জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে সরকার কিশোরীদের জন্য হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) টিকার একটি বিশেষ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকা ছাড়া দেশের সাতটি বিভাগে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং ১০ থেকে ১৪ বছরের স্কুলের বাইরে থাকা কিশোরীরা বিনামূল্যে এই টিকা পাবে।
১৮ দিনব্যাপী চলা এক ডোজের এই টিকার কর্মসূচির আওতায় ৬২ লাখ ১২ হাজার ৫৫৯ কিশোরীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকার কল্যাণপুরে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে এইচপিভি টিকার বিশেষ কর্মসূচির কর্মশালায় টিকাদানের বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির সহকারী পরিচালক শাহরিয়ার সাজ্জাদ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম এবং জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন।
ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, “টিকা নিতে হলে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির ওয়েবসাইটে গিয়ে জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। যাদের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ নেই, তাদেরও বিশেষভাবে তালিকাভুক্ত করে টিকা দেওয়া হবে। নিবন্ধন কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, রোববার এক দিনে দুই লাখের বেশি কিশোরী নিবন্ধন করেছে।”
তিনি জানান, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে ৭৯ লাখ ৪৭৮ হাজার টিকা মজুত আছে। গত বছর ১৫ লাখ ৮ হাজার ১৮৩ কিশোরীকে এইচপিভি টিকা দেওয়া হয়, যা লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ অর্জন করেছে।
বাংলাদেশে প্রতি বছর জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত ১১ জন নারী লক্ষ্যে, এবং এই রোগে প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার নারী মারা যান। দেশে নারীদের মধ্যে ক্যানসারের বিভিন্ন প্রকারে জরায়ুমুখ ক্যানসার দ্বিতীয় সর্বাধিক।
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে সরকার কিশোরীদের জন্য হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) টিকার একটি বিশেষ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকা ছাড়া দেশের সাতটি বিভাগে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং ১০ থেকে ১৪ বছরের স্কুলের বাইরে থাকা কিশোরীরা বিনামূল্যে এই টিকা পাবে।
১৮ দিনব্যাপী চলা এক ডোজের এই টিকার কর্মসূচির আওতায় ৬২ লাখ ১২ হাজার ৫৫৯ কিশোরীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকার কল্যাণপুরে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে এইচপিভি টিকার বিশেষ কর্মসূচির কর্মশালায় টিকাদানের বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির সহকারী পরিচালক শাহরিয়ার সাজ্জাদ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম এবং জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন।
ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, “টিকা নিতে হলে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির ওয়েবসাইটে গিয়ে জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। যাদের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ নেই, তাদেরও বিশেষভাবে তালিকাভুক্ত করে টিকা দেওয়া হবে। নিবন্ধন কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, রোববার এক দিনে দুই লাখের বেশি কিশোরী নিবন্ধন করেছে।”
তিনি জানান, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে ৭৯ লাখ ৪৭৮ হাজার টিকা মজুত আছে। গত বছর ১৫ লাখ ৮ হাজার ১৮৩ কিশোরীকে এইচপিভি টিকা দেওয়া হয়, যা লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ অর্জন করেছে।
বাংলাদেশে প্রতি বছর জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত ১১ জন নারী লক্ষ্যে, এবং এই রোগে প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার নারী মারা যান। দেশে নারীদের মধ্যে ক্যানসারের বিভিন্ন প্রকারে জরায়ুমুখ ক্যানসার দ্বিতীয় সর্বাধিক।