজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছেন। গত শুক্রবার এপিবিএন থেকেই তাদের সদস্য সুজনকে ডিবির হেফাজতে দেওয়া হয়। শাহবাগ থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলার (নম্বর-৯) প্রেক্ষিতে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, চাঁনখারপুল এলাকায় একজন এপিবিএন সদস্য হাঁটু গেড়ে বসে গুলি করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেটি বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশ করা হয়। “এর প্রেক্ষিতে এপিবিএন কর্তৃপক্ষ কনস্টেবল সুজনকে ডিবি হেফাজতে নেয়। পুলিশের এই সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সদর দপ্তরের আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। সে সব প্রক্রিয়া শেষে এপিবিএন-১৩ তে কর্মরত এই সদস্যকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
শুটার লিটনসহ তিন গ্রেফতারঃ
ছাত্র-জনতার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোরগ র্যাব-৩ সন্দেহ ভাজন অভিযুক্ত লিটন আকন্দ ওরফে শুটার লিটন (৩৫) ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার দুই সহযোগী হলেন- মো. রাশেদ (২৬) ও মো. রাসেল (৩৬)।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাধারণ জনতা ও ছাত্রদের উপর লিটন চাপাতি নিয়ে আক্রমণ করছে। এ ঘটনায় লিটন ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার গভীররাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে লিটন আকন্দ ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। লিটনের গোপন আস্তানা থেকে ছাত্রদের আক্রমণের জন্য ব্যবহৃত চারটি চাপাতি ও গান পাউডার উদ্ধার করা হয়।
লিটনের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন হামলা ও হত্যা মামলাসহ অস্ত্র আইনে তিনটি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি, একটি ডাকাতির প্রস্তুতি ও একটি অন্য ধারায় মোট ৯টি মামলা রয়েছে। এলাকায় লিটন আকন্দ ওরফে শুটার লিটন চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
আশুলিয়ার লাশ পোড়ানোর ঘটনায়, এর আগে রাজধানীর অদূরে আশুলিয়া এলাকায় নির্বিচারে গুলি করে হত্যা,লাশ ঘুমের উদেশ্যে ভ্যান গাড়িতে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলার মত বর্বোরোচিত ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ পরিদর্শক আরাফাত ও এডিসি কাফিকে গ্রেফতার করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান,ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অপরাধী যেখানে থাকুক আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
অভিযোগ রয়েছে,আন্দোলনের সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। সেই হামলাকারিরা এখনো অধরা। এরপর রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদ থেকে ছাত্রদের উপর উট,পাথর নিক্ষেপসহ হামলা চালানো হয়। ওই সব হামলাকারিরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। সেখানে প্রভাবশালীরা ছাত্রদের উপর হামলা করতে উস্কানী দিয়েছিল।
# অস্ত্রধারী যুবলীগ নেতাসহ ৫জন গ্রেফতার,স্বীকারোক্তি
রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের মিছিলে নির্বিচারে হামলা,দুই হাতে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া ও গুলির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে আলোচিত সেই যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম রুবেল রয়েছে। এছাড়াও আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যও আছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্তের পর তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
র্যাব হেডকোয়াটার্স জানিয়েছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমানে রাজশাহীর আলুপট্রি বোয়ালিয়া এলাকার দুই হাতে পিস্তল নিয়ে গুলি করার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্তকারি সেই যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম রুবেলকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গ্রেফতার করেছে। গত শুক্রবার গভীররাতে তাকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ৩ নম্বর আসামি।
র্যাব জানায়, গত ৫ আগস্ট রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের সময় দুই হাতে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি বর্ষণের ঘটনায় জড়িত যুবলীগ নেতা রুবেল। সেই ঘটনার ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। পরবর্তীতে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর অস্ত্রধারী রুবেল আতœগোপনে চলে যায়। র্যাব-৫ ,রাজশাহী ও র্যাব-১০ যাত্রাবাড়ীর টিম তাকে গ্রেফতারে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। অবশেষে গত শুক্রবার রাত পৌনে ১টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের মিডিয়া শাখা থেকে পাঠানো ছবিতে দেখা গেছে,রুবেলের দুই হাতে দুইটি ছোট আগ্নেয়াস্ত্র (পিস্তল বা রিভলবার) ,মাথায় হেলমেট,মুখে মাস্ক ও গলায় কাপড় পেছানো রয়েছে।
