সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান পদে পরিবর্তন এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আইনজীবী শাহদীন মালিকের পরিবর্তে এ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষক আলী রীয়াজ। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন। ওই ভাষণে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে শাহদীন মালিকের নাম উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসনিক সংস্কার অধিশাখার এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ‘সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিকের পরিবর্তে অধ্যাপক আলী রীয়াজের নাম অন্তর্ভুক্ত করে কমিশন গঠনের জন্য অনুশাসন প্রদান করেছেন।’
এই পরিবর্তনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ড. শাহদীন মালিক তার পেশাগত ব্যস্ততার কারণে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানিয়েছেন।
সংবাদ এর পক্ষ থেকে আইনজীবী শাহদীন মালিকের বক্তব্য জানতে গতকাল তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাকে ক্ষুদে বার্তাও পাঠানো হয়। তবে তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব নিয়ে নতুন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে নানা পরিকল্পনার কথা জানায়। এ সময় সংবিধান সংস্কারের দাবিও ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে।
এই ইস্যুতে নানা আলোচনার মধ্যে গত ৩১ আগস্ট ঢাকায় ‘গণতন্ত্র, সংবিধান এবং নির্বাচনী সার্চ কমিটি’ শীর্ষক এক সংলাপে যোগ দেন আলী রীয়াজ। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, তিনি সংবিধান সংস্কারের পক্ষে না। তার মতে সংবিধান পুনর্লিখন জরুরি।
আলী রীয়াজ ওই সংলাপে বলেন, ‘সংবিধানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এটি পুনর্লিখন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে ‘ক’ ধারায় এমন কিছু জিনিস আনা হয়েছে, যেটি সংশোধন করার কোনো উপায় নেই।’
আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র অনাবাসিক ফেলো ও আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের (এআইবিএস) প্রেসিডেন্ট আলী রীয়াজ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত। তার গবেষণার বিষয়গুলোর মধ্যে আছে গণতন্ত্র, সহিংস উগ্রবাদ, ধর্ম ও রাজনীতি, দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশের রাজনীতি।
বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান পদে পরিবর্তন এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আইনজীবী শাহদীন মালিকের পরিবর্তে এ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষক আলী রীয়াজ। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন। ওই ভাষণে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে শাহদীন মালিকের নাম উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসনিক সংস্কার অধিশাখার এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ‘সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিকের পরিবর্তে অধ্যাপক আলী রীয়াজের নাম অন্তর্ভুক্ত করে কমিশন গঠনের জন্য অনুশাসন প্রদান করেছেন।’
এই পরিবর্তনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ড. শাহদীন মালিক তার পেশাগত ব্যস্ততার কারণে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানিয়েছেন।
সংবাদ এর পক্ষ থেকে আইনজীবী শাহদীন মালিকের বক্তব্য জানতে গতকাল তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাকে ক্ষুদে বার্তাও পাঠানো হয়। তবে তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব নিয়ে নতুন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে নানা পরিকল্পনার কথা জানায়। এ সময় সংবিধান সংস্কারের দাবিও ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে।
এই ইস্যুতে নানা আলোচনার মধ্যে গত ৩১ আগস্ট ঢাকায় ‘গণতন্ত্র, সংবিধান এবং নির্বাচনী সার্চ কমিটি’ শীর্ষক এক সংলাপে যোগ দেন আলী রীয়াজ। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, তিনি সংবিধান সংস্কারের পক্ষে না। তার মতে সংবিধান পুনর্লিখন জরুরি।
আলী রীয়াজ ওই সংলাপে বলেন, ‘সংবিধানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এটি পুনর্লিখন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে ‘ক’ ধারায় এমন কিছু জিনিস আনা হয়েছে, যেটি সংশোধন করার কোনো উপায় নেই।’
আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র অনাবাসিক ফেলো ও আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের (এআইবিএস) প্রেসিডেন্ট আলী রীয়াজ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত। তার গবেষণার বিষয়গুলোর মধ্যে আছে গণতন্ত্র, সহিংস উগ্রবাদ, ধর্ম ও রাজনীতি, দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশের রাজনীতি।