alt

জাতীয়

দেড়মাসে জামিনে বেরিয়েছে ৪৩ শীর্ষ অপরাধী, জঙ্গি ও আলোচিত বন্দী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রায় দেড়মাসে ১৫ হাজারের মতো কারাবন্দী জামিনে মুক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪৩ জন আলোচিত বন্দী রয়েছেন। যারা শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও আলোচিত মামলার আসামি। আর দেশের বিভিন্ন কারাগারে হামলার ঘটনায় ২ হাজারের মতো বন্দী পালিয়ে গিয়েছিলেন।

তাদের মধ্যে অনেকে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন, আবার অনেককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। পলাতকদের মধ্যে ৯০০ বন্দী এখনও অধরা রয়েছেন। হামলার ঘটনাগুলোতে ৮৪টি অস্ত্র লুট করা হয়েছিল। যার মধ্যে ২৯টি অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকার বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।

পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি-মন্ত্রীসহ গ্রেপ্তার হচ্ছেন, তারা ডিভিশন পাচ্ছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন বলেন, কে ডিভিশন পাচ্ছেন আর কে পাচ্ছেন না, সেটি বলা মুশকিল। তবে কারা বিধি অনুযায়ী-যারা সরকারি কর্মকর্তা থাকেন, তারা এমনিতেই ডিভিশন পেয়ে থাকেন। আর যারা সরকারি কর্মকর্তা নন-তাদের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন হয়।

অথবা নিয়ম মেনে কারা কর্তৃপক্ষকে আবেদন দিতে হয়। কারা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ওই আবেদন পাঠায়। পরে যদি সেখান থেকে যাচাইবাছাই শেষে অনুমতি দেয়- তখন কারা কর্তৃপক্ষ ডিভিশন দিয়ে থাকে। বর্তমানে কারাগারে ৩৭ জন বিশেষ বন্দী রয়েছেন। যাদের মধ্যে ৯ জন ডিভিশন পাচ্ছেন। তবে ওই ৯ জন কারা সেটি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।

তিনি বলেন, আমরা বহিঃপ্রভাব মুক্তভাবে কারাগার প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি। কারণ আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য-শৃঙ্খলা ও দুর্নীতিমুক্ত কারাগার প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য যারা দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা কর্মচারী ছিলেন-তাদের বিরুদ্ধে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নিত্য দিনের কার্যক্রমে যে অনিয়ম সেগুলো নিয়েও কাজ করছি। সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়ন করছি। বারবার একই জায়গায় থাকা কর্মকর্তাদের আগের মতো সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। মাদকের আগ্রাসনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির কথা শুনেছি। আমাদের পরিস্কার কথা, মাদকাসক্ত বা মাদক কারবারে জড়িত কেউ কারাগারে চাকরিরত থাকতে পারবে না।

কারা প্রধান বলেন, আপাতত মোটা দাগের অনিয়মগুলো সমাধানে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারাগার পরিশোধীত হবে, এটাই প্রত্যাশা। যুগোপযোগি কারা আইন সংস্কার, জনবল বৃদ্ধি, কারা অভ্যন্তরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য জ্যামার কেনাসহ মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন আরও বলেন, দেশের ৬৮ কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৪২ হাজার। বর্তমানে বন্দী রয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৭টি কারাগারে হামলার চেষ্টা করে হলেও আক্রান্ত হয় ৮টি। ৫টি কারাগার থেকে বন্দী পালিয়ে যায়। যাদের মধ্যে ৭০ জন জঙ্গি এবং ২৮ জন মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ও যাজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রয়েছে। এসব ঘটনা প্রতিহত করতে গিয়ে কারাগারের বিভিন্ন পর্যায়ের ২৮২ জন সদস্য আহত হয়েছিলেন। অনেকে এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পালিয়ে যাওয়া বন্দীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলেও জানান আইজি প্রিজন।

ছবি

শেখ হাসিনার সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকের নামে মামলা

ছবি

সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত ৯, ধর্ষণের শিকার ৪: হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

ছবি

ঢাবিতে পিটিয়ে যুবক হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ দুজন আটক

ছবি

আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ২০১০টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে

ছবি

সপ্তাহে ৭ দিন মেট্রোরেল চলবে, শুক্রবার খুলছে কাজীপাড়া স্টেশন

ছবি

সাড়ে ২০ লাখ খরচেই চালু হচ্ছে কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশন

ছবি

সত্যিকারের জনবান্ধব পুলিশ হোন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাত সংস্কারে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক : অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

বাংলাদেশকে ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে পারে বিশ্বব্যাংক, জানালেন কর্মকর্তা

ছবি

ট্রাফিক সমস্যা ও চাঁদাবাজি বন্ধে ডিএমপিকে একগুচ্ছ নির্দেশনা

ছবি

মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

বাংলালিংক প্রতিনিধিদের মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর আহবান জানালেন নাহিদ ইসলাম

এক হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ, সালমানসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা

ছবি

পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ

ছবি

‘নাশকতা ও অরাজকতা রুখে দিতে’ সেনাবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী বিচারিক ক্ষমতা

ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন

ছবি

আন্দোলনে শহীদদের মামলা নিয়ে ব্যবসা চলছে : সারজিস আলম

ছবি

আন্দোলনে নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ, আহতরা ১ লাখ

ছবি

একদিনে ডেঙ্গু কেড়ে নিলো ৬ জনের প্রাণ

ছবি

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান পদে পরিবর্তন, এবার দায়িত্ব পেলেন আলী রীয়াজ