সে অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদেরকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করছেন। গত রাত শুক্রবার রাত ১টা ২৪ মিনিটের সময় সংবাদে এই তথ্য জানিয়েছেন।
র্যাব থেকে বলা হয়েছে,এজাহার নামীয় আসামি জহিরুল হক রুবেল (৪১),পিতা আব্দুর রাজ্জাক, চন্ডিপুর,রাজশাহী ঠিকানা। এই যুবলীগ নেত্সাহ আরও ৫০ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। অজ্ঞাত আরও এক হাজার থেকে ১১শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্রদেরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছে। গুলি ও হামলায় রায়হানসহ আরও অনেকেই আহত হয়েছে। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনার পথেও বাঁধা দেয়। এরপর আবার রাজশাহীতে নেয়া হয়। রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ই আগস্ট সন্ধ্যায় রায়হান মারা যান।
এই ঘটনায় নিহত রায়হানের ভাই বাদি হয়ে রাজশাহীর (আরএমপি) বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-১৫,তারিখ ১৯ আগস্ট। এই যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে রাজশাহীকে আরও একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সেই সব ঘটনার মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ,স্থির চিত্রে রুবেলের মাথায় কালো রংয়ের হেলমেট দেখা গেছে।
গ্রেফতারকৃত অস্ত্রধারী যুবলীগ নেতা রুবেল উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিজে জড়িত থাকার কথা র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। তার দেয়া তথ্য মতে, পলাতক অন্যদেরকে গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
এপিবিএন সদস্য গ্রেফতারঃ
গত ৫ অগাস্ট রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) কনস্টেবল মো. সুজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছেন। গত শুক্রবার এপিবিএন থেকেই তাদের সদস্য সুজনকে ডিবির হেফাজতে দেওয়া হয়। শাহবাগ থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলার (নম্বর-৯) প্রেক্ষিতে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, চাঁনখারপুল এলাকায় একজন এপিবিএন সদস্য হাঁটু গেড়ে বসে গুলি করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেটি বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশ করা হয়। “এর প্রেক্ষিতে এপিবিএন কর্তৃপক্ষ কনস্টেবল সুজনকে ডিবি হেফাজতে নেয়। পুলিশের এই সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সদর দপ্তরের আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। সে সব প্রক্রিয়া শেষে এপিবিএন-১৩ তে কর্মরত এই সদস্যকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
শুটার লিটনসহ তিন গ্রেফতারঃ
ছাত্র-জনতার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোরগ র্যাব-৩ সন্দেহ ভাজন অভিযুক্ত লিটন আকন্দ ওরফে শুটার লিটন (৩৫) ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার দুই সহযোগী হলেন- মো. রাশেদ (২৬) ও মো. রাসেল (৩৬)।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাধারণ জনতা ও ছাত্রদের উপর লিটন চাপাতি নিয়ে আক্রমণ করছে। এ ঘটনায় লিটন ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার গভীররাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে লিটন আকন্দ ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। লিটনের গোপন আস্তানা থেকে ছাত্রদের আক্রমণের জন্য ব্যবহৃত চারটি চাপাতি ও গান পাউডার উদ্ধার করা হয়।
লিটনের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন হামলা ও হত্যা মামলাসহ অস্ত্র আইনে তিনটি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি, একটি ডাকাতির প্রস্তুতি ও একটি অন্য ধারায় মোট ৯টি মামলা রয়েছে। এলাকায় লিটন আকন্দ ওরফে শুটার লিটন চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
আশুলিয়ার লাশ পোড়ানোর ঘটনায়, এর আগে রাজধানীর অদূরে আশুলিয়া এলাকায় নির্বিচারে গুলি করে হত্যা,লাশ ঘুমের উদেশ্যে ভ্যান গাড়িতে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলার মত বর্বোরোচিত ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ পরিদর্শক আরাফাত ও এডিসি কাফিকে গ্রেফতার করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান,ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অপরাধী যেখানে থাকুক আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
অভিযোগ রয়েছে,আন্দোলনের সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। সেই হামলাকারিরা এখনো অধরা। এরপর রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদ থেকে ছাত্রদের উপর উট,পাথর নিক্ষেপসহ হামলা চালানো হয়। ওই সব হামলাকারিরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। সেখানে প্রভাবশালীরা ছাত্রদের উপর হামলা করতে উস্কানী দিয়েছিল।