ছবি

মেট্রোরেলে ১১ ঘণ্টা পর মতিঝিল অংশে চলাচল শুরু

ছবি

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে মেলে এমন প্রকল্প হাতে নেয়া হবে : পরিকল্পনা উপদেষ্টা

ছবি

আইন সচিব হলেন গোলাম রব্বানী

ছবি

ঢাকায় দুই দিনের সফরে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট রেইজার

ছবি

ত্বকী হত্যা: পুনরায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে র‌্যাব

ছবি

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ

ছবি

জনবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা—জানালেন সচিব

ছবি

গণহত্যায় উসকানিদাতাদের অবশ্যই বিচার হবে: নাহিদ

ছবি

কাজে না ফেরা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

বন্যায ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মধ্যে ধানের চারা বিতরণ ক‌রলো বি‌জি‌বি

ত্রিমুর্খী সংঘর্ষে নারী পোশাক শ্রমিক নিহত, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর শান্ত আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল

যৌথ বাহিনীর গ্রেপ্তার অভিযানের সময় ময়মনসিংহে যুবদল নেতা নিহত

পদোন্নতি-পদায়ন ‘বঞ্চিতদের’ সামলাতে প্রশাসনে হিমশিম

ছবি

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী

রাজনৈতিক দল গঠনের ব্যাপারে আমাদের কোন অভিপ্রায় নাই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

tab

জাতীয়

দেড়মাসে জামিনে বেরিয়েছে ৪৩ শীর্ষ অপরাধী, জঙ্গি ও আলোচিত বন্দী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রায় দেড়মাসে ১৫ হাজারের মতো কারাবন্দী জামিনে মুক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪৩ জন আলোচিত বন্দী রয়েছেন। যারা শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও আলোচিত মামলার আসামি। আর দেশের বিভিন্ন কারাগারে হামলার ঘটনায় ২ হাজারের মতো বন্দী পালিয়ে গিয়েছিলেন।

তাদের মধ্যে অনেকে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন, আবার অনেককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। পলাতকদের মধ্যে ৯০০ বন্দী এখনও অধরা রয়েছেন। হামলার ঘটনাগুলোতে ৮৪টি অস্ত্র লুট করা হয়েছিল। যার মধ্যে ২৯টি অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকার বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।

পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি-মন্ত্রীসহ গ্রেপ্তার হচ্ছেন, তারা ডিভিশন পাচ্ছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন বলেন, কে ডিভিশন পাচ্ছেন আর কে পাচ্ছেন না, সেটি বলা মুশকিল। তবে কারা বিধি অনুযায়ী-যারা সরকারি কর্মকর্তা থাকেন, তারা এমনিতেই ডিভিশন পেয়ে থাকেন। আর যারা সরকারি কর্মকর্তা নন-তাদের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন হয়।

অথবা নিয়ম মেনে কারা কর্তৃপক্ষকে আবেদন দিতে হয়। কারা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ওই আবেদন পাঠায়। পরে যদি সেখান থেকে যাচাইবাছাই শেষে অনুমতি দেয়- তখন কারা কর্তৃপক্ষ ডিভিশন দিয়ে থাকে। বর্তমানে কারাগারে ৩৭ জন বিশেষ বন্দী রয়েছেন। যাদের মধ্যে ৯ জন ডিভিশন পাচ্ছেন। তবে ওই ৯ জন কারা সেটি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।

তিনি বলেন, আমরা বহিঃপ্রভাব মুক্তভাবে কারাগার প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি। কারণ আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য-শৃঙ্খলা ও দুর্নীতিমুক্ত কারাগার প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য যারা দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা কর্মচারী ছিলেন-তাদের বিরুদ্ধে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নিত্য দিনের কার্যক্রমে যে অনিয়ম সেগুলো নিয়েও কাজ করছি। সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়ন করছি। বারবার একই জায়গায় থাকা কর্মকর্তাদের আগের মতো সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। মাদকের আগ্রাসনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির কথা শুনেছি। আমাদের পরিস্কার কথা, মাদকাসক্ত বা মাদক কারবারে জড়িত কেউ কারাগারে চাকরিরত থাকতে পারবে না।

কারা প্রধান বলেন, আপাতত মোটা দাগের অনিয়মগুলো সমাধানে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারাগার পরিশোধীত হবে, এটাই প্রত্যাশা। যুগোপযোগি কারা আইন সংস্কার, জনবল বৃদ্ধি, কারা অভ্যন্তরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য জ্যামার কেনাসহ মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন আরও বলেন, দেশের ৬৮ কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৪২ হাজার। বর্তমানে বন্দী রয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৭টি কারাগারে হামলার চেষ্টা করে হলেও আক্রান্ত হয় ৮টি। ৫টি কারাগার থেকে বন্দী পালিয়ে যায়। যাদের মধ্যে ৭০ জন জঙ্গি এবং ২৮ জন মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ও যাজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রয়েছে। এসব ঘটনা প্রতিহত করতে গিয়ে কারাগারের বিভিন্ন পর্যায়ের ২৮২ জন সদস্য আহত হয়েছিলেন। অনেকে এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পালিয়ে যাওয়া বন্দীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলেও জানান আইজি প্রিজন।

back to top